কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
৩৩. শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
হাদীস নং: ৪৩৬১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪১৩
শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়
২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।
৪৩৬১. আহমদ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ কুরআনের এ আয়াত- ″তোমাদের মাঝে যে সব মহিলারা ব্যভিচারে লিপ্ত হয়, তাদের জন্য চারজন সাক্ষী নির্ধারিত কর। যদি তারা সে মহিলার ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার পক্ষে সাক্ষী দেয়, তবে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তাকে ঘরে আব্দ্ধ করে রাখ, অথবা যতক্ষণ না আল্লাহ তার জন্য অন্য কোন ব্যবস্থা করে দেন।″
মহিলাদের পরে পুরুষদের কথা উল্লেখ করার পর, উভয়ের কথা একত্রে কুরআনে এরূপ বর্ণিত হয়েছেঃ তোমাদের মাঝে যে পুরুষ ও মহিলা ব্যভিচারে লিপ্ত হয়, তাদের শাস্তি প্রদান কর। আর যদি তারা তাওবা করে এবং ভাল হয়ে যায়, তবে তাদের ক্ষমা কর। এ আয়াতটি দুররার আয়াত নাযিল হওয়ার পর বাতিল হয়ে গেছে। আয়াতটি হলোঃ যিনাকারী পুরুষ ও যিনাকারিণী স্ত্রী লোককে একশতটি বেত্রাদণ্ড প্রদান কর।
মহিলাদের পরে পুরুষদের কথা উল্লেখ করার পর, উভয়ের কথা একত্রে কুরআনে এরূপ বর্ণিত হয়েছেঃ তোমাদের মাঝে যে পুরুষ ও মহিলা ব্যভিচারে লিপ্ত হয়, তাদের শাস্তি প্রদান কর। আর যদি তারা তাওবা করে এবং ভাল হয়ে যায়, তবে তাদের ক্ষমা কর। এ আয়াতটি দুররার আয়াত নাযিল হওয়ার পর বাতিল হয়ে গেছে। আয়াতটি হলোঃ যিনাকারী পুরুষ ও যিনাকারিণী স্ত্রী লোককে একশতটি বেত্রাদণ্ড প্রদান কর।
كتاب الحدود
باب فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ ثَابِتٍ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يَزِيدَ النَّحْوِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ ( وَاللاَّتِي يَأْتِينَ الْفَاحِشَةَ مِنْ نِسَائِكُمْ فَاسْتَشْهِدُوا عَلَيْهِنَّ أَرْبَعَةً مِنْكُمْ فَإِنْ شَهِدُوا فَأَمْسِكُوهُنَّ فِي الْبُيُوتِ حَتَّى يَتَوَفَّاهُنَّ الْمَوْتُ أَوْ يَجْعَلَ اللَّهُ لَهُنَّ سَبِيلاً ) وَذَكَرَ الرَّجُلَ بَعْدَ الْمَرْأَةِ ثُمَّ جَمَعَهُمَا فَقَالَ ( وَاللَّذَانِ يَأْتِيَانِهَا مِنْكُمْ فَآذُوهُمَا فَإِنْ تَابَا وَأَصْلَحَا فَأَعْرِضُوا عَنْهُمَا ) فَنَسَخَ ذَلِكَ بِآيَةِ الْجَلْدِ فَقَالَ ( الزَّانِيَةُ وَالزَّانِي فَاجْلِدُوا كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا مِائَةَ جَلْدَةٍ ) .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৩৬২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪১৪
শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়
২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।
৪৩৬২. আহমদ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ..... মুজাহিদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ পূর্ববর্তী হাদীসে যে ’সাবীল’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, এর অর্থ হলো- ’হদ’ বা আল্লাহ প্রদত্ত শাস্তির বিধান।
كتاب الحدود
باب فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ ثَابِتٍ، حَدَّثَنَا مُوسَى، - (يَعْنِي ابْنَ مَسْعُودٍ) - عَنْ شِبْلٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ السَّبِيلُ الْحَدُّ
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৩৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪১৫
শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়
২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।
৪৩৬৩. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... উবাদা ইবনে সামিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমার কাছ থেকে শিখে নাও, আমার কাছ থেকে শিখে নাও, আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য সাবীল বা পথ নির্ধারিত করে দিয়েছেন। যদি বিবাহিত পুরুষ-বিবাহিতা স্ত্রীর সাথে যিনা করে, তবে তাদের শাস্তি হলো-একশত বেত্রাদণ্ড এবং পাথর মেরে হত্যা। আর যদি অবিবাহিত পুরুষ-কোন অবিবাহিতা স্ত্রীর সাথে যিনা করে, তবে তাদের শাস্তি হলো-একশত বেত্রাঘাত এবং এক বছরের জন্য দেশ থেকে বহিষ্কার।
كتاب الحدود
باب فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ حِطَّانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيِّ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " خُذُوا عَنِّي خُذُوا عَنِّي قَدْ جَعَلَ اللَّهُ لَهُنَّ سَبِيلاً الثَّيِّبُ بِالثَّيِّبِ جَلْدُ مِائَةٍ وَرَمْىٌ بِالْحِجَارَةِ وَالْبِكْرُ بِالْبِكْرِ جَلْدُ مِائَةٍ وَنَفْىُ سَنَةٍ " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৩৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪১৬ - ৪৪১৭
শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়
২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।
৪৩৬৪. ওয়াহাব ইবনে বাকীয়্যা (রাহঃ) .... হাসান (রাহঃ) থেকে উপরোক্ত হাদীসের সনদে ও অর্থে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেনঃ যিনাকারী পুরুষ ও মহিলার শাস্তি হলো একশত বেত্রাদণ্ড এবং পাথর মেরে হত্যা।
উবাদাহ ইবনু সামিত (রাঃ) থেকে নবী (ﷺ) সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত। লোকজন সা’দ ইবনু উবাদাহ (রাঃ)-কে বললো, হে সাবিতের পিতা! হাদ্দ সংক্রান্ত আয়াত নাযিল হয়েছে। অতএব আপনি যদি আপনার স্ত্রীর সঙ্গে কোনো পুরুষ লোককে দেখতে পান তাহলে আপনি কি করবেন? তিনি বলেন, আমি তরবারির আঘাতে উভয়কে নিস্তব্ধ করে দিতাম। আমি কি যাবো এবং চারজন সাক্ষী একত্র করবো, আর এ সুযোগে তারা তাদের অপকর্ম সেরে নিবে?
অতএব তারা গিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট একত্র হয়ে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি সাবিতের পিতাকে দেখেননি, তিনি এই এই কথা বলেছেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তরবারিই যথেষ্ট সাক্ষী। অতঃপর তিনি বলেন, না না, আমি আশঙ্কা করি যে, কোনো উন্মত্ত ও আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন লোকই এ পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারে। আরেক বর্ণনায় রয়েছেঃ এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর ক্রীতদাসীর সঙ্গে সংগমে লিপ্ত হয়।’ ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) বলেন, আল-ফাদল ইবনু দালহাম হাদীসের হাফিয নন। তিনি ওয়াসিত অঞ্চলের কসাই ছিলেন।
উবাদাহ ইবনু সামিত (রাঃ) থেকে নবী (ﷺ) সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত। লোকজন সা’দ ইবনু উবাদাহ (রাঃ)-কে বললো, হে সাবিতের পিতা! হাদ্দ সংক্রান্ত আয়াত নাযিল হয়েছে। অতএব আপনি যদি আপনার স্ত্রীর সঙ্গে কোনো পুরুষ লোককে দেখতে পান তাহলে আপনি কি করবেন? তিনি বলেন, আমি তরবারির আঘাতে উভয়কে নিস্তব্ধ করে দিতাম। আমি কি যাবো এবং চারজন সাক্ষী একত্র করবো, আর এ সুযোগে তারা তাদের অপকর্ম সেরে নিবে?
অতএব তারা গিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট একত্র হয়ে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি সাবিতের পিতাকে দেখেননি, তিনি এই এই কথা বলেছেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তরবারিই যথেষ্ট সাক্ষী। অতঃপর তিনি বলেন, না না, আমি আশঙ্কা করি যে, কোনো উন্মত্ত ও আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন লোকই এ পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারে। আরেক বর্ণনায় রয়েছেঃ এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর ক্রীতদাসীর সঙ্গে সংগমে লিপ্ত হয়।’ ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) বলেন, আল-ফাদল ইবনু দালহাম হাদীসের হাফিয নন। তিনি ওয়াসিত অঞ্চলের কসাই ছিলেন।
كتاب الحدود
باب فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ بْنِ سُفْيَانَ، قَالاَ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنِ الْحَسَنِ، بِإِسْنَادِ يَحْيَى وَمَعْنَاهُ قَالاَ " جَلْدُ مِائَةٍ وَالرَّجْمُ "
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَوْفٍ الطَّائِيُّ، حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ رَوْحِ بْنِ خُلَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، - يَعْنِي الْوَهْبِيَّ - حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ دَلْهَمٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْمُحَبَّقِ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ نَاسٌ لِسَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ يَا أَبَا ثَابِتٍ قَدْ نَزَلَتِ الْحُدُودُ لَوْ أَنَّكَ وَجَدْتَ مَعَ امْرَأَتِكَ رَجُلاً كَيْفَ كُنْتَ صَانِعًا قَالَ كُنْتُ ضَارِبَهُمَا بِالسَّيْفِ حَتَّى يَسْكُتَا أَفَأَنَا أَذْهَبُ فَأَجْمَعُ أَرْبَعَةَ شُهَدَاءَ فَإِلَى ذَلِكَ قَدْ قَضَى الْحَاجَةَ . فَانْطَلَقُوا فَاجْتَمَعُوا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَمْ تَرَ إِلَى أَبِي ثَابِتٍ قَالَ كَذَا وَكَذَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كَفَى بِالسَّيْفِ شَاهِدًا " . ثُمَّ قَالَ " لاَ لاَ أَخَافُ أَنْ يَتَتَايَعَ فِيهَا السَّكْرَانُ وَالْغَيْرَانُ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَى وَكِيعٌ أَوَّلَ هَذَا الْحَدِيثِ عَنِ الْفَضْلِ بْنِ دَلْهَمٍ عَنِ الْحَسَنِ عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ حُرَيْثٍ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْمُحَبَّقِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَإِنَّمَا هَذَا إِسْنَادُ حَدِيثِ ابْنِ الْمُحَبَّقِ أَنَّ رَجُلاً وَقَعَ عَلَى جَارِيَةِ امْرَأَتِهِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ الْفَضْلُ بْنُ دَلْهَمٍ لَيْسَ بِالْحَافِظِ كَانَ قَصَّابًا بِوَاسِطَ .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَوْفٍ الطَّائِيُّ، حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ رَوْحِ بْنِ خُلَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، - يَعْنِي الْوَهْبِيَّ - حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ دَلْهَمٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْمُحَبَّقِ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ نَاسٌ لِسَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ يَا أَبَا ثَابِتٍ قَدْ نَزَلَتِ الْحُدُودُ لَوْ أَنَّكَ وَجَدْتَ مَعَ امْرَأَتِكَ رَجُلاً كَيْفَ كُنْتَ صَانِعًا قَالَ كُنْتُ ضَارِبَهُمَا بِالسَّيْفِ حَتَّى يَسْكُتَا أَفَأَنَا أَذْهَبُ فَأَجْمَعُ أَرْبَعَةَ شُهَدَاءَ فَإِلَى ذَلِكَ قَدْ قَضَى الْحَاجَةَ . فَانْطَلَقُوا فَاجْتَمَعُوا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَمْ تَرَ إِلَى أَبِي ثَابِتٍ قَالَ كَذَا وَكَذَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كَفَى بِالسَّيْفِ شَاهِدًا " . ثُمَّ قَالَ " لاَ لاَ أَخَافُ أَنْ يَتَتَايَعَ فِيهَا السَّكْرَانُ وَالْغَيْرَانُ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَى وَكِيعٌ أَوَّلَ هَذَا الْحَدِيثِ عَنِ الْفَضْلِ بْنِ دَلْهَمٍ عَنِ الْحَسَنِ عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ حُرَيْثٍ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْمُحَبَّقِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَإِنَّمَا هَذَا إِسْنَادُ حَدِيثِ ابْنِ الْمُحَبَّقِ أَنَّ رَجُلاً وَقَعَ عَلَى جَارِيَةِ امْرَأَتِهِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ الْفَضْلُ بْنُ دَلْهَمٍ لَيْسَ بِالْحَافِظِ كَانَ قَصَّابًا بِوَاسِطَ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৩৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪১৮
শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়
২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।
৪৩৬৫. আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) খুতবা দেওয়ার সময় বলেন যে, মহান আল্লাহ মুহাম্মাদ (ﷺ)কে সত্য নবী হিসাবে প্রেরণ করেন এবং তাঁর উপর কিতাবও নাযিল করেন, যাতে রজমের নির্দেশ আছে। আমরা তা তিলাওয়াত করে ভালভাবে মুখস্থ করেছি।
স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রজম করেছেন এবং তাঁর পরে আমরাও রজম করেছি। এখন আমার সন্দেহ হচ্ছে যে, দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার কারণে হয়তো কেউ এরূপ বলবেঃ আমরা আল্লাহর কিতাবে রজম সম্পর্কে কোন নির্দেশ পাই না। ফলে তারা আল্লাহর একটি ফরয নির্দেশ পরিত্যাগ করার কারণে গুমরাহ হয়ে যাবে।
এরপর তিনি বলেনঃ যে সব নর-নারী যিনায় লিপ্ত হয়, তাদের জন্য রজমের নির্দেশ আছে; যদি সে বিবাহিত হয়, যদি সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়, অথবা গর্ভবতী হয়, অথবা সে নিজে তা স্বীকার করে। আল্লাহর শপথ! যদি লোকেরা এরূপ বলাবলি না করতো যে, উমর আল্লাহর কিতাবে অতিরিক্ত যোগ করেছে, তবে আমি রজমের আয়াত লিখে দিতাম।
স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রজম করেছেন এবং তাঁর পরে আমরাও রজম করেছি। এখন আমার সন্দেহ হচ্ছে যে, দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার কারণে হয়তো কেউ এরূপ বলবেঃ আমরা আল্লাহর কিতাবে রজম সম্পর্কে কোন নির্দেশ পাই না। ফলে তারা আল্লাহর একটি ফরয নির্দেশ পরিত্যাগ করার কারণে গুমরাহ হয়ে যাবে।
এরপর তিনি বলেনঃ যে সব নর-নারী যিনায় লিপ্ত হয়, তাদের জন্য রজমের নির্দেশ আছে; যদি সে বিবাহিত হয়, যদি সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়, অথবা গর্ভবতী হয়, অথবা সে নিজে তা স্বীকার করে। আল্লাহর শপথ! যদি লোকেরা এরূপ বলাবলি না করতো যে, উমর আল্লাহর কিতাবে অতিরিক্ত যোগ করেছে, তবে আমি রজমের আয়াত লিখে দিতাম।
كتاب الحدود
باب فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ عُمَرَ، - يَعْنِي ابْنَ الْخَطَّابِ - رضى الله عنه خَطَبَ فَقَالَ إِنَّ اللَّهَ بَعَثَ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم بِالْحَقِّ وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ الْكِتَابَ فَكَانَ فِيمَا أَنْزَلَ عَلَيْهِ آيَةُ الرَّجْمِ فَقَرَأْنَاهَا وَوَعَيْنَاهَا وَرَجَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَجَمْنَا مِنْ بَعْدِهِ وَإِنِّي خَشِيتُ - إِنْ طَالَ بِالنَّاسِ الزَّمَانُ - أَنْ يَقُولَ قَائِلٌ مَا نَجِدُ آيَةَ الرَّجْمِ فِي كِتَابِ اللَّهِ فَيَضِلُّوا بِتَرْكِ فَرِيضَةٍ أَنْزَلَهَا اللَّهُ تَعَالَى فَالرَّجْمُ حَقٌّ عَلَى مَنْ زَنَى مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ إِذَا كَانَ مُحْصَنًا إِذَا قَامَتِ الْبَيِّنَةُ أَوْ كَانَ حَمْلٌ أَوِ اعْتِرَافٌ وَايْمُ اللَّهِ لَوْلاَ أَنْ يَقُولَ النَّاسُ زَادَ عُمَرُ فِي كِتَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ لَكَتَبْتُهَا .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৩৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪১৯
শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়
২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।
৪৩৬৬. মুহাম্মাদ ইবনে সুলাইমান (রাহঃ) .... ইয়াযীদ ইবনে নুআয়েম ইবনে হুযাল (রাহঃ) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ মা’ইয ইবনে মালিক ইয়াতীম ছিলেন এবং তিনি আমার পিতার নিকট লালিত-পালিত হন। একদা তিনি মহল্লার একটি মেয়ের সাথে ব্যভিচার করেন। তখন আমার পিতা তাকে বলেনঃ তুমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট যাও এবং অবস্থা সম্পর্কে তাঁকে অবহিত কর। সম্ভবতঃ তিনি তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবেন-তোমার অপকর্মের জন্য। আর তার এরূপ বলার উদ্দেশ্য এই ছিল যে, যাতে মা’ইযের নাজাতের কোন ব্যবস্থা হয়ে যায়।
এরপর মা’ইয (রাযিঃ) তাঁর নিকট যান এবং বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি যিনা করেছি, আপনি আমার উপর আল্লাহর কিতাবের হুকুম কার্যকরী করুন। একথা শুনে নবী (ﷺ) তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। তিনি দ্বিতীয়বার বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি যিনা করেছি, আপনি আমার উপর আল্লাহর কিতাবের হুকুম কার্যকরী করুন। এ ভাবে তিনি চারবার তার ক্রটির কথা স্বীকার করেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ তুমি তো চারবার তোমার দোষের কথা স্বীকার করেছ। এখন বলঃ তুমি কার সাথে যিনা করেছ? তখন তিনি বলেনঃ অমুক মেয়ের সাথে।
তখন নবী (ﷺ) জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কি তার সাথে শয়ন করেছিলে? মা’ইয বলেনঃ হ্যাঁ। নবী (ﷺ) বলেনঃ তুমি কি তার সাথে মিলিত হয়েছিলে? মা’ইয বলেনঃ হ্যাঁ। এরপর নবী (ﷺ) জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কি তার সাথে সঙ্গম করেছিলে? মা’ইয বলেনঃ হ্যাঁ। এ সব শুনে নবী (ﷺ) তাকে রজম বা পাথর মেরে হত্যার নির্দেশ দেন।
তাকে হাররা নামক স্থানে নেয়া হয় এবং পাথর মারা শুরু হলে ভয়ে অস্থির হয়ে তিনি পালাতে থাকেন। এ সময় আব্দুল্লাহ ইবনে উনায়স তাকে কাবু করে ফেলেন। তাঁর সঙ্গী ক্লান্ত হয়ে পড়ায়, তিনি উটের খুর দিয়ে তাকে আঘাত করে হত্যা করেন। এরপর তিনি নবী (ﷺ)-এর নিকট এসে এ ঘটনা বর্ণনা করলে, তিনি বলেনঃ তোমরা তাকে কেন ছেড়ে দিলে না? সে হয়তো খালিস তাওবা করতো এবং আল্লাহ তাকে মাফ করে দিত।
এরপর মা’ইয (রাযিঃ) তাঁর নিকট যান এবং বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি যিনা করেছি, আপনি আমার উপর আল্লাহর কিতাবের হুকুম কার্যকরী করুন। একথা শুনে নবী (ﷺ) তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। তিনি দ্বিতীয়বার বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি যিনা করেছি, আপনি আমার উপর আল্লাহর কিতাবের হুকুম কার্যকরী করুন। এ ভাবে তিনি চারবার তার ক্রটির কথা স্বীকার করেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ তুমি তো চারবার তোমার দোষের কথা স্বীকার করেছ। এখন বলঃ তুমি কার সাথে যিনা করেছ? তখন তিনি বলেনঃ অমুক মেয়ের সাথে।
তখন নবী (ﷺ) জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কি তার সাথে শয়ন করেছিলে? মা’ইয বলেনঃ হ্যাঁ। নবী (ﷺ) বলেনঃ তুমি কি তার সাথে মিলিত হয়েছিলে? মা’ইয বলেনঃ হ্যাঁ। এরপর নবী (ﷺ) জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কি তার সাথে সঙ্গম করেছিলে? মা’ইয বলেনঃ হ্যাঁ। এ সব শুনে নবী (ﷺ) তাকে রজম বা পাথর মেরে হত্যার নির্দেশ দেন।
তাকে হাররা নামক স্থানে নেয়া হয় এবং পাথর মারা শুরু হলে ভয়ে অস্থির হয়ে তিনি পালাতে থাকেন। এ সময় আব্দুল্লাহ ইবনে উনায়স তাকে কাবু করে ফেলেন। তাঁর সঙ্গী ক্লান্ত হয়ে পড়ায়, তিনি উটের খুর দিয়ে তাকে আঘাত করে হত্যা করেন। এরপর তিনি নবী (ﷺ)-এর নিকট এসে এ ঘটনা বর্ণনা করলে, তিনি বলেনঃ তোমরা তাকে কেন ছেড়ে দিলে না? সে হয়তো খালিস তাওবা করতো এবং আল্লাহ তাকে মাফ করে দিত।
كتاب الحدود
باب فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الأَنْبَارِيُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ نُعَيْمِ بْنِ هَزَّالٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ مَاعِزُ بْنُ مَالِكٍ يَتِيمًا فِي حِجْرِ أَبِي . فَأَصَابَ جَارِيَةً مِنَ الْحَىِّ فَقَالَ لَهُ أَبِي ائْتِ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبِرْهُ بِمَا صَنَعْتَ لَعَلَّهُ يَسْتَغْفِرُ لَكَ وَإِنَّمَا يُرِيدُ بِذَلِكَ رَجَاءَ أَنْ يَكُونَ لَهُ مَخْرَجًا فَأَتَاهُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي زَنَيْتُ فَأَقِمْ عَلَىَّ كِتَابَ اللَّهِ . فَأَعْرَضَ عَنْهُ فَعَادَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي زَنَيْتُ فَأَقِمْ عَلَىَّ كِتَابَ اللَّهِ . حَتَّى قَالَهَا أَرْبَعَ مِرَارٍ . قَالَ صلى الله عليه وسلم " إِنَّكَ قَدْ قُلْتَهَا أَرْبَعَ مَرَّاتٍ فَبِمَنْ " . قَالَ بِفُلاَنَةَ . قَالَ " هَلْ ضَاجَعْتَهَا " . قَالَ نَعَمْ . قَالَ " هَلْ بَاشَرْتَهَا " . قَالَ نَعَمْ . قَالَ " هَلْ جَامَعْتَهَا " . قَالَ نَعَمْ . قَالَ فَأَمَرَ بِهِ أَنْ يُرْجَمَ فَأُخْرِجَ بِهِ إِلَى الْحَرَّةِ . فَلَمَّا رُجِمَ فَوَجَدَ مَسَّ الْحِجَارَةِ جَزِعَ فَخَرَجَ يَشْتَدُّ فَلَقِيَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُنَيْسٍ وَقَدْ عَجَزَ أَصْحَابُهُ فَنَزَعَ لَهُ بِوَظِيفِ بَعِيرٍ فَرَمَاهُ بِهِ فَقَتَلَهُ ثُمَّ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ " هَلاَّ تَرَكْتُمُوهُ لَعَلَّهُ أَنْ يَتُوبَ فَيَتُوبَ اللَّهُ عَلَيْهِ " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৩৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪২০
শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়
২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।
৪৩৬৭. উবাইদুল্লাহ ইবনে উমর (রাহঃ) ..... মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমি আসিম ইবনে আমর ইবনে কাতাদা (রাহঃ)-এর নিকট মা’ইয ইবনে মালিক (রাযিঃ)-এর ঘটনা বর্ণনা করি। তখন তিনি বলেনঃ হাসান ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) আমার নিকট রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর এ হাদীস বর্ণনা করেন যে, তোমরা আসলামের লোকদের মধ্য হতে তাকে পরিত্যাগ করনি। আমি অবশ্য এ জন্য তাদের দোষারোপ করি না।
রাবী বলেনঃ আমি হাদীসের এ অর্থ বুঝতে না পারায় জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ)-এর নিকট যাই এবং বলিঃ আসলাম গোত্রের কোন কোন লোক এ হাদীস বর্ণনা করে যে, যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সামনে মা’ইযের পাথরের আঘাত প্রাপ্তির, তার ভীতি-জনক অবস্থার কথা বর্ণনা করা হয়, তখন তিনি বলেনঃ তোমরা তাকে কেন ছেড়ে দিলে না? আমি এ হাদীসের অর্থ বুঝতে অক্ষম।
তখন জাবির (রাযিঃ) বলেনঃ হে প্রিয় ভ্রাতুষ্পুত্র! আমি এ হাদীস সম্পর্কে অধিক অভিজ্ঞ এবং মা’ইযের রজমকারীদের মাঝে আমি অন্যতম। এরপর তিনি বলেনঃ আমরা তাকে ময়দানে নিয়ে যখন পাথর মারা শুরু করি, তখন সে স্থির হয়ে চিৎকার করে বলে যে, হে জনগণ! তোমরা আমাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট ফিরিয়ে নিয়ে চল। কেননা আমার গোত্রের লোকেরা আমাকে মেরে ফেলার জন্য ধোঁকাবাজী করেছে। তারা আমাকে বলেছিলঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে হত্যার নির্দেশ দেবেন না। কিন্তু তার এ কথার প্রতি আমরা কর্ণপাত না করে, তাকে হত্যা করে ফেলি।
আমরা ফিরে এসে এ সম্পর্কে নবী (ﷺ)-কে অবহিত করলে তিনি বলেনঃ তোমরা তাকে কেন ছেড়ে দিলে না এবং কেন আমার কাছে আনলে না? যাতে তিনি তাকে শাস্তি কবুল করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতেন। কাজেই, নবী (ﷺ)-এর এ নির্দেশ শাস্তি মাফ করার জন্য ছিল না। এরপর রাবী মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক (রাহঃ) বলেনঃ এখন আমি সঠিকভাবে হাদীসের অর্থ বুঝতে পারলাম।
রাবী বলেনঃ আমি হাদীসের এ অর্থ বুঝতে না পারায় জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ)-এর নিকট যাই এবং বলিঃ আসলাম গোত্রের কোন কোন লোক এ হাদীস বর্ণনা করে যে, যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সামনে মা’ইযের পাথরের আঘাত প্রাপ্তির, তার ভীতি-জনক অবস্থার কথা বর্ণনা করা হয়, তখন তিনি বলেনঃ তোমরা তাকে কেন ছেড়ে দিলে না? আমি এ হাদীসের অর্থ বুঝতে অক্ষম।
তখন জাবির (রাযিঃ) বলেনঃ হে প্রিয় ভ্রাতুষ্পুত্র! আমি এ হাদীস সম্পর্কে অধিক অভিজ্ঞ এবং মা’ইযের রজমকারীদের মাঝে আমি অন্যতম। এরপর তিনি বলেনঃ আমরা তাকে ময়দানে নিয়ে যখন পাথর মারা শুরু করি, তখন সে স্থির হয়ে চিৎকার করে বলে যে, হে জনগণ! তোমরা আমাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট ফিরিয়ে নিয়ে চল। কেননা আমার গোত্রের লোকেরা আমাকে মেরে ফেলার জন্য ধোঁকাবাজী করেছে। তারা আমাকে বলেছিলঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে হত্যার নির্দেশ দেবেন না। কিন্তু তার এ কথার প্রতি আমরা কর্ণপাত না করে, তাকে হত্যা করে ফেলি।
আমরা ফিরে এসে এ সম্পর্কে নবী (ﷺ)-কে অবহিত করলে তিনি বলেনঃ তোমরা তাকে কেন ছেড়ে দিলে না এবং কেন আমার কাছে আনলে না? যাতে তিনি তাকে শাস্তি কবুল করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতেন। কাজেই, নবী (ﷺ)-এর এ নির্দেশ শাস্তি মাফ করার জন্য ছিল না। এরপর রাবী মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক (রাহঃ) বলেনঃ এখন আমি সঠিকভাবে হাদীসের অর্থ বুঝতে পারলাম।
كتاب الحدود
باب فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ ذَكَرْتُ لِعَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ قِصَّةَ مَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ فَقَالَ لِي حَدَّثَنِي حَسَنُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ حَدَّثَنِي ذَلِكَ، مِنْ قَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " فَهَلاَّ تَرَكْتُمُوهُ " . مَنْ شِئْتُمْ مِنْ رِجَالِ أَسْلَمَ مِمَّنْ لاَ أَتَّهِمُ . قَالَ وَلَمْ أَعْرِفْ هَذَا الْحَدِيثَ قَالَ فَجِئْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ فَقُلْتُ إِنَّ رِجَالاً مِنْ أَسْلَمَ يُحَدِّثُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُمْ حِينَ ذَكَرُوا لَهُ جَزَعَ مَاعِزٍ مِنَ الْحِجَارَةِ حِينَ أَصَابَتْهُ " أَلاَّ تَرَكْتُمُوهُ " . وَمَا أَعْرِفُ الْحَدِيثَ قَالَ يَا ابْنَ أَخِي أَنَا أَعْلَمُ النَّاسِ بِهَذَا الْحَدِيثِ كُنْتُ فِيمَنْ رَجَمَ الرَّجُلَ إِنَّا لَمَّا خَرَجْنَا بِهِ فَرَجَمْنَاهُ فَوَجَدَ مَسَّ الْحِجَارَةِ صَرَخَ بِنَا يَا قَوْمِ رُدُّونِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِنَّ قَوْمِي قَتَلُونِي وَغَرُّونِي مِنْ نَفْسِي وَأَخْبَرُونِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَيْرُ قَاتِلِي فَلَمْ نَنْزِعْ عَنْهُ حَتَّى قَتَلْنَاهُ فَلَمَّا رَجَعْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَخْبَرْنَاهُ قَالَ " فَهَلاَّ تَرَكْتُمُوهُ وَجِئْتُمُونِي بِهِ " . لِيَسْتَثْبِتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْهُ فَأَمَّا لِتَرْكِ حَدٍّ فَلاَ قَالَ فَعَرَفْتُ وَجْهَ الْحَدِيثِ .
হাদীস নং: ৪৩৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪২১
শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়
২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।
৪৩৬৮. আবু কামিল (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা মা’ইয ইবনে মালিক (রাযিঃ) নবী (ﷺ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলেঃ সে যিনা করেছে। তখন নবী (ﷺ) তাঁর মুখ ফিরিয়ে নেন। এ ভাবে মা’ইয (রাযিঃ) কয়েক বার এরূপ স্বীকারোক্তি করতে থাকলে নবী (ﷺ)ও তাঁর মুখ ফিরিয়ে নিতে থাকেন। অবশেষে তিনি লোকদের জিজ্ঞাসা করেনঃ লোকটা কি পাগল? তারা বলেনঃ না, এ ধরনের কোন লক্ষণ তার মধ্যে নেই। তখন নবী (ﷺ) মা’ইয (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কি সে মহিলার সাথে যিনা করেছ? তিনি বলেনঃ হ্যাঁ। তখন নবী (ﷺ) পাথর মেরে তাকে হত্যার নির্দেশ দেন। এরপর লোকেরা তাকে ময়দানে নিয়ে পাথর মেরে হত্যা করে। তাঁর জানাযার নামায আদায় করা হয়নি।
كتاب الحدود
باب فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، - يَعْنِي الْحَذَّاءَ - عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ مَاعِزَ بْنَ مَالِكٍ، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّهُ زَنَى . فَأَعْرَضَ عَنْهُ فَأَعَادَ عَلَيْهِ مِرَارًا فَأَعْرَضَ عَنْهُ فَسَأَلَ قَوْمَهُ " أَمَجْنُونٌ هُوَ " . قَالُوا لَيْسَ بِهِ بَأْسٌ . قَالَ " أَفَعَلْتَ بِهَا " . قَالَ نَعَمْ . فَأَمَرَ بِهِ أَنْ يُرْجَمَ فَانْطُلِقَ بِهِ فَرُجِمَ وَلَمْ يُصَلِّ عَلَيْهِ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৩৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪২২
শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়
২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।
৪৩৬৯. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ..... জাবির ইবনে সামুরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি মা’ইয ইবনে মালিক (রাযিঃ)-কে তখন দেখি, যখন তাকে নবী (ﷺ)-এর নিকট উপস্থিত করা হয়। তিনি খর্বাকৃতি বিশিষ্ট স্থুল দেহী লোক ছিলেন এবং সে সময় তার দেহে কোন চাদর ছিল না। তিনি চারবার এরূপ স্বীকারোক্তি করেন যে, আমি যিনা করেছি। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ সম্ভবতঃ তুমি তাকে চুম্বন করেছ। মা’ইয (রাযিঃ) বলেনঃ আল্লাহর শপথ! আমি যিনা করেছি। তখন নবী (ﷺ) পাথর মেরে তাকে হত্যার নির্দেশ দেন।
এরপর নবী (ﷺ) খুতবা দেওয়ার সময় বলেনঃ যখন আমরা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের উদ্দেশ্যে সফর করি, তখন কাফিলার পেছনে তদারককারী এক ব্যক্তি থাকে, যে বকরীর মত শব্দ করে এবং সুযোগমত কোন মহিলার সাথে শয়তানী চক্রান্তের ফলে যিনায় লিপ্ত হয়। পরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ তোমরা শুনে রাখ, যদি মহান আল্লাহ আমাকে শক্তি দান করেন, তবে আমি ঐ ব্যক্তিকে মহিলাদের সাথে অপকর্মে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত রাখবো।
এরপর নবী (ﷺ) খুতবা দেওয়ার সময় বলেনঃ যখন আমরা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের উদ্দেশ্যে সফর করি, তখন কাফিলার পেছনে তদারককারী এক ব্যক্তি থাকে, যে বকরীর মত শব্দ করে এবং সুযোগমত কোন মহিলার সাথে শয়তানী চক্রান্তের ফলে যিনায় লিপ্ত হয়। পরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ তোমরা শুনে রাখ, যদি মহান আল্লাহ আমাকে শক্তি দান করেন, তবে আমি ঐ ব্যক্তিকে মহিলাদের সাথে অপকর্মে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত রাখবো।
كتاب الحدود
باب فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ رَأَيْتُ مَاعِزَ بْنَ مَالِكٍ حِينَ جِيءَ بِهِ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً قَصِيرًا أَعْضَلَ لَيْسَ عَلَيْهِ رِدَاءٌ فَشَهِدَ عَلَى نَفْسِهِ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ أَنَّهُ قَدْ زَنَى . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " فَلَعَلَّكَ قَبَّلْتَهَا " . قَالَ لاَ وَاللَّهِ إِنَّهُ قَدْ زَنَى الآخِرُ . قَالَ فَرَجَمَهُ ثُمَّ خَطَبَ فَقَالَ " أَلاَ كُلَّمَا نَفَرْنَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ خَلَفَ أَحَدُهُمْ لَهُ نَبِيبٌ كَنَبِيبِ التَّيْسِ يَمْنَحُ إِحْدَاهُنَّ الْكُثْبَةَ أَمَا إِنَّ اللَّهَ إِنْ يُمَكِّنِّي مِنْ أَحَدٍ مِنْهُمْ إِلاَّ نَكَلْتُهُ عَنْهُنَّ " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৩৭০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪২৩
শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়
২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।
৪৩৭০. মুহাম্মাদ ইবনে মুছান্না (রাহঃ) .... সিমাক (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি জাবির ইবনে সামুরা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ হাদীস শ্রবণ করেছি কিন্তু প্রথম হাদীসটি সম্পূর্ণ। রাবী বলেনঃ নবী (ﷺ) দু’বার মা’ইযের কথাকে প্রত্যাখ্যান করেন।
রাবী সিমাক (রাহঃ) বলেনঃ সাঈদ ইবনে জুবাইর (রাযিঃ) এ হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেন যে, নবী করীম (ﷺ) মা’ইয (রাযিঃ) এর স্বীকারোক্তিকে চারবার প্রত্যাখ্যান করেন।
রাবী সিমাক (রাহঃ) বলেনঃ সাঈদ ইবনে জুবাইর (রাযিঃ) এ হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেন যে, নবী করীম (ﷺ) মা’ইয (রাযিঃ) এর স্বীকারোক্তিকে চারবার প্রত্যাখ্যান করেন।
كتاب الحدود
باب فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سِمَاكٍ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ سَمُرَةَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ وَالأَوَّلُ أَتَمُّ قَالَ فَرَدَّهُ مَرَّتَيْنِ . قَالَ سِمَاكٌ فَحَدَّثْتُ بِهِ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ فَقَالَ إِنَّهُ رَدَّهُ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৩৭১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪২৪
শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়
২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।
৪৩৭১. আব্দুল গণী (রাহঃ) .... শুবা (রাহঃ) বলেনঃ আমি রাবী সিমাক (রাহঃ) কে ’কুছবা’ শব্দের অর্থ জিজ্ঞাসা করি। তখন তিনি বলেনঃ ’কুছবা’ শব্দের অর্থ হলো অল্প দুধ, অর্থাৎ মনি বা বীর্য, (যা সহবাসকালে নির্গত হয়)।
كتاب الحدود
باب فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْغَنِيِّ بْنُ أَبِي عَقِيلٍ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، - يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ - قَالَ قَالَ شُعْبَةُ فَسَأَلْتُ سِمَاكًا عَنِ الْكُثْبَةِ فَقَالَ اللَّبَنُ الْقَلِيلُ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৩৭২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪২৫
শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়
২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।
৪৩৭২. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মা’ইয ইবনে মালিক (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করেনঃ তোমার সম্পর্কে আমাকে যা বলা হয়েছে, তা কি সত্য? তিনি বলেনঃ আপনি আমার সম্পর্কে কি জেনেছেন? নবী (ﷺ) বলেনঃ আমি জানতে পেরেছি তুমি অমুক গোত্রের জনৈক দাসীর সাথে যিনা করেছ। মা’ইয (রাযিঃ) বলেনঃ হ্যাঁ; এ ভাবে তিনি চারবার স্বীকারোক্তি করলে নবী (ﷺ) তাকে পাথর মেরে হত্যার নির্দেশ দেন।
كتاب الحدود
باب فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِمَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ " أَحَقٌّ مَا بَلَغَنِي عَنْكَ " . قَالَ وَمَا بَلَغَكَ عَنِّي قَالَ " بَلَغَنِي عَنْكَ أَنَّكَ وَقَعْتَ عَلَى جَارِيَةِ بَنِي فُلاَنٍ " . قَالَ نَعَمْ . فَشَهِدَ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ فَأَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৩৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪২৬
শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়
২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।
৪৩৭৩. নসর ইবনে আলী (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা মা’ইয ইবনে মালিক (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে দু’বার যিনায় লিপ্ত হওয়ার কথা স্বীকার করলে, তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর মা’ইয (রাযিঃ) পুনরায় নবী (ﷺ) এর কাছে এসে দু’বার যিনার কথা স্বীকার করেন। তখন তিনি বলেনঃ তুমি নিজেই চারবার যিনার কথা স্বীকার করেছ। তখন তিনি সাহাবীদের বলেনঃ তোমরা একে নিয়ে যাও এবং পাথর মেরে হত্যা কর।
كتاب الحدود
باب فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، أَخْبَرَنَا أَبُو أَحْمَدَ، أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ جَاءَ مَاعِزُ بْنُ مَالِكٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَاعْتَرَفَ بِالزِّنَا مَرَّتَيْنِ فَطَرَدَهُ ثُمَّ جَاءَ فَاعْتَرَفَ بِالزِّنَا مَرَّتَيْنِ فَقَالَ " شَهِدْتَ عَلَى نَفْسِكَ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ اذْهَبُوا بِهِ فَارْجُمُوهُ " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৩৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪২৭
শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়
২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।
৪৩৭৪. মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী করীম (ﷺ) মা’ইয ইবনে মালিক (রাযিঃ)-কে বলেনঃ সন্তবতঃ তুমি তাকে চুম্বন করেছ, নয়তো স্পর্শ করেছ, অথবা তার দিকে খারাপ দৃষ্টিতে তাকিয়েছ। তখন মা’ইয (রাযিঃ) বলেনঃ না। নবী (ﷺ) জিজ্ঞাসা করেনঃ তবে কি তুমি তার সাথে সঙ্গম করেছ। তিনি বলেনঃ হ্যাঁ। এ কথা শুনে নবী (ﷺ) তাকে পাথর মেরে হত্যার নির্দেশ দেন। রাবী মুসা ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে এরূপ বর্ণনা করেননি বরং রাবী ওয়াহাব নিজেই এরূপ বর্ণনা করেছেন।
كتاب الحدود
باب فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، حَدَّثَنِي يَعْلَى، عَنْ عِكْرِمَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ح وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ وَعُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ قَالاَ حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ سَمِعْتُ يَعْلَى بْنَ حَكِيمٍ يُحَدِّثُ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِمَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ " لَعَلَّكَ قَبَّلْتَ أَوْ غَمَزْتَ أَوْ نَظَرْتَ " . قَالَ لاَ . قَالَ " أَفَنِكْتَهَا " . قَالَ نَعَمْ . قَالَ فَعِنْدَ ذَلِكَ أَمَرَ بِرَجْمِهِ . وَلَمْ يَذْكُرْ مُوسَى عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَهَذَا لَفْظُ وَهْبٍ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৩৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪২৮ - ৪৪২৯
শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়
২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।
৪৩৭৫. হাসান ইবনে আলী (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আসলাম গোত্রের জনৈক ব্যক্তি নবী করীম (ﷺ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে স্বীকার করে যে, সে হারামভাবে একজন মহিলার সাথে যিনা করেছে, আর সে ব্যক্তি চারবার এরূপ স্বীকারোক্তি করে। কিন্তু নবী (ﷺ) প্রতিবারই তার কথা প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর সে ব্যক্তি পঞ্চমবারের মত স্বীকারোক্তি করার জন্য হাযির হলে, নবী (ﷺ) তাকে জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কি তার সাথে সঙ্গম করেছ? তখন সে বলেঃ হ্যাঁ। তখন নবী (ﷺ) জিজ্ঞাসা করেনঃ তোমার গুপ্তাঙ্গ কি তার গুপ্তাঙ্গের মধ্যে অদৃশ্য হয়েছিল? সে বলেঃ হ্যাঁ। তখন নবী (ﷺ) তাকে আবার জিজ্ঞাসা করেনঃ তোমার গুপ্তাঙ্গ কি তার গুপ্তাঙ্গের মধ্যে এরূপ অদৃশ্য হয়েছিল, যেমন সুরমা দানির মধ্যে তার শলাকা বা কূপের মধ্যে রশি অদৃশ্য হয়ে যায়? তখন সে ব্যক্তি বলেঃ হ্যাঁ।
তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ তুমি কি জান, যিনা কী? সে বলেঃ যেরূপ কেউ হালাল ভাবে তার স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করে, আমি এরূপই হারামভাবে তার সাথে সঙ্গম করেছি। তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ এখন তুমি কিসের ইচ্ছা পোষণ কর? সে ব্যক্তি বলেঃ আমি আশা করি, আপনি আমাকে পবিত্র করবেন। এরপর নবী করীম (ﷺ) তাকে ’রজম’ করার নির্দেশ দিলে, তা কার্যকরী করা হয়।
এরপর নবী (ﷺ) তাঁর দু’জন সাহাবীকে এরূপ বলতে শোনেন, যাদের একজন এরূপ বলছিল; আল্লাহ তাআলা তার গুনাহকে গোপন রেখেছিলেন, কিন্তু সে ব্যক্তি নিজে তা প্রকাশ করায় কুকুরের মত মৃত্যুবরণ করলো। একথা শুনে নবী (ﷺ) চুপ থাকেন। এরপর সামনে কিছু দূর গমনের পর তিনি দেখতে পান যে, একটি মৃত গাধা পড়ে আছে, যার পা উপরের দিকে। তখন তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ অমুক, অমুক ব্যক্তি কোথায়?
তখন তারা দু’জন সেখানে হাযির হয়ে বলেঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা উপস্থিত। তখন তিনি তাদের বলেনঃ এসো এবং তোমরা এ মৃত গাধার গোশত ভক্ষণ কর। তখন তারা দু’জন বলেঃ হে আল্লাহর নবী! ইহা কে ভক্ষণ করে থাকে? তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ তোমরা তোমাদের ভাইয়ের ক্রটি যেভাবে আলেচনা করেছ, তা এই মরা গাধার গোশত খাওয়ার চাইতেও গুরুতর! আল্লাহর শপথ! যার নিয়ন্ত্রণে আমার জীবন; তোমরা শুনে নাও! মা’ইয (রাযিঃ) এখন জান্নাতের নহরে গোসল করছে।
আবু হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত। এতে আরো রয়েছেঃ হাসান ইবনু আলী বলেন, বর্ণনাকারী বিভিন্ন শব্দে হাদীসটি আমার নিকট বর্ণনা করেছেন। কেউ বলেছেন, লোকজন মাঈযকে গাছের সঙ্গে বেঁধেছিল আবার কেউ বলেছেন, তাকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল।
তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ তুমি কি জান, যিনা কী? সে বলেঃ যেরূপ কেউ হালাল ভাবে তার স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করে, আমি এরূপই হারামভাবে তার সাথে সঙ্গম করেছি। তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ এখন তুমি কিসের ইচ্ছা পোষণ কর? সে ব্যক্তি বলেঃ আমি আশা করি, আপনি আমাকে পবিত্র করবেন। এরপর নবী করীম (ﷺ) তাকে ’রজম’ করার নির্দেশ দিলে, তা কার্যকরী করা হয়।
এরপর নবী (ﷺ) তাঁর দু’জন সাহাবীকে এরূপ বলতে শোনেন, যাদের একজন এরূপ বলছিল; আল্লাহ তাআলা তার গুনাহকে গোপন রেখেছিলেন, কিন্তু সে ব্যক্তি নিজে তা প্রকাশ করায় কুকুরের মত মৃত্যুবরণ করলো। একথা শুনে নবী (ﷺ) চুপ থাকেন। এরপর সামনে কিছু দূর গমনের পর তিনি দেখতে পান যে, একটি মৃত গাধা পড়ে আছে, যার পা উপরের দিকে। তখন তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ অমুক, অমুক ব্যক্তি কোথায়?
তখন তারা দু’জন সেখানে হাযির হয়ে বলেঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা উপস্থিত। তখন তিনি তাদের বলেনঃ এসো এবং তোমরা এ মৃত গাধার গোশত ভক্ষণ কর। তখন তারা দু’জন বলেঃ হে আল্লাহর নবী! ইহা কে ভক্ষণ করে থাকে? তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ তোমরা তোমাদের ভাইয়ের ক্রটি যেভাবে আলেচনা করেছ, তা এই মরা গাধার গোশত খাওয়ার চাইতেও গুরুতর! আল্লাহর শপথ! যার নিয়ন্ত্রণে আমার জীবন; তোমরা শুনে নাও! মা’ইয (রাযিঃ) এখন জান্নাতের নহরে গোসল করছে।
আবু হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত। এতে আরো রয়েছেঃ হাসান ইবনু আলী বলেন, বর্ণনাকারী বিভিন্ন শব্দে হাদীসটি আমার নিকট বর্ণনা করেছেন। কেউ বলেছেন, লোকজন মাঈযকে গাছের সঙ্গে বেঁধেছিল আবার কেউ বলেছেন, তাকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল।
كتاب الحدود
باب فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الصَّامِتِ ابْنَ عَمِّ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ جَاءَ الأَسْلَمِيُّ إِلَى نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَشَهِدَ عَلَى نَفْسِهِ أَنَّهُ أَصَابَ امْرَأَةً حَرَامًا أَرْبَعَ مَرَّاتٍ كُلُّ ذَلِكَ يُعْرِضُ عَنْهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَأَقْبَلَ فِي الْخَامِسَةِ فَقَالَ " أَنِكْتَهَا " . قَالَ نَعَمْ . قَالَ " حَتَّى غَابَ ذَلِكَ مِنْكَ فِي ذَلِكَ مِنْهَا " . قَالَ نَعَمْ . قَالَ " كَمَا يَغِيبُ الْمِرْوَدُ فِي الْمُكْحُلَةِ وَالرِّشَاءُ فِي الْبِئْرِ " . قَالَ نَعَمْ . قَالَ " فَهَلْ تَدْرِي مَا الزِّنَا " . قَالَ نَعَمْ أَتَيْتُ مِنْهَا حَرَامًا مَا يَأْتِي الرَّجُلُ مِنِ امْرَأَتِهِ حَلاَلاً . قَالَ " فَمَا تُرِيدُ بِهَذَا الْقَوْلِ " . قَالَ أُرِيدُ أَنْ تُطَهِّرَنِي . فَأَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ فَسَمِعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم رَجُلَيْنِ مِنْ أَصْحَابِهِ يَقُولُ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ انْظُرْ إِلَى هَذَا الَّذِي سَتَرَ اللَّهُ عَلَيْهِ فَلَمْ تَدَعْهُ نَفْسُهُ حَتَّى رُجِمَ رَجْمَ الْكَلْبِ . فَسَكَتَ عَنْهُمَا ثُمَّ سَارَ سَاعَةً حَتَّى مَرَّ بِجِيفَةِ حِمَارٍ شَائِلٍ بِرِجْلِهِ فَقَالَ " أَيْنَ فُلاَنٌ وَفُلاَنٌ " . فَقَالاَ نَحْنُ ذَانِ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " انْزِلاَ فَكُلاَ مِنْ جِيفَةِ هَذَا الْحِمَارِ " . فَقَالاَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ مَنْ يَأْكُلُ مِنْ هَذَا قَالَ " فَمَا نِلْتُمَا مِنْ عِرْضِ أَخِيكُمَا آنِفًا أَشَدُّ مِنْ أَكْلٍ مِنْهُ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنَّهُ الآنَ لَفِي أَنْهَارِ الْجَنَّةِ يَنْقَمِسُ فِيهَا " .
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنِ ابْنِ عَمِّ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، بِنَحْوِهِ زَادَ وَاخْتَلَفُوا فَقَالَ بَعْضُهُمْ رُبِطَ إِلَى شَجَرَةٍ وَقَالَ بَعْضُهُمْ وَقَفَ .
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنِ ابْنِ عَمِّ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، بِنَحْوِهِ زَادَ وَاخْتَلَفُوا فَقَالَ بَعْضُهُمْ رُبِطَ إِلَى شَجَرَةٍ وَقَالَ بَعْضُهُمْ وَقَفَ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৩৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৩০
শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়
২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।
৪৩৭৬. মুহাম্মাদ ইবনে মুতাওয়াককিল (রাহঃ) ...... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আসলাম গোত্রের এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট হাযির হয়ে যিনার কথা স্বীকার করে। তখন তিনি তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। সে ব্যক্তি আবার যিনার কথা স্বীকার করলে, তিনি আবার মুখ ফিরিয়ে নেন। এভাবে সে ব্যক্তি চারবার যিনার কথা স্বীকার করলে, নবী (ﷺ) তাকে জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কি পাগল হয়ে গেছ? সে বললঃ না। তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কি বিবাহিত? সে বলেঃ হ্যাঁ।
রাবী বলেনঃ এরপর নবী (ﷺ)-এর নির্দেশে সে ব্যক্তিকে ঈদের ময়দানে নিয়ে, পাথর মেরে হত্যা করা হয়। পাথর মারা শুরু হলে সে পালাবার চেষ্টা করে। কিন্তু তাকে পাঁকড়াও করে, পাথর মেরে হত্যা করা হয়। নবী করীম (ﷺ) সে ব্যক্তির প্রশংসা করেন, কিন্তু তিনি তার জানাযার নামায পড়াননি।
রাবী বলেনঃ এরপর নবী (ﷺ)-এর নির্দেশে সে ব্যক্তিকে ঈদের ময়দানে নিয়ে, পাথর মেরে হত্যা করা হয়। পাথর মারা শুরু হলে সে পালাবার চেষ্টা করে। কিন্তু তাকে পাঁকড়াও করে, পাথর মেরে হত্যা করা হয়। নবী করীম (ﷺ) সে ব্যক্তির প্রশংসা করেন, কিন্তু তিনি তার জানাযার নামায পড়াননি।
كتاب الحدود
باب فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُتَوَكِّلِ الْعَسْقَلاَنِيُّ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَجُلاً، مِنْ أَسْلَمَ جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاعْتَرَفَ بِالزِّنَا فَأَعْرَضَ عَنْهُ ثُمَّ اعْتَرَفَ فَأَعْرَضَ عَنْهُ حَتَّى شَهِدَ عَلَى نَفْسِهِ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَبِكَ جُنُونٌ " . قَالَ لاَ . قَالَ " أَحْصَنْتَ " . قَالَ نَعَمْ . قَالَ فَأَمَرَ بِهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَرُجِمَ فِي الْمُصَلَّى فَلَمَّا أَذْلَقَتْهُ الْحِجَارَةُ فَرَّ فَأُدْرِكَ فَرُجِمَ حَتَّى مَاتَ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم خَيْرًا وَلَمْ يُصَلِّ عَلَيْهِ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৩৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৩১
শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়
২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।
৪৩৭৭. আবু কামিল (রাহঃ) ..... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যখন নবী করীম (ﷺ) মা’ইয ইবনে মালিক (রাযিঃ)-কে পাথর মেরে হত্যার নির্দেশ দেন, তখন আমরা তাকে নিয়ে ময়দানে গমন করি। আল্লাহর শপথ! এ সময় আমরা তাকে বাঁধি নাই এবং তার জন্য কোন গর্তও খুদি নাই, বরং তিনি আমাদের সামনে এসে দাঁড়ান।
রাবী আবু কামিল (রাহঃ) বলেনঃ তখন আমরা তার প্রতি প্রচণ্ডভাবে হ্যাঁড়, পাথর ও ঢিলা নিক্ষেপ করতে থাকি। আঘাতের প্রচণ্ডতায় তিনি পালাতে চাইলে, আমরা তার পশ্চাদধাবন করি। তিনি হুররা নামক স্থানে পৌছে দণ্ডায়মান হলে, আমরা সেখানকার বড় বড় পাথর তার প্রতি নিক্ষেপ করতে থাকি। ফলে তিনি মারা যান। রাবী বলেনঃ নবী করীম (ﷺ) তার জন্য কোন ইস্তিগফার করেননি এবং তাকে খারাপও বলেননি।
রাবী আবু কামিল (রাহঃ) বলেনঃ তখন আমরা তার প্রতি প্রচণ্ডভাবে হ্যাঁড়, পাথর ও ঢিলা নিক্ষেপ করতে থাকি। আঘাতের প্রচণ্ডতায় তিনি পালাতে চাইলে, আমরা তার পশ্চাদধাবন করি। তিনি হুররা নামক স্থানে পৌছে দণ্ডায়মান হলে, আমরা সেখানকার বড় বড় পাথর তার প্রতি নিক্ষেপ করতে থাকি। ফলে তিনি মারা যান। রাবী বলেনঃ নবী করীম (ﷺ) তার জন্য কোন ইস্তিগফার করেননি এবং তাকে খারাপও বলেননি।
كتاب الحدود
باب فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، - يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ - ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا، - وَهَذَا لَفْظُهُ - عَنْ دَاوُدَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ لَمَّا أَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِرَجْمِ مَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ خَرَجْنَا بِهِ إِلَى الْبَقِيعِ فَوَاللَّهِ مَا أَوْثَقْنَاهُ وَلاَ حَفَرْنَا لَهُ وَلَكِنَّهُ قَامَ لَنَا . - قَالَ أَبُو كَامِلٍ قَالَ - فَرَمَيْنَاهُ بِالْعِظَامِ وَالْمَدَرِ وَالْخَزَفِ فَاشْتَدَّ وَاشْتَدَدْنَا خَلْفَهُ حَتَّى أَتَى عُرْضَ الْحَرَّةِ فَانْتَصَبَ لَنَا فَرَمَيْنَاهُ بِجَلاَمِيدِ الْحَرَّةِ حَتَّى سَكَتَ - قَالَ - فَمَا اسْتَغْفَرَ لَهُ وَلاَ سَبَّهُ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৩৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৩২
শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়
২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।
৪৩৭৮. মুআম্মাল ইবনে হিশাম (রাহঃ) ..... আবু নযরা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ জনৈক ব্যক্তি নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট উপস্থিত হন। এরপর পূর্ববর্তী হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে, তবে তা অসম্পূর্ণ।
রাবী বলেনঃ লোকেরা তার সম্পর্কে ভাল-মন্দ বলতে থাকলে নবী (ﷺ) তা থেকে নিষেধ করেন। আর লোকেরা তার মাগফিরাতের জন্য দুআ করতে থাকলে তিনি তাতে বাঁধা দেন এবং বলেনঃ সে এমন এক ব্যক্তি, যার দ্বারা একটি অপকর্ম অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে। তার জন্য আল্লাহ-ই যথেষ্ট।
রাবী বলেনঃ লোকেরা তার সম্পর্কে ভাল-মন্দ বলতে থাকলে নবী (ﷺ) তা থেকে নিষেধ করেন। আর লোকেরা তার মাগফিরাতের জন্য দুআ করতে থাকলে তিনি তাতে বাঁধা দেন এবং বলেনঃ সে এমন এক ব্যক্তি, যার দ্বারা একটি অপকর্ম অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে। তার জন্য আল্লাহ-ই যথেষ্ট।
كتاب الحدود
باب فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ وَلَيْسَ بِتَمَامِهِ قَالَ ذَهَبُوا يَسُبُّونَهُ فَنَهَاهُمْ قَالَ ذَهَبُوا يَسْتَغْفِرُونَ لَهُ فَنَهَاهُمْ قَالَ " هُوَ رَجُلٌ أَصَابَ ذَنْبًا حَسِيبُهُ اللَّهُ " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৩৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৩৩
শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়
২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।
৪৩৭৯. মুহাম্মাদ ইবনে আবু বকর (রাহঃ) .... বুরায়দা (রাযিঃ) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (ﷺ) মা’ইয ইবনে মালিক (রাযিঃ)-এর মুখ শুকে দেখেছিলেন, তিনি মদ পান করেছেন কিনা-তা নিশ্চিত হবার জন্য।
كتاب الحدود
باب فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَعْلَى بْنِ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ غَيْلاَنَ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم اسْتَنْكَهَ مَاعِزًا .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৩৮০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৩৪
শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়
২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।
৪৩৮০. আহমদ ইবনে ইসহাক (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ ইবনে বুরায়দা (রাহঃ) তার পিতা হতে বর্ণনা করেন যে, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাহাবীগণ এরূপ বলাবলি করতাম যে, গামিদ গোত্রের যিনাকারিণী মহিলা এবং মা’ইয ইবনে মালিক (রাযিঃ) যদি যিনার কথা স্বীকার করার পর অস্বীকার করতো, অথবা প্রথমবার স্বীকার করার পর, আর যদি স্বীকার না করতো; তবে নবী (ﷺ) তাদের ’রজমের’ শাস্তি প্রদান করতেন না। কিন্তু তারা চতুর্থবার যিনার কথা স্বীকার করায়, তাদের পাথর মেরে হত্যা করা হয়।
كتاب الحدود
باب فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِسْحَاقَ الأَهْوَازِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا بَشِيرُ بْنُ الْمُهَاجِرِ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنَّا أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ نَتَحَدَّثُ أَنَّ الْغَامِدِيَّةَ وَمَاعِزَ بْنَ مَالِكٍ لَوْ رَجَعَا بَعْدَ اعْتِرَافِهِمَا أَوْ قَالَ لَوْ لَمْ يَرْجِعَا بَعْدَ اعْتِرَافِهِمَا لَمْ يَطْلُبْهُمَا وَإِنَّمَا رَجَمَهُمَا عِنْدَ الرَّابِعَةِ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী: