প্রবন্ধ

একটি সুন্নাহকে বাঁচাবো বলে (৬৪তম পর্ব) – মধু চিকিৎসা

১৪ জুলাই, ২০২৪
৯৩৫

অসুস্থ হলে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করা সুন্নত। যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা সুন্নত। বিপদ এলে আল্লাহর আশ্রয় নেয়া, দু‘আ করাও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অন্তুর্ভুক্ত। নবীজি বলেছেন:

لِكُلِّ دَاءٍ دَوَاءٌ، فَإِذَا أُصِيبَ دَوَاءُ الدَّاءِ بَرَأَ بِإِذْنِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ

সব রোগেরই ওষুধ আছে। যখন রোগের ওষুধ গ্রহণ করা হবে, আল্লাহর অনুগ্রহে বান্দা আরোগ্য লাভ করবে (মুসলিম)।


হাদীশ শরীফে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসার কথা আলোচিত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পেয়েছে মধুর চিকিৎসা। বিশেষ করে উদর-সম্পর্কিত রোগের ক্ষেত্রে।

একলোক এসে নবীজি সা.-এর কাছে এসে বললো:

-আমার ভাইয়ের পেটে অসুখ!

-তাকে মধু পান করাও!


লোকটা আবার এসে বললো:

-আমার ভাইয়ের পেটের অসুখ!

-তাকে মধু পান করাও!

এভাবে তৃতীয়বার এলো। একই সমস্যার কথা বললো। নবীজিও একই উত্তর দিলেন। লোকটা বললো: পান করিয়েছি। তখন নবীজি বললেন:

صَدَقَ اللهُ، وَكَذَبَ بَطْنُ أَخِيكَ، اسْقِهِ عَسَلاً

আল্লাহ সত্য বলেছেন, তোমার ভাইয়ের উদর মিথ্যা বলেছে! তাকে মধু পান করাও (বুখারী)!

তাকে আবার পান করানো হলো। লোকটার ভাই নিরাময় লাভ করলো।


অসুস্থ লোকটা প্রথম প্রথম মধুকে অতটা গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করেনি। পরিপূর্ণ আস্থা নিয়েও পান করেনি, তাই কাঙ্খিত ফলোদয় হয় নি। পরে নবীজির দৃঢ় বক্তব্যের কারণে তার মধ্যে আস্থা তৈরী হয়েছে। শতভাগ নির্ভরতা নিয়েই মধু পান করেছে, সাথে সাথে আল্লাহর ইচ্ছায় শেফা লাভ করেছে।


শুধু হাদীসে নয়, কুরআন কারীমেও মধুর কথা গুরুত্বের সাথে আলোচিত হয়েছে:

يَخْرُجُ مِنْ بُطُونِهَا شَرَابٌ مُخْتَلِفٌ أَلْوَانُهُ فِيهِ شِفَاءٌ لِلنَّاسِ

মৌমাছির উদর থেকে পানীয় (মধু) নির্গত হয়, বিভিন্ন রঙের। তাতে মানুষের জন্যে রয়েছে শিফা (নাহল: ৬৯)।


আমরা নিয়মিত মধু পান করতে পারি। অসুখ হলে প্রথমেই সুন্নাতের নিয়তে, নিরাময় লাভের আশায় মধু পান করতে পারি। পাশাপাশি না হয় ডাক্তারি চিকিৎসাও চলতে থাকলো। শেফাও হবে আবার সুন্নাত পালনের কারনে সওয়াবও হবে।


হাতের কাছে মধুর একটা শিশি রাখতে পারি। ঘরের তাকে যত্নের সাথে মধুর একটা শিশি পুষতে পারি। সুন্নত পালনের নিয়তেই! সওয়াব হবে। সওয়াবের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

মন্তব্য (...)

এ সম্পর্কিত আরও প্রবন্ধ

লেখকবৃন্দ

সকল লেখক →