প্রবন্ধ
আল্লাহ তা‘আলা বান্দার প্রতি অসম্ভব দয়াবান। তিনি বান্দার প্রতিটি নেকআমলের প্রতিদানকে দশগুণ বাড়িয়ে দেন:
مَنْ جَاءَ بِالْحَسَنَةِ فَلَهُ عَشْرُ أَمْثَالِهَا
নেককাজ করলে তার বিনিময়ে দশগুণ সওয়াব মিলবে (মর্মার্থ: আনআম ১৬০)
এই আয়াতের আশ্বাস অনুযায়ী, রামাদানে ত্রিশদিন রোযা রাখার অর্থ হলো: তিনশদিন রোযা রাখা। এখন শাউয়ালে আরো ছয়টা রোজা অতিরিক্ত রাখলে, ষাটদিন রোযা রাখার সওয়াব আমলনামায় যোগ হবে।
সবমিলিয়ে সংখ্যা দাঁড়াল তিনশত ষাটদিন। পুরো একবছর। কেউ যদি প্রতি বছর রামাদানের ত্রিশ রোযার পাশাপাশি শাউয়ালের ছয়রোজাও রাখে, তাহলে আজীবন রোজা রাখার সওয়াব পাবে।
আমাদের প্রিয় নবীজি সা. এই ছয় রোজা রাখতেন। তিনি বলেছেন:
যে (নিয়মিত) রামাদানে রোযা রাখলো, তারপর শাউয়ালে ছয়টা রোযা রাখলো, সে যেন আজীবন রোযা রাখলো (আবু আইয়ুব আনসারী: মুসলিম)।
এই ছয় রোযা পরপর একটানা রাখতে হবে এটা জরুরী নয়। বাদ দিয়ে দিয়েও রাখা যাবে। তবে শাউয়ালের মধ্যে ছয় রোজা শেষ করতে হবে।
আগে কাজা রাখতে হবে, তারপর ছয়রোজা রাখতে হবে, এটাও ভুল ধারনা।
মন্তব্য (...)
এ সম্পর্কিত আরও প্রবন্ধ
চারটি মহৎ গুণ
...
মিলাদ-কিয়াম এর শরঈ বিধান
...
তাহাজ্জুদ : আল্লাহ তাআলার প্রিয় হওয়ার আমল
অন্য সময়ের ইবাদতে আমরা আল্লাহ তাআলাকে পাওয়ার চেষ্টা করি, আর রাতের শেষ প্রহরে স্বয়ং আল্লাহ বান্দাক...
নিজের যিন্দেগীতে ফাতেমী সুন্নত যিন্দা করুন
...
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন