প্রবন্ধ
ইতেকাফের সবচেয়ে বড় উপকারিতা কী? আত্মনিয়ন্ত্রণ। একান্ত ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। জীবনচলার পথে একটা ব্রেক এনে দেয়। বিষয়টা কিভাবে বোঝানো যেতে পারে! উমম! হাঁ পেয়েছি, ধরা যাক অত্যন্ত দ্রুতগতির ইন্টারনেটে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। ক্লিক করলেই তুরন্তু লোড হয়ে যাচ্ছে। ওকে দিলেই বিড়িত করে দুই মেগা গতিতে ফাইল চলে আসছে। এমন সময়, সরকার নিরাপত্তাজনিত কারণে নেটসেবা বন্ধ করে দিল!
তখন কী হয়? অনেক দিন ধরে জমে থাকা ‘এনালগ’ কাজগুলো সেরে নেয়ার একটা চমৎকার সুযোগ তৈরী হয়। বাধ্য হয়েই আরকি!
আথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্যে বিদ্যুত-সংযোগ বিচ্ছিন্ন! টিভি নেই। মোবাইল নেই। কম্পিউটার নেই।
অথবা পুলিশের ভয়ে কিছুদিন ‘আন্ডারগ্রাউন্ডে’ চলে যেতে হলো। কোনও রকমের আধুনিক ডিভাইস ব্যবহার করা চলবে না। তখন কী অবস্থা দাঁড়ায়? এতেকাফে বসলেও ঠিক এমনি এক পরিস্থিতি দাঁড়ায়! সারাদিন শুধু ইবাদত-বন্দেগী, তিলাওয়াত-যিকির, আত্মসমালোচনা, আত্মোন্নোয়ন, আত্মোপলব্ধি চলতে থাকে। অন্য কিছু করার উপায় থাকে না যে!
এতেকাফে বসলে মনের শক্তি বহুগুণে বেড়ে যায়। মনটা অনেক নির্ভার হয়ে যায়। ঝকঝকে হয়ে যায় মনের চোখ। তকতকে হয়ে যায় মাথার অন্ধিসন্ধি! মনমগজে থাকে মনোরম এক ‘তাকওয়া’-র সুবাস!
নবীজি সা. রামাদানের শেষ দশকে ইতেকাফে বসতে ভালোবাসতেন:
নবীজি রামাদানের শেষ দশকে ইতেকাফ করতেন। এই আমল মৃত্যু পর্যন্ত অব্যাহত ছিল (বুখারী)
ইতেকাফ শুরু হয় রামাদানের বিশ তারিখে সূর্যাস্তের আগে থেকে ঈদের চাঁদ ওঠা পর্যন্ত! পুরো দশদিন সাহসে না কুলোলেও প্রথম দিকে একদিন-দু’দিন করেই শুরু করা যায়।
অন্য ‘আমি’কে আবিষ্কার করতে চাইলে, ইতেকাফের বিকল্প কিছু হতে পারে না। সরাসরি আল্লাহর মেহমান হয়ে যায় যে!
মন্তব্য (...)
এ সম্পর্কিত আরও প্রবন্ধ
কাবলাল জুমআ চার রাকাত ; একটি দালিলিক পর্যালোচনা
একজন সম্মানিত আলিমের একটি কথা, যিনি রিয়াদ থেকে পি.এইচ.ডি করেছেন এবং এখন এদেশের একটি ইসলামী বিশ্ববিদ...
মিলাদ-কিয়াম এর শরঈ বিধান
...
নিজের যিন্দেগীতে ফাতেমী সুন্নত যিন্দা করুন
...
সংঘাতময় পরিস্থিতি: উপেক্ষিত নববী আদর্শ
দিনে দিনে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পৃথিবী। সমতালে এর অধিবাসীরাও 'গরম' হয়ে উঠছে দিনকে দিন। সেই তাপ ও উত্তাপ ব...
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন