আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৪০. ঈমানের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৬১৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৬১৬
নামাযের মর্যাদা
২৬১৭. ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ...... মুআয ইবনে জাবাল (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সঙ্গে এক সফরে ছিলাম। একদিন চলার সময় আমি তাঁর নিকটবর্তী হয়ে গেলাম। আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এমন একটি আমল সম্পর্কে অবহিত করুন যা আমাকে জান্নাতে দাখিল করবে এবং জাহান্নাম থেকে দূরে সরিয়ে দিবে।
তিনি বললেনঃ তুমি তো বিরাট একটা বিষয়ে আমাকে জিজ্ঞাসা করলে। তবে আল্লাহ্ তাআলা যার জন্য তা সহজ করে দেন তার জন্য বিষয়টি অবশ্য সহজ। আল্লাহর ইবাদত করবে, তার সঙ্গে কোন কিছু শরীক করবে না। নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে, রমযানের রোযা পালন করবে, বায়তুল্লাহর হজ্জ করবে।
এরপর তিনি বললেনঃ সব কল্যাণের দ্বার সম্পর্কে কি আমি তোমাকে দিক-নির্দেশনা দিব? রোযা হল ঢালস্বরূপ, পানি যেমন আগুন নিভিয়ে দেয় তেমনি সাদ্কা ও গুনাহসমূহকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়, আর হল মধ্য রাতের নামায।
এরপর তিনি তিলাওয়াত করলেনঃ তারা (মু’মিনরা গভীর রাতে) শয্যা ত্যাগ করে তাদের পরওয়ারদিগারকে ডাকে আশায় ও আশঙ্কায় এবং আমি তাদের যে রিযক দান করেছি তা থেকে তারা ব্যয় করে। কেউই জানে না তাদের জন্য নয়ন সুখকর কী লূকিয়ে রাখা হয়েছে তাদের কৃতকর্মের পুরস্কার স্বরূপ। (সাজদা ৩২ঃ ১৬-১৭)
তারপর বললেনঃ তোমাকে এই সব কিছুর মাথা ও বুনিয়াদ এবং সর্বোচ্চ শীর্ষদেশ স্বরূপ আমল সম্পর্কে অবহিত করব কি?
এরপর বললেনঃ অবশ্যই, ইয়া রাসূলাল্লাহ্!
তিনি বললেনঃ সব কিছুর মাথা হল ইসলাম, বুনিয়াদ হল নামায আর সর্বোচ্চ শীর্ষ হল জিহাদ।
এরপর বললেনঃ এ সব কিছুর মূল পুঁজি সম্পর্কে তোমাকে অবহিত করব কি?
আমি বললামঃ অবশ্যই, ইয়া রাসূলাল্লাহ্!
তিনি তাঁর জিহ্বা ধরে বললেনঃ এটিকে সংযত রাখ।
আমি বললামঃ হে আল্লাহর নবী, আমরা যে কথাবর্তা বলি সেই কারণেও কি আমাদের পাকড়াও করা হবে?
তিনি বললেনঃ তোমাদের মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক,* হে মু’আয! লোকদের অধঃমুখে জাহান্নামে নিক্ষেপ্ত হওয়ার জন্য এই যবানের কামাই ছাড়া আর কি কিছু আছে নাকি?
- ইবনে মাজাহ
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান-সহীহ।
* একটি বাক রীতি। কোন কথার গুরুত্ব বুঝাতে এবং শ্রোতার মনোযোগ আকর্ষণার্থে এই বাক-ভঙ্গিমা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
তিনি বললেনঃ তুমি তো বিরাট একটা বিষয়ে আমাকে জিজ্ঞাসা করলে। তবে আল্লাহ্ তাআলা যার জন্য তা সহজ করে দেন তার জন্য বিষয়টি অবশ্য সহজ। আল্লাহর ইবাদত করবে, তার সঙ্গে কোন কিছু শরীক করবে না। নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে, রমযানের রোযা পালন করবে, বায়তুল্লাহর হজ্জ করবে।
এরপর তিনি বললেনঃ সব কল্যাণের দ্বার সম্পর্কে কি আমি তোমাকে দিক-নির্দেশনা দিব? রোযা হল ঢালস্বরূপ, পানি যেমন আগুন নিভিয়ে দেয় তেমনি সাদ্কা ও গুনাহসমূহকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়, আর হল মধ্য রাতের নামায।
এরপর তিনি তিলাওয়াত করলেনঃ তারা (মু’মিনরা গভীর রাতে) শয্যা ত্যাগ করে তাদের পরওয়ারদিগারকে ডাকে আশায় ও আশঙ্কায় এবং আমি তাদের যে রিযক দান করেছি তা থেকে তারা ব্যয় করে। কেউই জানে না তাদের জন্য নয়ন সুখকর কী লূকিয়ে রাখা হয়েছে তাদের কৃতকর্মের পুরস্কার স্বরূপ। (সাজদা ৩২ঃ ১৬-১৭)
তারপর বললেনঃ তোমাকে এই সব কিছুর মাথা ও বুনিয়াদ এবং সর্বোচ্চ শীর্ষদেশ স্বরূপ আমল সম্পর্কে অবহিত করব কি?
এরপর বললেনঃ অবশ্যই, ইয়া রাসূলাল্লাহ্!
তিনি বললেনঃ সব কিছুর মাথা হল ইসলাম, বুনিয়াদ হল নামায আর সর্বোচ্চ শীর্ষ হল জিহাদ।
এরপর বললেনঃ এ সব কিছুর মূল পুঁজি সম্পর্কে তোমাকে অবহিত করব কি?
আমি বললামঃ অবশ্যই, ইয়া রাসূলাল্লাহ্!
তিনি তাঁর জিহ্বা ধরে বললেনঃ এটিকে সংযত রাখ।
আমি বললামঃ হে আল্লাহর নবী, আমরা যে কথাবর্তা বলি সেই কারণেও কি আমাদের পাকড়াও করা হবে?
তিনি বললেনঃ তোমাদের মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক,* হে মু’আয! লোকদের অধঃমুখে জাহান্নামে নিক্ষেপ্ত হওয়ার জন্য এই যবানের কামাই ছাড়া আর কি কিছু আছে নাকি?
- ইবনে মাজাহ
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান-সহীহ।
* একটি বাক রীতি। কোন কথার গুরুত্ব বুঝাতে এবং শ্রোতার মনোযোগ আকর্ষণার্থে এই বাক-ভঙ্গিমা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
باب مَا جَاءَ فِي حُرْمَةِ الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الصَّنْعَانِيُّ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَأَصْبَحْتُ يَوْمًا قَرِيبًا مِنْهُ وَنَحْنُ نَسِيرُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْبِرْنِي بِعَمَلٍ يُدْخِلُنِي الْجَنَّةَ وَيُبَاعِدُنِي مِنَ النَّارِ . قَالَ " لَقَدْ سَأَلْتَنِي عَنْ عَظِيمٍ وَإِنَّهُ لَيَسِيرٌ عَلَى مَنْ يَسَّرَهُ اللَّهُ عَلَيْهِ تَعْبُدُ اللَّهَ وَلاَ تُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا وَتُقِيمُ الصَّلاَةَ وَتُؤْتِي الزَّكَاةَ وَتَصُومُ رَمَضَانَ وَتَحُجُّ الْبَيْتَ " . ثُمَّ قَالَ " أَلاَ أَدُلُّكَ عَلَى أَبْوَابِ الْخَيْرِ الصَّوْمُ جُنَّةٌ وَالصَّدَقَةُ تُطْفِئُ الْخَطِيئَةَ كَمَا يُطْفِئُ الْمَاءُ النَّارَ وَصَلاَةُ الرَّجُلِ مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ " . قَالَ ثُمَّ تَلاََ: ( تَتَجَافَى جُنُوبُهُمْ عَنِ الْمَضَاجِعِ ) حَتَّى بَلَغَ: (يَعْمَلُونَ) ثُمَّ قَالَ " أَلاَ أُخْبِرُكَ بِرَأْسِ الأَمْرِ كُلِّهِ وَعَمُودِهِ وَذِرْوَةِ سَنَامِهِ " . قُلْتُ بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " رَأْسُ الأَمْرِ الإِسْلاَمُ وَعَمُودُهُ الصَّلاَةُ وَذِرْوَةُ سَنَامِهِ الْجِهَادُ " . ثُمَّ قَالَ " أَلاَ أُخْبِرُكَ بِمَلاَكِ ذَلِكَ كُلِّهِ " . قُلْتُ بَلَى يَا نَبِيَّ اللَّهِ قَالَ فَأَخَذَ بِلِسَانِهِ قَالَ " كُفَّ عَلَيْكَ هَذَا " . فَقُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ وَإِنَّا لَمُؤَاخَذُونَ بِمَا نَتَكَلَّمُ بِهِ فَقَالَ " ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ يَا مُعَاذُ وَهَلْ يَكُبُّ النَّاسَ فِي النَّارِ عَلَى وُجُوهِهِمْ أَوْ عَلَى مَنَاخِرِهِمْ إِلاَّ حَصَائِدُ أَلْسِنَتِهِمْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
