আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
২৬- ক্রয় - বিক্রয়ের অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ২০৪৭
১২৭৭.এবং আল্লাহ্ তাআলার বাণীঃ: আল্লাহ্ তাআলা বেচা-কেনাকে বৈধ এবং সুদকে অবৈধ করেছেন। (২:২৭৫) এবং আল্লাহ্ তাআলার বাণীঃ কিন্তু তোমরা পরস্পর যে ব্যবসায় নগদ আদান-প্রদান কর......।
আল্লাহ্ তাআলার এ বাণী সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে (ইরশাদ করছেন): সালাত সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করবে ও আল্লাহ্ তাআলাকে অধিক স্মরন করবে, যাতে তোমরা সফলকাম হও। যখন তারা দেখল ব্যবসায় কৌতুক, তখন তারা আপনাকে দাঁড়ান অবস্থায় রেখে সেদিকে ছুটে গেল। বলুন,আল্লাহ্ তাআলার নিকট যা আছে, তা ক্রীড়া-কৌতুক ও ব্যবসা অপেক্ষা উৎকৃষ্ট। আল্লাহ্ সর্বশ্রেষ্ঠ রিযিকদাতা। (৬২:১০-১১)। আর আল্লাহ্ তাআলার বাণী: তোমরা নিজেদের মধ্যে অন্যের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করোনা। কিন্তু তোমাদের পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ।
আল্লাহ্ তাআলার এ বাণী সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে (ইরশাদ করছেন): সালাত সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করবে ও আল্লাহ্ তাআলাকে অধিক স্মরন করবে, যাতে তোমরা সফলকাম হও। যখন তারা দেখল ব্যবসায় কৌতুক, তখন তারা আপনাকে দাঁড়ান অবস্থায় রেখে সেদিকে ছুটে গেল। বলুন,আল্লাহ্ তাআলার নিকট যা আছে, তা ক্রীড়া-কৌতুক ও ব্যবসা অপেক্ষা উৎকৃষ্ট। আল্লাহ্ সর্বশ্রেষ্ঠ রিযিকদাতা। (৬২:১০-১১)। আর আল্লাহ্ তাআলার বাণী: তোমরা নিজেদের মধ্যে অন্যের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করোনা। কিন্তু তোমাদের পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ।
১৯১৯. আবুল ইয়ামান (রাহঃ) ......... আবূ হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আপনারা বলে থাকেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে আবূ হুরায়রা (রাযিঃ) বেশী বেশী হাদীস বর্ণনা করে থাকে এবং আরো বলেন, মুহাজির ও আনসারদের কি হলো যে, তারা তো রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে হাদীস বর্ণনা করেন না? (কিন্তু ব্যাপার হলো এই যে,) আমার মুহাজির ভাইগণ বাজারে কেনা-বেচায় ব্যস্ত থাকতেন আর আমি কোন প্রকারে আমার পেটের চাহিদা মিটিয়ে (খেয়ে না খেয়ে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর দরবারে পড়ে থাকতাম। তাঁরা যখন (কাজের ব্যস্ততায়) অনুপস্থিত থাকতেন, আমি তখন উপস্থিত থাকতাম। তাঁরা যা ভুলে যেতেন আমি তা সংরক্ষণ করতাম। আর আমার আনসার ভাইয়েরা নিজেদের খেত-খামারের কাজে ব্যাপৃত থাকতেন। আমি ছিলাম সুফফার মিসকীনদের একজন মিসকীন। তাঁরা যা ভুলে যেতেন, আমি তা সংরক্ষণ করতাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর এক বর্ণনায় বললেন, আমার এ কথা শেষ না হওয়া পর্যন্ত যে কেউ তার কাপড় বিছিয়ে দিবে এবং পরে নিজের শরীরের সাথে তার কাপড় জড়িয়ে নেবে, আমি যা বলছি সে তা স্মরণ রাখতে পারবে। [আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন] আমি আমার গায়ের চাদরখানা বিছিয়ে দিলাম, যতক্ষণ না রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর কথা শেষ করলেন,পরে আমি তা আমার বুকের সাথে জড়িয়ে ধরলাম। ফলে আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সে কথার কিছুই ভুলি নি।
