আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৪৮- নবীগণের আঃ আলোচনা
৩১৫০। মুহাম্মাদ ইবনে সালাম (রাহঃ) .... মাসরূক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়েশা (রাযিঃ)- এর মা উম্মে রুমানার নিকট আয়েশার বিষয়ে যে সব মিথ্যা অপবাদের কথা বলাবলি হচ্ছিল সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, আমি আয়েশার সাথে একত্রে বসা ছিলাম। এমন সময় একজন আনসারী মহিলা একথা বলতে বলতে আমাদের নিকট প্রবেশ করল। আল্লাহ অমুককে শাস্তি দিক। আর শাস্তি তো দিয়েছেন। একথা শুনে উম্মে রুমানা (রাযিঃ) বললেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম একথা বলার কারণ কি? সে মহিলাটি বলল, ঐ লোকটিই তো কথাটির চর্চা করছে। তখন আয়েশা (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, কোন কথাটির ? এরপর সে আয়েশা (রাযিঃ)-কে বিষয়টি জানিয়ে দিল। আয়েশা (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, বিষয়টি কি আবু বকর (রাযিঃ) এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)ও শুনেছেন? সে বলল, হ্যাঁ! এতে আয়েশা (রাযিঃ) বেহুশ হয়ে গেলেন। পরে তাঁর হুশ ফিরে আসল তবে তাঁর শরীর কাঁপিয়ে জ্বর আসল।
এরপর নবী (ﷺ) এসে জিজ্ঞাসা করলেন, তার কি হল? আমি বললাম, তাঁর সম্পর্কে যা কিছু রটেছে তাতে সে (মনে) আঘাত পেয়েছে ফলে সে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। এ সময় আয়েশা (রাযিঃ) উঠে বসলেন, আর বলতে লাগলেন, আল্লাহর কসম, আমি যদি কসম খেয়ে বলি তবুও আপনারা আমায় বিশ্বাস করবেন না, আর যদি ওযর পেশ করি তাও আপনারা আমার ওযর শুনবেন না। অতএব এখন আমার ও আপানাদের অবস্থা হল ইয়াকুব (আলাইহিস সালাম) এবং তাঁর সন্তানদের মতো। আপনারা যা বর্ণনা করেছেন সে বিষয়ে একমাত্র আল্লাহর নিকটই সাহায্য চাওয়া হল।
এরপর নবী (ﷺ) ফিরে চলে গেলেন এবং আল্লাহ যা নাযিল করার তা নাযিল করলেন। তখন নবী (ﷺ) এসে আয়েশা (রাযিঃ)-কে এ সংবাদ জানালেন। আয়েশা (রাযিঃ) বললেন, আমি একমাত্র আল্লাহরই প্রশংসা করব, অন্য কার প্রশংসা নয়।

তাহকীক:
তাহকীক নিষ্প্রয়োজন