আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৪০- মুকাতাব তথা চুক্তিবদ্ধ দাসের অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ২৫৬১
১৬০২. মুকাতাব ও দেয় অর্থের কিস্তি প্রসঙ্গে। প্রতি বছর এক কিস্তি করে আদায় করা। আল্লাহ তাআলার বাণীঃ তোমাদের এবং তোমাদের মালিকানাধীন দাস-দাসীদের মধ্যে কেউ তার মুক্তির জন্য চুক্তিপত্র লিখতে চাইলে তাদের সাথে তোমরা চুক্তিবদ্ধ হও, যদি তোমরা ওদের মধ্যে মঙ্গলের সন্ধান পাও এবং আল্লাহ তোমাদের যে সম্পদ দিয়েছেন, তা থেকে তোমরা ওদের দান করবে। (১৪ঃ ৩৩)
রাওয়াহ (রাহঃ) বলেন, ইবনে জুরায়জ (রাহঃ) বর্ণনা করেন, আমি আতা (রাহঃ)- কে জিজ্ঞাসা করলাম যদি আমি জানতে পারি যে, তার (গোলামের) অর্থ-সম্পদ রয়েছে, তবে কি তার সাথে কিতাবতের চুক্তি করা আমার জন্য ওয়াজিব হবে? তিনি বললেন, আমি তো ওয়াজিব ছাড়া অন্য কিছু মনে করি না। আমর ইবনে দীনার (রাহঃ) বলেন, আমি আতা (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, এ মতামত কি আপনি (পূর্ববর্তী) কারো কাছ থেকে বর্ণনা করছেন? তিনি বললেন, না। তারপর আতা (রাহঃ) আমার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, মুসা ইবনে আনাস (রাহঃ) তাকে অবহিত করেছেন যে, আনাস (রাযিঃ)-এর কাছে তার গোলাম সীরীন মুকাতাব (চুক্তিবদ্ধ) হওয়ার আবেদন জানালো। সে বিত্তশালী ছিলো। কিন্তু আনাস (রাযিঃ) তাতে অস্বীকৃতি জানালেন। সিরীন তখন উমর (রাযিঃ)-এর কাছে বিষয়টি উত্থাপন করল। উমর (রাযিঃ) আনাস (রাযিঃ)-কে বললেন, তার সাথে চুক্তিবদ্ধ হও। তিনি অস্বীকৃতি জানালেন। উমর (রাযিঃ) তখন তাকে বেত্রাঘাত করলেন এবং নিম্নোক্ত আয়াত তেলাওয়াত করলেন, فَكَاتِبُوهُمْ إِنْ عَلِمْتُمْ فِيهِمْ خَيْرًا “তোমরা তাদের সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ হও, যতি তোমরা তাদের মধ্যে মঙ্গলের সন্ধান পাও। (২৪ : ৩৩)।
এরপর আনাস (রাযিঃ) তার সাথে চুক্তিবদ্ধ হলেন।
রাওয়াহ (রাহঃ) বলেন, ইবনে জুরায়জ (রাহঃ) বর্ণনা করেন, আমি আতা (রাহঃ)- কে জিজ্ঞাসা করলাম যদি আমি জানতে পারি যে, তার (গোলামের) অর্থ-সম্পদ রয়েছে, তবে কি তার সাথে কিতাবতের চুক্তি করা আমার জন্য ওয়াজিব হবে? তিনি বললেন, আমি তো ওয়াজিব ছাড়া অন্য কিছু মনে করি না। আমর ইবনে দীনার (রাহঃ) বলেন, আমি আতা (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, এ মতামত কি আপনি (পূর্ববর্তী) কারো কাছ থেকে বর্ণনা করছেন? তিনি বললেন, না। তারপর আতা (রাহঃ) আমার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, মুসা ইবনে আনাস (রাহঃ) তাকে অবহিত করেছেন যে, আনাস (রাযিঃ)-এর কাছে তার গোলাম সীরীন মুকাতাব (চুক্তিবদ্ধ) হওয়ার আবেদন জানালো। সে বিত্তশালী ছিলো। কিন্তু আনাস (রাযিঃ) তাতে অস্বীকৃতি জানালেন। সিরীন তখন উমর (রাযিঃ)-এর কাছে বিষয়টি উত্থাপন করল। উমর (রাযিঃ) আনাস (রাযিঃ)-কে বললেন, তার সাথে চুক্তিবদ্ধ হও। তিনি অস্বীকৃতি জানালেন। উমর (রাযিঃ) তখন তাকে বেত্রাঘাত করলেন এবং নিম্নোক্ত আয়াত তেলাওয়াত করলেন, فَكَاتِبُوهُمْ إِنْ عَلِمْتُمْ فِيهِمْ خَيْرًا “তোমরা তাদের সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ হও, যতি তোমরা তাদের মধ্যে মঙ্গলের সন্ধান পাও। (২৪ : ৩৩)।
এরপর আনাস (রাযিঃ) তার সাথে চুক্তিবদ্ধ হলেন।
২৩৯১। কুতায়বা (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, বারীরা (রাযিঃ) একবার তার মুকাতাবাতের ব্যাপারে সাহায্য চাইতে আসলেন। তখন পর্যন্ত তিনি মুকাতাবাতের অর্থ থেকে কিছুই আদায় করেন নি। আয়িশা (রাযিঃ) তাকে বললেন, তুমি তোমার মালিকের কাছে ফিরে যাও। তারা সম্মত হলে আমি তোমার মুকাতাবাতের প্রাপ্য পরিশোধ করে দিব। আর তোমার ওয়ালার অধিকার আমার হবে। বারীরা (রাযিঃ) কথাটি তার মালিকের কাছে পেশ করলেন। কিন্তু তারা তা অস্বীকার করল এবং বলল, তিনি যদি তোমাকে আযাদ করে সাওয়াব পেতে চান, তবে করতে পারেন। ওয়ালা আমাদেরই থাকবে।
আয়িশা (রাযিঃ) বিষয়টি রাসূলুল্লাহ -এর কাছে পেশ করলে তিনি বলেলেন, তুমি খরিদ করে আযাব করে দাও। কেননা যে আযাদ করবে, সেই ওয়ালার অধিকারী হবে। (রাবী) বলেন, তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (সাহাবীগণের সমাবেশে) দাঁড়িয়ে বললেন, মানুষের কি হল, এমন সব শর্ত তারা আরোপ করে, যা আল্লাহর কিতাবে নেই। যে এমন কোন শর্ত আরোপ করবে, যা আল্লাহর কিতাবে নেই, তা তার জন্য প্রযোজ্য হবে না; যদিও সে শতবার শর্তারোপ করে। কেননা আল্লাহর দেওয়া শর্তই সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য।
আয়িশা (রাযিঃ) বিষয়টি রাসূলুল্লাহ -এর কাছে পেশ করলে তিনি বলেলেন, তুমি খরিদ করে আযাব করে দাও। কেননা যে আযাদ করবে, সেই ওয়ালার অধিকারী হবে। (রাবী) বলেন, তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (সাহাবীগণের সমাবেশে) দাঁড়িয়ে বললেন, মানুষের কি হল, এমন সব শর্ত তারা আরোপ করে, যা আল্লাহর কিতাবে নেই। যে এমন কোন শর্ত আরোপ করবে, যা আল্লাহর কিতাবে নেই, তা তার জন্য প্রযোজ্য হবে না; যদিও সে শতবার শর্তারোপ করে। কেননা আল্লাহর দেওয়া শর্তই সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য।
