প্রবন্ধ
উত্তম চরিত্র কী? নানাজন নানা ব্যখ্যা দিবেন। চিন্তা ও রুচিভেদে বক্তব্যও ভিন্নতা পায়। আমাদের কাছে নবীজির বক্তব্য থাকতে অন্য কারো কথা শোনার প্রয়োজন নেই। নবীজি সা. বলে গেছেন:
إِنَّ مِنْ أَحَبِّكُمْ إِلَيَّ وَأَقْرَبِكُمْ مِنِّي مَجْلِسًا يَوْمَ القِيَامَةِ أَحَاسِنَكُمْ أَخْلاقًا، وَإِنَّ أَبْغَضَكُمْ إِلَيَّ وَأَبْعَدَكُمْ مِنِّي مَجْلِسًا يَوْمَ القِيَامَةِ الثَّرْثَارُونَ وَالمُتَشَدِّقُونَ وَالمُتَفَيْهِقُونَ
কেয়ামতের দিন আমার সবচেয়ে প্রিয় ও নৈকট্যপ্রাপ্ত হবে তোমাদের মধ্যে সেরা উত্তম চরিত্রের অধিকারীরা।
কেয়ামতের দিন আমার সবচেয়ে অপছন্দনীয় ব্যক্তি এবং আমার চেয়ে দূরে অবস্থান করবে, অধিক কথা বলা ব্যক্তিরা, অহংকারকারীরা (তিরমিযী)।
এতে কোনও সন্দেহ নেই, যে বেশি কথা বলে, তার ভুলও বেশি হয়। উমার রা. বলেছেন:
-যে বেশি কথা বলে, সে ভুলও বেশি করে!
ফুযাইল বিন আয়ায বলেছেন:
-মুমিন কথা কম বলে, কাজ বেশি করে। মুনাফিক কথা বেশি বলে, কাজ কম করে।
নবীজি সা. বলেছেন:
مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَاليَوْمِ الآخِرِ فَلْيَقُلْ خَيْرًا أَوْ لِيَصْمُتْ
যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি ও আখেরাতের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন কল্যাণকর কথা বলে অথবা চুপ থাকে (বুখারী)।
কথা কম বলা মানে, অপ্রয়োজনীয় কথা না বলা। অহেতুক গল্পগুজব না করা, জরুরী কথা না বলে চুপ থাকা নয়।
বেশি কথা বললে আমল করার, ইবাদত-বন্দেগীর ইচ্ছাও হালকা হয়ে যায়। তিলাওয়াতের পরিমাণ কমে যায়। যিকিরে মতি আসে না। দুষ্ট মন শুধু কথা বলার সুযোগ খুঁজে বেড়ায়!
অপ্রয়োজনীয় কথা না বলে থাকতে পারা অনেক বড় একটা গুণ। চমৎকার এক বৈশিষ্ট্য। সর্বোপরি এটা প্রিয় নবীজির অপূর্ব এক সুন্নাতও বটে।
মন্তব্য (...)
এ সম্পর্কিত আরও প্রবন্ধ
চারটি মহৎ গুণ
...
নবীজীর ভালোবাসা ও সুন্নাতী যিন্দেগী
হযরত সালমান মনসুরপুরী রহ. বলেন, নবীজীর মুহাব্বত হৃদয়ের শক্তি, রূহের খোরাক, চোখের শীতলতা, দেহের সজীবত...
যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকের ফজিলত ও আমল
জিলহজ্জের প্রথম দশদিন ইবাদতের মহান মৌসুম। আল্লাহ তাআলা বছরের অন্যসব দিনের উপর এ দিনগুলোকে মর্যাদা দি...
সীরাতুন্নবী-মীলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
[প্রদত্ত বয়ান থেকে সংগৃহীত] দু'টি শব্দের সমন্বয়ে সীরাতুন্নবী শব্দটি গঠিত। একটি হল 'সীরাত' অপরটি 'আন...
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন