আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৪৮. নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩৮০৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮০৩
পরিচ্ছেদ ঃ আব্দুল্লাহ ইবন সালাম (রাযিঃ)-এর গুণাবলী
৩৮০৩। আলী ইবন সাঈদ আল-কিদী (রাহঃ)... আব্দুল্লাহ ইবন সালাম (রাযিঃ) এর ভ্রাতুষ্পুত্র থেকে বর্ণিত ও তিনি বলেনঃ উছমান (রাযিঃ)-কে যখন হত্যার পরিকল্পনা করা হয় সে সময় আব্দুল্লাহ ইবন সালাম তাঁর কাছে এলেন। উছমান (রাযিঃ) তাঁকে বললেন : আপনি কেন এসেছেন? তিনি বললেনঃ আপনার সাহায্যে এসেছি।
উছমান (রাযিঃ) বললেন আপনি (বিদ্রোহী) লোকগুলোর কাছে যান এবং আমার নিকট থেকে এদের হটিয়ে রাখুন। আপনি ভিতরে থাকার চেয়ে বাইরে (গিয়ে এদের হটানোর ব্যবস্থায়) থাকা আমার জন্য বেশী মঙ্গলজনক।
আব্দুল্লাহ ইবন সালাম লোকদের উদ্দেশ্যে বের হয়ে গেলেন। তাদের বললেনঃ হে লোক সকল! জাহিলী যুগে আমার নাম ছিল অমুক (হাসীন)। পরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার নাম রাখেন আব্দুল্লাহ। আমার বিষয়ে আল্লাহর কিতাবে একাধিক আয়াত নাযিল হয়েছে। আমার প্রসঙ্গে নাযিল হয়েছিল
(وشهد شاهد من بني إسرائيل على مثله فامن واستكبر ثم إن الله لايهدي القوم الظالمين )
"বল, তোমরা ভেবে দেখেছ কি যদি এ কুরআন আল্লাহর নিকট থেকে অবতীর্ণ হয়ে থাকে আর তোমরা এতে অবিশ্বাস কর। উপরন্তু বানূ ইসরাঈলের একজন সাক্ষী এর অনুরূপ সাক্ষী দিয়ে এতে ঈমান স্থাপন করলো অথচ তোমরা কর ঔদ্ধত্য প্রকাশ! তা হলে তোমাদের পরিণাম কি হবে? আল্লাহ যালিমদের হিদায়াত করেন না।” (সূরা আহকাফ ৪৬:১০)।
আমার বিষয়ে আরো নাযিল হয়েছে: “বল, আল্লাহ এবং যার নিকট কিতাবের জ্ঞান আছে তারা আমার ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষী হিসেবে যথেষ্ট।" (সূরা রা'দ ১৩:৪৩)
আল্লাহর তরবারী তোমাদের থেকে কোষবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তোমাদের এ শহর, যেখানে তোমাদের নবী (ﷺ) অবতরণ করেছেন, ফিরিশতারা এখানে তোমাদের প্রতিবেশী। এ মহান ব্যক্তির (উছমানের) হত্যার বিষয়ে তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। আল্লাহর কসম। তোমরা তাঁকে যদি হত্যা কর, তবে তোমাদের প্রতিবেশী (রহমতের) ফিরিশতাগণকে সরিয়ে নেওয়া হবে। আল্লাহর (আযাবের) কোষবদ্ধ তরবারী কোষমুক্ত হয়ে যাবে। কিয়ামত পর্যন্ত আর তা কোষবদ্ধ হবে না।
তখন বিদ্রোহীরা বললঃ এ ইয়াহুদীটিকে কতল কর, উছমানকে কতল কর।
উছমান (রাযিঃ) বললেন আপনি (বিদ্রোহী) লোকগুলোর কাছে যান এবং আমার নিকট থেকে এদের হটিয়ে রাখুন। আপনি ভিতরে থাকার চেয়ে বাইরে (গিয়ে এদের হটানোর ব্যবস্থায়) থাকা আমার জন্য বেশী মঙ্গলজনক।
আব্দুল্লাহ ইবন সালাম লোকদের উদ্দেশ্যে বের হয়ে গেলেন। তাদের বললেনঃ হে লোক সকল! জাহিলী যুগে আমার নাম ছিল অমুক (হাসীন)। পরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার নাম রাখেন আব্দুল্লাহ। আমার বিষয়ে আল্লাহর কিতাবে একাধিক আয়াত নাযিল হয়েছে। আমার প্রসঙ্গে নাযিল হয়েছিল
(وشهد شاهد من بني إسرائيل على مثله فامن واستكبر ثم إن الله لايهدي القوم الظالمين )
"বল, তোমরা ভেবে দেখেছ কি যদি এ কুরআন আল্লাহর নিকট থেকে অবতীর্ণ হয়ে থাকে আর তোমরা এতে অবিশ্বাস কর। উপরন্তু বানূ ইসরাঈলের একজন সাক্ষী এর অনুরূপ সাক্ষী দিয়ে এতে ঈমান স্থাপন করলো অথচ তোমরা কর ঔদ্ধত্য প্রকাশ! তা হলে তোমাদের পরিণাম কি হবে? আল্লাহ যালিমদের হিদায়াত করেন না।” (সূরা আহকাফ ৪৬:১০)।
আমার বিষয়ে আরো নাযিল হয়েছে: “বল, আল্লাহ এবং যার নিকট কিতাবের জ্ঞান আছে তারা আমার ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষী হিসেবে যথেষ্ট।" (সূরা রা'দ ১৩:৪৩)
আল্লাহর তরবারী তোমাদের থেকে কোষবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তোমাদের এ শহর, যেখানে তোমাদের নবী (ﷺ) অবতরণ করেছেন, ফিরিশতারা এখানে তোমাদের প্রতিবেশী। এ মহান ব্যক্তির (উছমানের) হত্যার বিষয়ে তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। আল্লাহর কসম। তোমরা তাঁকে যদি হত্যা কর, তবে তোমাদের প্রতিবেশী (রহমতের) ফিরিশতাগণকে সরিয়ে নেওয়া হবে। আল্লাহর (আযাবের) কোষবদ্ধ তরবারী কোষমুক্ত হয়ে যাবে। কিয়ামত পর্যন্ত আর তা কোষবদ্ধ হবে না।
তখন বিদ্রোহীরা বললঃ এ ইয়াহুদীটিকে কতল কর, উছমানকে কতল কর।
بَابُ مَنَاقِبِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ سَعِيدٍ الكِنْدِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو مُحَيَّاةَ يَحْيَى بْنُ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ عَبْدِ المَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ ابْنِ أَخِي عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ، قَالَ: لَمَّا أُرِيدَ قَتْلُ عُثْمَانَ جَاءَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ، فَقَالَ لَهُ عُثْمَانُ: مَا جَاءَ بِكَ؟ قَالَ: «جِئْتُ فِي نَصْرِكَ»، قَالَ: اخْرُجْ إِلَى النَّاسِ فَاطْرُدْهُمْ عَنِّي فَإِنَّكَ خَارِجًا خَيْرٌ لِي مِنْكَ دَاخِلًا، فَخَرَجَ عَبْدُ اللَّهِ، إِلَى النَّاسِ، فَقَالَ: " أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّهُ كَانَ اسْمِي فِي الجَاهِلِيَّةِ فُلَانٌ فَسَمَّانِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَبْدَ اللَّهِ، وَنَزَلَتْ فِيَّ آيَاتٌ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ، فَنَزَلَتْ فِيَّ {وَشَهِدَ شَاهِدٌ مِنْ بني إسرائيل عَلَى مِثْلِهِ فَآمَنَ وَاسْتَكْبَرْتُمْ إِنَّ اللَّهَ [ص:671] لَا يَهْدِي القَوْمَ الظَّالِمِينَ} [الأحقاف: 10] وَنَزَلَ {قُلْ كَفَى بِاللَّهِ شَهِيدًا بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ وَمَنْ عِنْدَهُ عِلْمُ الكِتَابَ} [الرعد: 43] إِنَّ لِلَّهِ سَيْفًا مَغْمُودًا عَنْكُمْ، وَإِنَّ المَلَائِكَةَ قَدْ جَاوَرَتْكُمْ فِي بَلَدِكُمْ هَذَا الَّذِي نَزَلَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَاللَّهَ اللَّهَ فِي هَذَا الرَّجُلِ أَنْ تَقْتُلُوهُ، فَوَاللَّهِ لَئِنْ قَتَلْتُمُوهُ لَتَطْرُدُنَّ جِيرَانَكُمُ المَلَائِكَةَ، وَلَتَسُلُّنَّ سَيْفَ اللَّهِ المَغْمُودَ عَنْكُمْ فَلَا يُغْمَدُ إِلَى يَوْمِ القِيَامَةِ "، قَالُوا: اقْتُلُوا اليَهُودِيَّ وَاقْتُلُوا عُثْمَانَ: «هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ المَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ» وَقَدْ رَوَى شُعَيْبُ بْنُ صَفْوَانَ، هَذَا الحَدِيثَ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، فَقَالَ: عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ، عَنْ جَدِّهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৩৮০৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮০৪
পরিচ্ছেদ ঃ আব্দুল্লাহ ইবন সালাম (রাযিঃ)-এর গুণাবলী
৩৮০৪। কুতায়বা (রাহঃ)... ইয়াযীদ ইবন আমীরা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ মু'আয ইবন জাবাল (রাযিঃ)- এর মৃত্যুর সময় হাযির হলে তাঁকে বলা হলঃ হে আবু আব্দুর রহমান। আমাদের কিছু ওসীয়াত করুন।
তিনি বললেন : আমাকে তোমরা বসিয়ে দাও। পরে বললেন। ইল্ম ও ঈমান যথাস্থানে রক্ষিত আছে। যে ব্যক্তি এতদুভয়কে অন্বেষণ করে, সে পায়। বর্ণনাকারী বলেন তিনি এ কথাটি তিনবার বললেন। পরে বললেন তোমরা চার ব্যক্তির নিকট ইলম তালাশ করবে। উওয়ায়সির আবুদ দারদা, সালমান ফারিসী, আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ এবং আব্দুল্লাহ ইবন সালাম (রাযিঃ)। এ (শেষোক্ত) জন ছিলেন ইয়াহুদী, পরে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি যে, ইনি হলেন দশজন জান্নাতীর দশমজন।
তিনি বললেন : আমাকে তোমরা বসিয়ে দাও। পরে বললেন। ইল্ম ও ঈমান যথাস্থানে রক্ষিত আছে। যে ব্যক্তি এতদুভয়কে অন্বেষণ করে, সে পায়। বর্ণনাকারী বলেন তিনি এ কথাটি তিনবার বললেন। পরে বললেন তোমরা চার ব্যক্তির নিকট ইলম তালাশ করবে। উওয়ায়সির আবুদ দারদা, সালমান ফারিসী, আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ এবং আব্দুল্লাহ ইবন সালাম (রাযিঃ)। এ (শেষোক্ত) জন ছিলেন ইয়াহুদী, পরে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি যে, ইনি হলেন দশজন জান্নাতীর দশমজন।
باب مناقب عبد الله بن سلام رضي الله عنه
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الخَوْلَانِيِّ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عُمَيْرَةَ، قَالَ: لَمَّا حَضَرَ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ المَوْتُ قِيلَ لَهُ: يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَوْصِنَا، قَالَ: أَجْلِسُونِي، فَقَالَ: إِنَّ العِلْمَ وَالإِيمَانَ مَكَانَهُمَا، مَنْ ابْتَغَاهُمَا وَجَدَهُمَا، يَقُولُ ذَلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، وَالتَمِسُوا العِلْمَ عِنْدَ أَرْبَعَةِ رَهْطٍ، عِنْدَ عُوَيْمِرٍ أَبِي الدَّرْدَاءِ، وَعِنْدَ سَلْمَانَ الفَارِسِيِّ، وَعِنْدَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ وَعِنْدَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ الَّذِي كَانَ يَهُودِيًّا فَأَسْلَمَ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّهُ عَاشِرُ عَشَرَةٍ فِي الجَنَّةِ» وَفِي البَابِ عَنْ سَعْدٍ «وهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান