প্রবন্ধ
আমরা কেউই গুনাহ করার অবকাশমুক্ত নয়! আমরা যারা সাধারণ মানুষ, তাদের সবারই শত অনিচ্ছা সত্ত্বেও গুনাহ হয়ে যায়! কিন্তু তাওবা করা হয়ে ওঠে না আমাদের অনেকেরই!
كُلُّ ابْنِ آدَمَ خَطَّاءٌ وَخَيْرُ الخَطَّائِينَ التَّوَّابُونَ
সমস্ত আদমসন্তানই ভুল করে থাকে, আর ভুলকারীদের মধ্যে উত্তম হলো যারা তাওবা করে ফেলে! (তিরমিযী)।
তাওবাকারীদের মধ্যে স্তরভেদ আছে। সত্যি সত্যি তাওবাকারী আর নামকাওয়াস্তে তাওবাকারী। প্রথম দলের তাওবার কারণে তাদের গুনাহ-খাতা ধুয়েমুছে সাফ-সুতরো হয়ে যায়! তারা একটা গুনাহ করার সাথে সাথেই তাওবা করে ফেলে। আবার কেউ কেউ আগে বেড়ে চমৎকার একটা সুন্নাতও আদায় করে। আমীরুল মুমিনীন আবু বকর রা. বলেছেন:
-আমি নবীজিকে বলতে শুনেছি:
কোনও ব্যক্তি যদি গুনাহ করে ফেলে, তারপর (অনুশোচনাদগ্ধ হয়ে) ভালভাবে ওজু করে দুই রাকাত ‘সালাত’ আদায় করে, তারপর ‘ইস্তেগফার’ করে, আল্লাহ তাকে মাফ করে দেন! (তিরমিযী)।
ইস্তেগফার অর্থ: মাফ চাওয়া। ক্ষমা প্রার্থনা করা। নিজের ভাষায়, গুনাহের কথা বলে আল্লাহর কাছে মাফ চাওয়াকেই ‘ইস্তেগফার’ বলা হয়। এছাড়া নবীজি পড়তেন এমন কিছু আবরী দু‘আও আছে। সেগুলোও পড়া যেতে পারে।
নবীজি হাদীসটা বলার পর নবীজি সা. আয়াতটাও তিলাওয়াত করেছিলেন:
وَالَّذِينَ إِذَا فَعَلُوا فَاحِشَةً أَوْ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ ذَكَرُوا اللَّهَ فَاسْتَغْفَرُوا لِذُنُوبِهِمْ
এরা কোনও অশ্লীল কাজ করে ফেললে বা নিজের প্রতি যুলুম করে ফেললে, সাথে সাথে আল্লাহকে স্মরণ করে ও তাদের কৃত পাপের জন্যে ক্ষমা চায় (আলে ইমরান:১৩৫)।
একবার পড়েই দেখতে পারি! দুই রাকাতই তো! গুনাহ মাফের এত সহজ রাস্তা আর হতে পারে? আজকেই হয়ে যাক না একদফা! সম্ভব হলে প্রতিদিন?
মন্তব্য (...)
এ সম্পর্কিত আরও প্রবন্ধ
তাহাজ্জুদ : আল্লাহ তাআলার প্রিয় হওয়ার আমল
অন্য সময়ের ইবাদতে আমরা আল্লাহ তাআলাকে পাওয়ার চেষ্টা করি, আর রাতের শেষ প্রহরে স্বয়ং আল্লাহ বান্দাক...
নামায খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ইবাদত
...
কাবলাল জুমআ চার রাকাত ; একটি দালিলিক পর্যালোচনা
একজন সম্মানিত আলিমের একটি কথা, যিনি রিয়াদ থেকে পি.এইচ.ডি করেছেন এবং এখন এদেশের একটি ইসলামী বিশ্ববিদ...
দাওয়াত, হাদিয়া ও উপঢৌকন
হাদিয়া, উপঢৌকন ও দাওয়াত আদান- প্রদান ইসলামী শরীয়তের গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল ও প্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু...
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন