প্রবন্ধ
এক: নবিজী (সা.) বলেছেন: লোকেরা যতদিন পর্যন্ত দ্রুত ‘ইফতার’ করবে, ততদিন পর্যন্ত কল্যাণের মধ্যে থাকবে।
দুই: সুন্দর-মনোরম একটা সুন্নাহ। রোযা তো রাখতে হয় সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত। ইফতারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যাতে বান্দার বেশি কষ্ট না হয়।
তিন: হাদীসে কল্যাণের কথা বলা হয়েছে, এটা হলো:
(ক) তাড়াতাড়ি ইফতার করার মাধ্যমে সুন্নাতের বরকত লাভ হচ্ছে।
(খ) দ্রুত ইফতারের মাধ্যমে নিজেদের প্রতি, পরিবার-পরিজনের প্রতি দয়া-সহমর্মিতা প্রকাশ পাচ্ছে।
(গ) এই সুন্নাত আদায় করাটা এতটাই সহজ, শুধু এক টুকরা খেজুর বা এক ঢোক পানি হলেই হয়।
তিন: শুধু ইফতারের সময় হলেই হলো। সাথে সাথে সামান্য কিছু খেয়ে নেয়া।
চার: এর চেয়ে মজাদার আর উপাদেয় সুন্নাত আর কিছু হতে পারে?
ইয়া রাব! আমাদেরকে এই সুন্দর সুন্দর, মজার মজার সুন্নাহগুলো নিয়মিত আমলে নিয়ে আসার তাওফীক দান করুন। আমীন।
প্রতি সপ্তাহে দুইবার এই সুন্নাতটা মানার সুযোগ আছে। নবিজী (সা.) প্রতি সোমবার বৃহস্পতিবার রোযা রাখতেন। প্রতি আরবি মাসের ১৩, ১৪, ১৫ তারিখেও রোজা রাখতেন। প্রথম প্রথম কষ্ট লাগে, মানে ইচ্ছে হয় না। কিন্তু দুই সপ্তাহ একটু জোর করে রাখতে থাকলে আস্তে আস্তে খুবই ভাল লাগতে থাকে। রোযা এমন এক সুন্নাত, যেটা করতে গেলে সারাদিনের কোনও কাজই বন্ধ রাখতে হয় না।
মন্তব্য (...)
এ সম্পর্কিত আরও প্রবন্ধ
কাছরাতে যিকির
...
যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকের ফজিলত ও আমল
জিলহজ্জের প্রথম দশদিন ইবাদতের মহান মৌসুম। আল্লাহ তাআলা বছরের অন্যসব দিনের উপর এ দিনগুলোকে মর্যাদা দি...
নিজের যিন্দেগীতে ফাতেমী সুন্নত যিন্দা করুন
...
রাসুলুল্লাহ সা.-এর ভাষায়: যারা আমাদের মধ্য থেকে নয়
اَلْحَمْدُ لِلّهِ وَكَفَى وَسَلَامٌ عَلَى عِبَادِهِ الَّذِيْن َاصْطَفَى اَمَّا بَعْدُ! فَاَعُوْذُ ...
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন