আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৪২- সাক্ষ্যপ্রদানের অধ্যায়

হাদীস নং: ২৪৭৯
আন্তর্জতিক নং: ২৬৫৫

পরিচ্ছেদঃ ১৬৫২. অন্ধের সাক্ষ্যদান। কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত দান, নিজে বিয়ে করা, কাউকে বিয়ে দেওয়া, ক্রয়-বিক্রয় করা, আযান দেওয়া ইত্যাদি বিষয়ে তাকে গ্রহণ করা আওয়াযে পরিচয় করা। কাসিম, হাসান, ইবনে সীরীন, যুহরী ও আতা (রাহঃ) অন্ধের সাক্ষ্যদান অনুমোদন করেছেন। ইমাম শাবী (রাহঃ) বলেন, বুদ্ধিমান হলে তার সাক্ষ্যদান বৈধ। হাকাম (রাহঃ) বলেন, অনেক বিষয় আছে, যেখানে তাদের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য। ইমাম যুহরী (রাহঃ) বলেন, তুমি কি মনে কর যে, ইবনে আববাস (রাযিঃ) কোন বিষয়ে সাক্ষ্য দিলে তা প্রত্যাখান করতে পারবে? ইবনে আববাস (রাযিঃ) (দৃষ্টি শক্তি লোপ পাওয়ার পর) জনৈক ব্যক্তিকে পাঠিয়ে সূর্য ডুবেছে কিনা জেনে নিয়ে ইফতার করতেন। অনুরূপভাবে ফজরের সময় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতেন। ফজর হয়েছে বলা হলে তিনি দু’রাকাআত সালাত আদায় করতেন। সুলাইমান ইবনে ইয়াসার (রাহঃ) বলেন, একবার আমি আয়িশা এর নিকট সাক্ষাতের অনুমতি চাইলাম। তিনি আমার আওয়ায চিনতে পেরে বললেন, সুলাইমান না কি, এসো! তোমার সঙ্গে পর্দার প্রয়োজন নেই। (কেননা) যতক্ষণ (মুকাতাবাতের দেনা অর্থের) সামান্য পরিমাণও বাকি থাকবে ততক্ষণ তুমি গোলাম*। সামূরাহ ইবনে জুনদুব (রাযিঃ) নিকাব পরিহিতা নারীর সাক্ষ্যদান অনুমোদন করেছেন।
*তিনি মায়মুনা (রা.)-এর মুকাতাব ছিলেন। ‘আয়িশা (রা.)-এর মতে নিজের বা পরের কোন গোলামের সাথে পর্দা জরুরী নয় ।

২৪৭৯। মুহাম্মাদ ইবনে উবাইদ ইবনে মায়মুন (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) এক লোককে মসজিদে (কুরআন) পড়তে শুনলেন। তিনি বললেন, আল্লাহ তাকে রহম করুন। সে আমাকে অমুক সূরার অমুক অমুক আয়াত স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, যা আমি ভুলে গিয়েছিলাম। আব্বাদ ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) আয়িশা (রাযিঃ) থেকে এতটুকু অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, নবী (ﷺ) আমার ঘরে তাহাজ্জুদের নামায আদায় করলেন। সে সময় তিনি মসজিদে নামায রত আববাদের আওয়ায শুনতে পেয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আয়িশা! এটা কি আববাদের কন্ঠস্বর? আমি বললাম, হ্যাঁ। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ আব্বাদকে রহম করুন।


tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক নিষ্প্রয়োজন