আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৪৮. নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩৮৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৬৭
পরিচ্ছেদঃ ফাতিমা (রাযিঃ)-এর ফযীলত
৩৮৬৭। কুতায়বা (রাহঃ)... মিসওয়ার ইবন মাখরামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : আমি নবী (ﷺ)-কে মিম্বরের উপর থেকে বলতে শুনেছি যে, বান্ হিশাম ইবন মুগীরা তাদের এক কন্যাকে আলী ইবন আবু তালিবের নিকট বিয়ে দিতে আমার অনুমতি প্রার্থনা করেছে। আমি অনুমতি দিব না, এরপরও অনুমতি দিব না, এরপরও অনুমতি দিব না। তবে ইবন আবু তালিব যদি আমার মেয়েকে তালাক দিয়ে তাদের মেয়েকে বিয়ে করতে চায়, তবে অন্য কথা। ফাতিমা তো আমার এক টুকরা। তাকে যা শংকিত করে, আমাকে তা শংকিত করে। তাকে যা কষ্ট দেয়, আমাকেও সে জিনিস কষ্ট দেয়। এ হাদীসটি হাসান-সাহীহ।
আমর ইবন দীনার (রাহঃ)-মিসওয়ার ইবন মাখরামা (রাযিঃ) সূত্রেও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
আমর ইবন দীনার (রাহঃ)-মিসওয়ার ইবন মাখরামা (রাযিঃ) সূত্রেও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
بَابُ مَا جَاءَ فِي فَضْلِ فَاطِمَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ قال: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ وَهُوَ عَلَى المِنْبَرِ: «إِنَّ بَنِي هِشَامِ بْنِ المُغِيرَةِ اسْتَأْذَنُونِي فِي أَنْ يُنْكِحُوا ابْنَتَهُمْ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ فَلَا آذَنُ، ثُمَّ لَا آذَنُ، ثُمَّ لَا آذَنُ، إِلَّا أَنْ يُرِيدَ ابْنُ أَبِي طَالِبٍ أَنْ يُطَلِّقَ ابْنَتِي وَيَنْكِحَ ابْنَتَهُمْ فَإِنَّهَا بِضْعَةٌ مِنِّي يَرِيبُنِي مَا رَابَهَا وَيُؤْذِينِي مَا آذَاهَا» هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وقد رواه عمرو بن دينار عن بن أبى مليكة عن المسور بن مخرمة نحو هذا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৩৮৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৬৮
পরিচ্ছেদঃ ফাতিমা (রাযিঃ)-এর ফযীলত
৩৮৬৮। ইবরাহীম ইবন সাঈদ জাওহারী (রাহঃ)... ইবন বুরায়দা তাঁর পিতা বুরায়দা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : মহিলাদের মাঝে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে সবচেয়ে প্রিয় ছিলেন ফাতিমা (রাযিঃ) আর পুরুষদের মাঝে ছিলেন আলী (রাযিঃ)। ইবরাহীম (রাহঃ) বলেন : এ ব্যাপারটি হল নবী পরিবারের।
হাদীসটি হাসান-গারীব। এ সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমরা কিছু জানি না।
হাদীসটি হাসান-গারীব। এ সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমরা কিছু জানি না।
باب ما جاء في فضل فاطمة رضي الله عنها
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ الجَوْهَرِيُّ قال: حَدَّثَنَا الأَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، عَنْ جَعْفَرٍ الأَحْمَرِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: «كَانَ أَحَبَّ النِّسَاءِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاطِمَةُ وَمِنَ الرِّجَالِ عَلِيٌّ» قَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ: يَعْنِي مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ: «هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ هَذَا الوَجْهِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৩৮৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৬৯
পরিচ্ছেদঃ ফাতিমা (রাযিঃ)-এর ফযীলত
৩৮৬৯। আহমদ ইবন মানী' (রাহঃ)... আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, আলী (রাযিঃ) আবু জাহল কন্যাকে বিবাহের আলোচনা করেছিলেন। এ খবর নবী (ﷺ) -এর কাছে পৌঁছালে তিনি বললেন : ফাতিমা আমার অংশ। তাকে যা ব্যথা দেয় আমাকেও তা বাধা দেয়; তাকে যা কষ্ট দেয় আমাকেও তা কষ্ট দেয়।
হাদীসটি হাসান-সাহীহ।
আয়্যুব (রাহঃ) এটিকে ইবন আবু মুলায়কা ইবনু যুবায়র (রাযিঃ) সূত্রে এরূপই বর্ণনা করেছেন, একাধিক রাবী ইবন আবু মুলায়কা -মিসওয়ার ইবন মাখরামা (রাযিঃ) সূত্রের উল্লেখ করেছেন। সম্ভবতঃ ইবন আবু মুলায়কা (রাহঃ) উভয়ের (ইবনুয-যুবায়র ও মিসওয়ার ইবন মাখরামা) বরাতেই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
হাদীসটি হাসান-সাহীহ।
আয়্যুব (রাহঃ) এটিকে ইবন আবু মুলায়কা ইবনু যুবায়র (রাযিঃ) সূত্রে এরূপই বর্ণনা করেছেন, একাধিক রাবী ইবন আবু মুলায়কা -মিসওয়ার ইবন মাখরামা (রাযিঃ) সূত্রের উল্লেখ করেছেন। সম্ভবতঃ ইবন আবু মুলায়কা (রাহঃ) উভয়ের (ইবনুয-যুবায়র ও মিসওয়ার ইবন মাখরামা) বরাতেই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
باب ما جاء في فضل فاطمة رضي الله عنها
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ قال: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَلِيًّا، ذَكَرَ بِنْتَ أَبِي جَهْلٍ فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «إِنَّمَا فَاطِمَةُ بِضْعَةٌ مِنِّي يُؤْذِينِي مَا آذَاهَا وَيُنْصِبُنِي مَا أَنْصَبَهَا»: " هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ هَكَذَا قَالَ أَيُّوبُ: عَنْ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ ابْنِ الزُّبَيْرِ، وَقَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ المِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، وَيُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ، رَوَى عَنْهُمَا جَمِيعًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৭০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৭০
পরিচ্ছেদঃ ফাতিমা (রাযিঃ)-এর ফযীলত
৩৮৭০। সুলায়মান ইবন আব্দুল জাব্বার বাগদাদী (রাহঃ)... যায়দ ইবন আরকাম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) একবার আলী, ফাতিমা, হাসান এবং হুসায়ন (রাযিঃ)-কে লক্ষ্য করে বলছিলেন : তোমরা যাদের বিরুদ্ধে লড়বে, আমিও তাদের বিরুদ্ধে লড়ব। তোমরা যাদের সঙ্গে সমঝোতা করবে, আমিও তাদের সমঝোতায় থাকব।
হাদীসটি গারীব। এ সূত্রেই কেবল আমরা এটি সম্পর্কে জানি। উম্মু সালামা (রাযিঃ)-এর মাওলা সুবায়হ অপরিচিত বাবী।
হাদীসটি গারীব। এ সূত্রেই কেবল আমরা এটি সম্পর্কে জানি। উম্মু সালামা (রাযিঃ)-এর মাওলা সুবায়হ অপরিচিত বাবী।
باب ما جاء في فضل فاطمة رضي الله عنها
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الجَبَّارِ البَغْدَادِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ قَادِمٍ قَالَ: حَدَّثَنَا أَسْبَاطُ بْنُ نَصْرٍ الهَمْدَانِيُّ، عَنْ السُّدِّيِّ، عَنْ صُبَيْحٍ مَوْلَى أُمِّ سَلَمَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِعَليٍّ وَفَاطِمَةَ وَالحَسَنِ وَالحُسَيْنِ: «أَنَا حَرْبٌ لِمَنْ حَارَبْتُمْ، وَسِلْمٌ لِمَنْ سَالَمْتُمْ»: «هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ هَذَا الوَجْهِ وَصُبَيْحٌ مَوْلَى أُمِّ سَلَمَةَ لَيْسَ بِمَعْرُوفٍ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৭১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৭১
পরিচ্ছেদঃ ফাতিমা (রাযিঃ)-এর ফযীলত
৩৮৭১। মাহমুদ ইব্ন গায়লান (রাহঃ)... উম্মু সালামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) একদিন হাসান, হুসায়ন, আলী ও ফাতিমা (রাযিঃ)-কে একটি চাদরে আবৃত করে বললেন : হে আল্লাহ্! এরা আমার আলে বায়ত এবং আমার আপনজন। তাদের থেকে আপনি অপবিত্রতা সরিয়ে রাখুন এবং তাদের পরিপূর্ণভাবে পাক রাখুন।
উম্ম সালামা (রাযিঃ) তখন বললেন : ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমিও তো এদের সঙ্গেই আছি। তিনি বললেন : তুমি তো কল্যাণে প্রতিষ্ঠিত
হাদীসটি হাসান-সাহীহ। এ বিষয়ে যতগুলো রিওয়ায়াত আছে, সেগুলোর মাঝে এটিই সর্বোত্তম । এ বিষয়ে উমার ইবন আবু সালামা, আনাস ইবন মালিক, আবুল হামরা মাকিল ইবন ইয়াসার ও আয়িশা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
উম্ম সালামা (রাযিঃ) তখন বললেন : ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমিও তো এদের সঙ্গেই আছি। তিনি বললেন : তুমি তো কল্যাণে প্রতিষ্ঠিত
হাদীসটি হাসান-সাহীহ। এ বিষয়ে যতগুলো রিওয়ায়াত আছে, সেগুলোর মাঝে এটিই সর্বোত্তম । এ বিষয়ে উমার ইবন আবু সালামা, আনাস ইবন মালিক, আবুল হামরা মাকিল ইবন ইয়াসার ও আয়িশা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
باب ما جاء في فضل فاطمة رضي الله عنها
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ زُبَيْدٍ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَلَّلَ عَلَى الحَسَنِ وَالحُسَيْنِ وَعَلِيٍّ وَفَاطِمَةَ كِسَاءً، ثُمَّ قَالَ: «اللَّهُمَّ هَؤُلَاءِ أَهْلُ بَيْتِي وَخَاصَّتِي، أَذْهِبْ عَنْهُمُ الرِّجْسَ وَطَهِّرْهُمْ تَطْهِيرًا»، فَقَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ: وَأَنَا مَعَهُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «إِنَّكِ إِلَى خَيْرٍ»: " هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَهُوَ أَحْسَنُ شَيْءٍ رُوِيَ فِي هَذَا البَابِ وَفِي البَابِ عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، وَأَبِي الحَمْرَاءِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৭২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৭২
পরিচ্ছেদঃ ফাতিমা (রাযিঃ)-এর ফযীলত
৩৮৭২। মুহাম্মাদ ইব্ন বাশার (রাহঃ)... উম্মুল মু'মিনীন আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : স্বভাব-প্রকৃতি, গঠন-গাঠন, চাল-চলন এমনকি উঠা-বসায়ও নবী (ﷺ) -এর তনয়া ফাতিমা (রাযিঃ)-এর চেয়ে অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ আমি আর কাউকে দেখিনি ।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন ঃ ফাতিমা (রাযিঃ) যখন নবী (ﷺ) -এর কাছে আসতেন তখন তিনি তাঁর জন্য উঠে দাঁড়াতেন। তাকে চুমো খেতেন এবং তাকে স্বীয় স্থানে বসাতেন। নবী (ﷺ) যখন তাঁর কাছে যেতেন, তিনি বসা থেকে উঠে যেতেন। তাকে চুমো খেতেন এবং তাঁকে স্বীয় স্থানে বসাতেন।
নবী যখন মৃত্যু শয্যায়, তখন একদিন ফাতিমা (রাযিঃ) তাঁর কাছে এলেন। তাঁর দিকে ঝুঁকে এসে তাঁকে তিনি চুমো খেলেন; এরপর মাথা উঠিয়ে কেঁদে ফেললেন। পরে তিনি আবার তাঁর দিকে ঝুঁকে এলেন । এবার মাথা তুলে তিনি হেসে উঠলেন।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন : আমি (মনে মনে) বললাম ঃ এঁকে তো আমাদের মাঝে সবচেয়ে বুদ্ধিমতী মহিলা বলে ভাবতাম কিন্তু এখন দেখছি তিনি সাধারণ মহিলাদেরই একজন।
নবী (ﷺ) -এর ইনতিকালের পর একদিন আমি তাঁকে বললাম : আপনি নবীর (ﷺ) -এর মৃত্যু শয্যায় একদিন তাঁর দিকে ঝুঁকে এসে পরে মাথা উঠিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন। এরপর আবার তাঁর দিকে ঝুঁকার পর মাথা তুলে হেসে উঠেছিলেন। এ আচরণের প্রতি আপনাকে কিসে উদ্বুদ্ধ করেছিল?
তিনি বললেন : আমি গোপন কথাটি বলছি। নবী (ﷺ) প্রথমে আমাকে জানিয়েছিলেন যে, এই অসুখেই তাঁর মৃত্যু হবে। তাই আমি কেঁদে উঠেছিলাম। এরপর তিনি আমাকে বললেন যে, তাঁর পরিবারের মাঝে আমিই জলদি গিয়ে তাঁর সঙ্গে মিলিত হব, এতে আমি হেসেছিলাম ।
হাদীসটি এ সূত্রে হাসান-গারীব ।
আয়িশা (রাযিঃ) থেকে এ হাদীসটি ভিন্ন সূত্রেও বর্ণিত আছে।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন ঃ ফাতিমা (রাযিঃ) যখন নবী (ﷺ) -এর কাছে আসতেন তখন তিনি তাঁর জন্য উঠে দাঁড়াতেন। তাকে চুমো খেতেন এবং তাকে স্বীয় স্থানে বসাতেন। নবী (ﷺ) যখন তাঁর কাছে যেতেন, তিনি বসা থেকে উঠে যেতেন। তাকে চুমো খেতেন এবং তাঁকে স্বীয় স্থানে বসাতেন।
নবী যখন মৃত্যু শয্যায়, তখন একদিন ফাতিমা (রাযিঃ) তাঁর কাছে এলেন। তাঁর দিকে ঝুঁকে এসে তাঁকে তিনি চুমো খেলেন; এরপর মাথা উঠিয়ে কেঁদে ফেললেন। পরে তিনি আবার তাঁর দিকে ঝুঁকে এলেন । এবার মাথা তুলে তিনি হেসে উঠলেন।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন : আমি (মনে মনে) বললাম ঃ এঁকে তো আমাদের মাঝে সবচেয়ে বুদ্ধিমতী মহিলা বলে ভাবতাম কিন্তু এখন দেখছি তিনি সাধারণ মহিলাদেরই একজন।
নবী (ﷺ) -এর ইনতিকালের পর একদিন আমি তাঁকে বললাম : আপনি নবীর (ﷺ) -এর মৃত্যু শয্যায় একদিন তাঁর দিকে ঝুঁকে এসে পরে মাথা উঠিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন। এরপর আবার তাঁর দিকে ঝুঁকার পর মাথা তুলে হেসে উঠেছিলেন। এ আচরণের প্রতি আপনাকে কিসে উদ্বুদ্ধ করেছিল?
তিনি বললেন : আমি গোপন কথাটি বলছি। নবী (ﷺ) প্রথমে আমাকে জানিয়েছিলেন যে, এই অসুখেই তাঁর মৃত্যু হবে। তাই আমি কেঁদে উঠেছিলাম। এরপর তিনি আমাকে বললেন যে, তাঁর পরিবারের মাঝে আমিই জলদি গিয়ে তাঁর সঙ্গে মিলিত হব, এতে আমি হেসেছিলাম ।
হাদীসটি এ সূত্রে হাসান-গারীব ।
আয়িশা (রাযিঃ) থেকে এ হাদীসটি ভিন্ন সূত্রেও বর্ণিত আছে।
باب ما جاء في فضل فاطمة رضي الله عنها
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ قَالَ: أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ مَيْسَرَةَ بْنِ حَبِيبٍ، عَنْ المِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ طَلْحَةَ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ المُؤْمِنِينَ، قَالَتْ: «مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَشْبَهَ سَمْتًا وَدَلًّا وَهَدْيًا بِرَسُولِ اللَّهِ فِي قِيَامِهَا وَقُعُودِهَا مِنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» قَالَتْ: «وَكَانَتْ إِذَا دَخَلَتْ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَامَ إِلَيْهَا فَقَبَّلَهَا وَأَجْلَسَهَا فِي مَجْلِسِهِ، وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا دَخَلَ عَلَيْهَا قَامَتْ مِنْ مَجْلِسِهَا فَقَبَّلَتْهُ وَأَجْلَسَتْهُ فِي مَجْلِسِهَا، فَلَمَّا مَرِضَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَتْ فَاطِمَةُ فَأَكَبَّتْ عَلَيْهِ فَقَبَّلَتْهُ ثُمَّ رَفَعَتْ رَأْسَهَا فَبَكَتْ، ثُمَّ أَكَبَّتْ عَلَيْهِ ثُمَّ رَفَعَتْ رَأْسَهَا فَضَحِكَتْ»، فَقُلْتُ: " إِنْ كُنْتُ لَأَظُنُّ أَنَّ هَذِهِ مِنْ أَعْقَلِ نِسَائِنَا فَإِذَا هِيَ مِنَ النِّسَاءِ، فَلَمَّا تُوُفِّيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُلْتُ لَهَا: أَرَأَيْتِ حِينَ أَكْبَبْتِ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرَفَعْتِ رَأْسَكِ فَبَكَيْتِ ثُمَّ أَكْبَبْتِ عَلَيْهِ فَرَفَعْتِ رَأْسَكِ فَضَحِكْتِ، مَا حَمَلَكِ عَلَى ذَلِكَ "؟ قَالَتْ: إِنِّي إِذًا لَبَذِرَةٌ أَخْبَرَنِي أَنَّهُ مَيِّتٌ مِنْ وَجَعِهِ هَذَا فَبَكَيْتُ، ثُمَّ أَخْبَرَنِي أَنِّي أَسْرَعُ أَهْلِهِ لُحُوقًا بِهِ فَذَاكَ حِينَ ضَحِكْتُ ": «هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الوَجْهِ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عَائِشَةَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৮৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৭৩
পরিচ্ছেদঃ ফাতিমা (রাযিঃ)-এর ফযীলত
৩৮৭৩। মুহাম্মাদ ইবন বাশার (রাহঃ)... উম্মু সালামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মক্কা বিজয়ের দিনে ফাতিমা (রাযিঃ)-কে ডাকলেন এবং তাকে কিছু বললে তিনি কেঁদে ফেললেন। আবার কথা বললে তিনি হেসে ফেললেন। উম্মু সালামা (রাযিঃ) বলেন : রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর ইনতিকালের পর তাঁর এ কান্না ও হাসির বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন: রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁর মৃত্যুর সংবাদ দিলে আমি কেঁদেছিলাম। পরে আমাকে সংবাদ দিলেন যে, আমি মরিয়ম বিনতে ইমরান (আ) ছাড়া বেহেশতী নারীদের সর্দার হবো, আমি হেসেছিলাম।
হাদীসটি এ সূত্রে হাসান-গারীব।
হাদীসটি এ সূত্রে হাসান-গারীব।
باب ما جاء في فضل فاطمة رضي الله عنها
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ ابْنُ عَثْمَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ يَعْقُوبَ الزَّمْعِيُّ، عَنْ هَاشِمِ بْنِ هَاشِمٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ وَهْبٍ أَخْبَرَهُ، أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ، أَخْبَرَتْهُ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَعَا فَاطِمَةَ عَامَ الْفَتْحِ فَنَاجَاهَا فَبَكَتْ ثُمَّ حَدَّثَهَا فَضَحِكَتْ». قَالَتْ: «فَلَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَأَلْتُهَا عَنْ بُكَائِهَا وَضَحِكِهَا». قَالَتْ: «أَخْبَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ يَمُوتُ فَبَكَيْتُ، ثُمَّ أَخْبَرَنِي أَنِّي سَيِّدَةُ نِسَاءِ أَهْلِ الجَنَّةِ إِلَّا مَرْيَمَ ابْنَةَ عِمْرَانَ فَضَحِكْتُ» هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الوَجْهِ
হাদীস নং:৩৮৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৭৪
পরিচ্ছেদঃ ফাতিমা (রাযিঃ)-এর ফযীলত
৩৮৭৪। হুসায়ন ইবন ইয়াযীদ কূফী (রাহঃ)-জুমায়' ইবন উমায়র তায়মী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : আমার ফুফুর সঙ্গে আমি আয়িশা (রাযিঃ)-এর কাছে গেলাম। তিনি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন : রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর কাছে লোকদের মাঝে সবচেয়ে প্রিয় কে ছিলেন?
তিনি বললেন : ফাতিমা (রাযিঃ)। আবার জিজ্ঞাসা করা হল : পুরুষদের মাঝে কোন্ জন?
তিনি বললেন : তাঁর স্বামী। আমার জানামতে তিনি ছিলেন, অত্যধিক সিয়াম পালনকারী ও অত্যধিক তাহাজ্জুদ গুযার।
এ হাদীসটি হাসান-গারীব
রাবী বলেন : আবু হিজাফ এর নাম দাউদ ইবন আবু আউফ। সুফিয়ান ছুরী (রাহঃ) আবু জিহাফের অসুস্থাবস্থায় তাঁর থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন।
তিনি বললেন : ফাতিমা (রাযিঃ)। আবার জিজ্ঞাসা করা হল : পুরুষদের মাঝে কোন্ জন?
তিনি বললেন : তাঁর স্বামী। আমার জানামতে তিনি ছিলেন, অত্যধিক সিয়াম পালনকারী ও অত্যধিক তাহাজ্জুদ গুযার।
এ হাদীসটি হাসান-গারীব
রাবী বলেন : আবু হিজাফ এর নাম দাউদ ইবন আবু আউফ। সুফিয়ান ছুরী (রাহঃ) আবু জিহাফের অসুস্থাবস্থায় তাঁর থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন।
باب ما جاء في فضل فاطمة رضي الله عنها
حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ يَزِيدَ الكُوفِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلَامِ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ أَبِي الجَحَّافِ، عَنْ جُمَيْعِ بْنِ عُمَيْرٍ التَّيْمِيِّ، قَالَ: دَخَلْتُ مَعَ عَمَّتِي عَلَى عَائِشَةَ فَسُئِلَتْ أَيُّ النَّاسِ كَانَ أَحَبَّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ "؟ قَالَتْ: «فَاطِمَةُ»، فَقِيلَ: مِنَ الرِّجَالِ؟ قَالَتْ: «زَوْجُهَا»، إِنْ كَانَ مَا عَلِمْتُ صَوَّامًا قَوَّامًا هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ. وَأَبُو الجَحَّافِ اسْمُهُ: دَاوُدُ بْنُ أَبِي عَوْفٍ وَيُرْوَى عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو الجَحَّافِ، وَكَانَ مَرْضِيًّا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান