প্রবন্ধ
নবীজি সা.-এর সুন্নাত ও আদর্শ জীবনের প্রতিটি দিককে ছুঁয়ে আছে। এখানেই তার সাথে অন্য নেতাদের ফারাক। রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে শুরু করে একান্ত ব্যক্তিগত কাজেও আমরা ‘সুন্নাত’ খুঁজে পাই।
পানি পান করারও সুন্নাত তরীকা আছে। কিভাবে পান করতে হবে, সেটা নবীজি আমাদেরকে শিখিয়ে গেছেন। আমরা অনেকেই পান করার সময়, মুখে গ্লাসটা লাগিয়ে পান করা শুরু করি। একেবারে গ্লাস শেষ করে তবে গ্লাসটা মুখ থেকে আলগা করি।
না এটা নবীজির আদর্শ নয়। একবারে পুরো গ্লাস পান করলে অনেক সময় দেখা যায়, প্রয়োজনের চেয়ে বেশি পান করা হয়ে যায়। গ্লাস খালি করা তো উদ্দেশ্য নয়, পিপাসা মেটানো উদ্দেশ্য। কিন্তু আমরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গ্লাস খালি করার জন্যেই যেন পান করি।
এটা ঠিক বেশি বেশি পানি পান করা স্বাস্থ্যের জন্যে ভাল। কিন্তু সব সময় বেশি পানি পান করা নিশ্চয় উপকারী নয়। বেশি পানি পান করারও নির্দিষ্ট নিয়ম আছে।
বেশি পিপাসার সময় তাড়াহুড়ো করে গ্লাস খালি করতে গিয়ে ‘বিষম’ লেগে দমও আটকে আসতে পারে। কাশিও উঠে যেতে পারে। এক্ষেত্রে নবীজির সুন্নাতও আমাদের জন্যে শ্রেষ্ঠ সমাধান। তিনি সব সময় তিনঢোকে পানি পান করতেন। একঢোক পান করতেন তারপর গ্লাসকে মুখ থেকে সরিয়ে নিতেন। তারপর আবার চুমুক দিতেন। এভাবে তিনবার। প্রত্যেকবার চুমুক দেয়ার পর একটা শ্বাস গ্রহণ করতেন। তারপর পাত্রে মুখ দিতেন। তবে নিশ্বাসটা পানপাত্রে ফেলতেন না। মুখকে দূরে সরিয়ে তবেই নিশ্বাস ফেলতেন।
আনাস রা. বলেছেন: নবীজি তিনঢোকে পানি পান করতেন। এবং বলতেন:
এ পদ্ধতিতে পানি পান করাটা অধিক তৃপ্তিকর, অধিক স্বাস্থ্যকর, অধিক সুন্দর! (মুসলিম)
আমরা চাইলেই সুন্নাতটা আদায় করতে পারি। দ্বীন ও দুনিয়া উভয় দিকেই লাভবান হতে পারি।
মন্তব্য (...)
এ সম্পর্কিত আরও প্রবন্ধ
যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকের ফজিলত ও আমল
জিলহজ্জের প্রথম দশদিন ইবাদতের মহান মৌসুম। আল্লাহ তাআলা বছরের অন্যসব দিনের উপর এ দিনগুলোকে মর্যাদা দি...
কাছরাতে যিকির
...
নবীজীর ভালোবাসা ও সুন্নাতী যিন্দেগী
হযরত সালমান মনসুরপুরী রহ. বলেন, নবীজীর মুহাব্বত হৃদয়ের শক্তি, রূহের খোরাক, চোখের শীতলতা, দেহের সজীবত...
দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির ১০ আমল
দুশ্চিন্তা, মানসিক অস্থিরতা আমাদের জীবনের এক অনাকাঙ্ক্ষিত অংশ। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে আযাব হতে পারে ...
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন