আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

২৪- রোযার অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ১৯২৫
১২০৫. জুনুবী (অপবিত্র) অবস্থায় রোযা পালনকারীর ভোর হওয়া।
১৮০৩। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা (রাহঃ) ......... আবু বকর ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এবং আমার পিতা আয়িশা (রাযিঃ) এবং উম্মে সালামা (রাযিঃ) এর নিকট গেলাম।
(অপর বর্ণনায়) আবুল ইয়ামান (রাহঃ)............আব্দুর রহমান (রাহঃ) মারওয়ানকে বললেন, আয়িশা (রাযিঃ) এবং উম্মে সালামা (রাযিঃ) তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, নিজ স্ত্রীর সাথে মিলনজনিত জুনুবী অবস্থায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ফজরের সময় হয়ে যেত। তখন তিনি গোসল করতেন এবং রোযা পালন করতেন। মারওয়ান (রাহঃ) আব্দুর রহমান ইবনে হারিস (রাহঃ) কে বললেন, আল্লাহর শপথ করে বলছি, এ হাদীস শুনিয়ে তুমি আবু হুরায়রা (রাযিঃ) কে শঙ্কিত করে দিবে। এ সময় মারওয়ান মদীনার গভর্ণর ছিলেন।
আবু বকর (রাহঃ) বলেন, মারওয়ানের কথা আব্দুর রহমান (রাহঃ) পছন্দ করেন নি। রাবী বলেন, এরপর ভাগ্যক্রমে আমরা যুল হুলাইফাতে একত্রিত হয়ে যাই। সেখানে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর একখণ্ড জমি ছিল। আব্দুর রহমান (রাহঃ) আবু হুরায়রা (রাযিঃ) কে বললেন, আমি আপনার নিকট একটি কথা বলতে চাই, মারওয়ান যদি এ বিষয়টি আমাকে কসম দিয়ে না বলতেন, তাহলে আমি তা আপনার সঙ্গে আলোচনা করতাম না।
তারপর তিনি আয়িশা (রাযিঃ) ও উম্মে সালামা (রাযিঃ) এর বর্ণিত উক্তিটি উল্লেখ করলেন। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বললেন, ফযল ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) অনুরূপ একটি হাদীস আমাকে শুনিয়েছেন এবং এ বিষয়ে নবী পত্নীগণ সর্বাধিক অবহিত।
হাম্মাম (রাহঃ) এবং ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে উমর সূত্রে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, এরূপ ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রোযা ত্যাগ করে খাওয়ার হুকুম দিতেন। প্রথমোক্ত হাদীসটি সনদের দিক থেকে বিশুদ্ধ।