মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
১২- ক্রয় - বিক্রয়ের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৯ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ২৯৯৮

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অনাবাদী জমিন আবাদ করা ও সেচের পালা
২৯৯৮। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, নবী করীম (ﷺ) হযরত যুবায়রকে তাঁহার ঘোড়ার এক দৌড়ের পরিমাণ ভূমি দিতে বলিলেন। সুতরাং যুবায়র আপন ঘোড়া দৌড়াইলেন, অবশেষে ঘোড়া থামিয়া গেল, অতঃপর তিনি আপন বেত নিক্ষেপ করিলেন। তখন হুযূর (ﷺ) বলিলেন, তাহাকে তাহার বেত পৌঁছার স্থান পর্যন্ত দিয়া দাও। –আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৯৯৯

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অনাবাদী জমিন আবাদ করা ও সেচের পালা
২৯৯৯। তাবেয়ী আলকামা তাঁহার বাপ ওয়ায়েল ইবনে হুজর হইতে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (ﷺ) তাঁহাকে (ইয়ামানের) হাযরামাওতে একখণ্ড যমীন দান করিয়াছিলেন। ওয়ায়েল বলেন, এ জন্য আমার সাথে মুআবিয়া (ইবনে হাফাফ)-কে পাঠাইয়াছিলেন এবং বলিয়াছিলেন, তাহাকে উহা (মাপিয়া) দাও। ---তিরমিযী ও দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩০০০

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অনাবাদী জমিন আবাদ করা ও সেচের পালা
৩০০০। হযরত আবইয়ায ইবনে হাম্মাল মাআরেবী (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট আপন গোত্রের প্রতিনিধিরূপে আসিলেন ; এসময় তিনি মাআরেবস্থ নিমকের কূপটি তাঁহার নিকট দানরূপে চাহিলেন। তিনি তাঁহাকে উহা দান করিলেন। যখন তিনি রওয়ানা হইলেন, এক ব্যক্তি (আকরা ইবনে হাবেস) বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি তাহাকে প্রস্রবণের অফুরন্ত পানি দিয়া দিলেন। তিনি (আকর) বলেন, অতঃপর হুযূর তাঁহার নিকট হইতে উহা ফেরত লইলেন। রাবী বলেন, আবইয়ায ইহাও জিজ্ঞাসা করেন যে, আরাক গাছের কোটি রক্ষিত করা যায়? হুযূর বলিলেন, যাহা উটের ক্ষুর পায় না। —তিরমিযী, ইবনে মাজাহ্ ও দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩০০১

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অনাবাদী জমিন আবাদ করা ও সেচের পালা
৩০০১। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তিন জিনিসে সকল মুসলমান শরীক, পানি, ঘাস ও আগুন। —আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩০০২

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অনাবাদী জমিন আবাদ করা ও সেচের পালা
৩০০২। হযরত আসমার ইবনে মুযাররেস (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট আসিয়া (ইসলামের) বাইআত করিলাম। তখন তিনি বলিলেন, যে ব্যক্তি কোন পানির নিকট প্রথম পৌঁছিয়াছে, যাহার নিকট তাহার আগে কোন মুসলমান পৌঁছে নাই, উহা তাহার। – আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩০০৩

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অনাবাদী জমিন আবাদ করা ও সেচের পালা
৩০০৩। তাবেয়ী তাউস ইবনে কায়সার মুরসালরূপে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি কোন অনাবাদ যমীন আবাদ করিবে উহা তাহার হইবে। মালিকহীন যমীন আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলের, অতঃপর আমার পক্ষ হইতে উহা তোমাদের। —শাফেয়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩০০৪

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অনাবাদী জমিন আবাদ করা ও সেচের পালা
৩০০৪। শরহে সুন্নাহর এক বর্ণনায় আছে, নবী করীম (ﷺ) হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদকে মদীনায় বসতবাড়ীর জায়গা জায়গীররূপে দান করিলেন; আর উহা ছিল আনসারদের খেজুর বাগান ও বাড়ীর ইমারতের মধ্যস্থলে। তখন আনসারীদের বনী আব্দে যুহরা গোত্র বলিয়া উঠিল, হুযূর, উম্মে আব্দের পুত্রকে আমাদের হইতে দূরে রাখুন। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাহাদেরকে বলিলেন, তবে কেন আল্লাহ্ আমাকে পাঠাইয়াছেন ? আল্লাহ্ সেই জাতিকে পবিত্র করেন না যাহাদের মধ্যে দুর্বলের হক দেওয়া হয় না।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩০০৫

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অনাবাদী জমিন আবাদ করা ও সেচের পালা
৩০০৫। হযরত আমর ইবনে শোআয়ব তাঁহার পিতার মাধ্যমে তাঁহার দাদা হইতে বর্ণনা করিতেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মাহযূর মাঠের পানি সম্পর্কে ফয়সালা করিয়াছেন—উহা আটকাইয়া রাখা হইবে, যাবৎ না উহা পায়ের ছোট গিরা পর্যন্ত পৌঁছে। অতঃপর উপরের ব্যক্তি নীচের ব্যক্তির (যমীনের) দিকে ছাড়িয়া দিবে। – আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩০০৬

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অনাবাদী জমিন আবাদ করা ও সেচের পালা
৩০০৬। হযরত সামুরা ইবনে জুনদুব (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, এক আনসারীর বাগানের মধ্যে তাঁহার কতক খেজুর গাছ ছিল। আর আনসারীর সাথে তাঁহার পরিবার ছিল। সামুরা তথায় প্রবেশ করিতেন এবং তাহাতে আনসারীর কষ্ট হইত। এ কারণে আনসারী নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট আসিয়া তাঁহার কাছে উহার উল্লেখ করিলেন। নবী করীম (ﷺ) সামুরা (রাঃ)-কে ডাকাইয়া উহা বিক্রয় করিতে বলিলেন, কিন্তু সামুরা উহাতে অস্বীকৃতি জানাইলেন। অতঃপর হুযূর (ﷺ) বলিলেন, উহার পরিবর্তে অন্য কোথাও গাছ নিয়া নাও। কিন্তু সামুরা ইহাতেও অস্বীকৃতি জানাইলেন। অতঃপর হুযূর (ﷺ) বলিলেন, তুমি তাহাকে উহা দান কর আর তোমার জন্য (বেহেশতে) এই হইবে। মোটকথা, হুযূর তাহাকে এমন কথা বলিলেন যাহাতে তাহাকে উৎসাহিত করা হইল, কিন্তু ইহাতেও তিনি স্বীকার করিলেন না। তখন হুযূর (ﷺ) বলিলেন, তুমি প্রতিবেশীর পক্ষে ক্ষতিকর এবং আনসারীকে বলিলেন, যাও তুমি তাহার গাছ কাটিয়া ফেল। –আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান