আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৩৬- যুলুম - নির্যাতন ও কিসাসের অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৪০
১৫২৪. যুলুম ও ছিনতাই। আল্লাহ তাআলার বাণীঃ তুমি কখনও মনে করবে না যে, জালিমরা যা করে, সে বিষয়ে আল্লাহ গাফিল। তিনি তাদেরকে সে দিন পর্যন্ত অবকাশ দেন, যে দিন তাদের চোখগুলো হবে স্থীর, ভীত বিহবল চিত্তে আকাশের দিকে চেয়ে তারা ছুটাছুটি করবে, নিজেদের প্রতি তাদের দৃষ্টি ফিরবে না এবং তাদের অন্তর হবে শূণ্য (সূরা ইবরাহীমঃ ৪২-৪৩)। مُقْنِعِ رُءُوسِهِمْ অর্থ উপরের দিকে তাদের মাথা তুলে। الْمُقْنِعُ এবং الْمُقْمِحُ সমার্থক শব্দ। মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, مُهْطِعِينَ অর্থ দৃষ্টি অবনত করে। هَوَاءٌ শব্দের অর্থ জ্ঞানশূণ্য। (আল্লাহ তাআলার বাণীঃ) যে দিন তাদের শাস্তি আসবে, সেদিন সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করুন। তথায় জালিমরা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের কিছু কালের জন্য অবকাশ দিন। আমরা তোমার ডাকে সাড়া দিব এবং রাসূলদের অনুসরণ করব .... আল্লাহ পরাক্রমশালী, দণ্ডবিধায়ক (সূরা ইবরাহীম)।
২২৭৮। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) .... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, মু’মিনগণ যখন জাহান্নাম থেকে নাজাত পাবে, তখন জান্নাত ও জাহান্নামের মাঝখানে এক পুলের উপর তাদের আটকে রাখা হবে। তখন পৃথিবীতে একের প্রতি অন্যের যা যা যুলুম ও অন্যায় ছিল, তার প্রতিশোধ গ্রহণের পরে যখন তারা পরিচ্ছন্ন হয়ে যাবে, তখন তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। সেই সত্তার কসম, যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ, নিশ্চয়ই তাদের প্রত্যেকে পৃথিবীতে তার আবাসস্থল যেরূপ চিনত, তার চাইতে অধিক তার জান্নাতের আবাসস্থল চিনতে পারবে।


বর্ণনাকারী: