আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৪৯- নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৩৫০৫
২০৫৩. কুরাইশ গোত্রের মর্যাদা
৩২৫৫। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) .... উরওয়া ইবনে যুবাইর (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) নবী (ﷺ) ও আবু বকর (রাযিঃ)- এর পর আয়েশা (রাযিঃ)- এর নিকট সকল লোকদের মধ্যে সর্বাধিক প্রিয়পাত্র ছিলেন এবং তিনি সকল লোকদের মধ্যে আয়েশা (রাযিঃ)-এর সবচেয়ে বেশী সদাচারী ছিলেন। আয়েশা (রাযিঃ)- এর নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে রিযিক স্বরূপ যা কিছু আসত তা জমা না রেখে সাদ্কা করে দিতেন। এতে আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) বললেন, অধিক দান খয়রাত করা থেকে তাকে বারণ করা উচিত। তখন আয়েশা (রাযিঃ) বললেন, আমাকে দান করা থেকে বারণ করা হবে? আমি যদি তার সাথে কথা বলি, তাহলে আমাকে কাফফারা দিতে হবে এবং আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) তাঁর নিকট কুরাইশের কতিপয় লোক, বিশেষ করে নবী (ﷺ)- এর মাতৃবংশের কিছু লোক দ্বারা সুপারিশ করালেন। তবুও তিনি তাঁর সাথে কথা বলা থেকে বিরত থাকলেন।
নবী (ﷺ)- এর মাতৃবংশ বনী যোহরার কতিপয় বিশিষ্ট লোক যাদের মধ্যে আব্দুর রহমান ইবনে আসওয়াদ এবং মিসওয়ার ইবনে মাখরামা (রাযিঃ) ছিলেন তারা বললেন, আমরা যখন আয়েশা (রাযিঃ)-এর গৃহে প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা করব তখন তুমি পর্দার ভিতরে ঢুকে পড়বে। তিনি তাই করলেন। পরে ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) কাফফারা আদায়ের জন্য তার কাছে দশটি ক্রীতদাস পাঠিয়ে দিলেন। আয়েশা (রাযিঃ) তাদের সকলকে আযাদ করে দিলেন। এরপর তিনি বরাবর আযাদ করতে থাকলেন। এমনকি তার সংখ্যা চল্লিশে পৌছে। আয়েশা (রাযিঃ) বললেন, আমি যখন কোন কাজ করার শপথ করি, তখন আমার সংকল্প থাকে যে, আমি যেন সে কাজটা করে দায়িত্ব মুক্ত হয়ে যাই এবং তিনি আরো বলেন, আমি যখন কোন কার্য সম্পাদনের শপথ করি উহা যথাযথ পূরণের ইচ্ছা রাখি।
নবী (ﷺ)- এর মাতৃবংশ বনী যোহরার কতিপয় বিশিষ্ট লোক যাদের মধ্যে আব্দুর রহমান ইবনে আসওয়াদ এবং মিসওয়ার ইবনে মাখরামা (রাযিঃ) ছিলেন তারা বললেন, আমরা যখন আয়েশা (রাযিঃ)-এর গৃহে প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা করব তখন তুমি পর্দার ভিতরে ঢুকে পড়বে। তিনি তাই করলেন। পরে ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) কাফফারা আদায়ের জন্য তার কাছে দশটি ক্রীতদাস পাঠিয়ে দিলেন। আয়েশা (রাযিঃ) তাদের সকলকে আযাদ করে দিলেন। এরপর তিনি বরাবর আযাদ করতে থাকলেন। এমনকি তার সংখ্যা চল্লিশে পৌছে। আয়েশা (রাযিঃ) বললেন, আমি যখন কোন কাজ করার শপথ করি, তখন আমার সংকল্প থাকে যে, আমি যেন সে কাজটা করে দায়িত্ব মুক্ত হয়ে যাই এবং তিনি আরো বলেন, আমি যখন কোন কার্য সম্পাদনের শপথ করি উহা যথাযথ পূরণের ইচ্ছা রাখি।
