অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
কসম নক্ষত্রের, যখন তা পতিত হয়। ১
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানীঃ
১. নক্ষত্রের পতন দ্বারা তার অস্ত যাওয়া বোঝানো হয়েছে। সূরার পরিচিতিতে বলা হয়েছে যে, এ সূরার মূল বিষয়বস্তু হল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রিসালাত। তাই সূরার শুরুতে তাঁর প্রতি অবতীর্ণ ওহী সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, তা এক নির্ভরযোগ্য ফেরেশতা আসমান থেকে তাঁর কাছে নিয়ে আসেন। তার আগে নক্ষত্রের কসম দ্বারা ইশারা করা হয়েছে, নক্ষত্র যেমন আলো দান করে এবং তা দেখে আরবের লোক পথ চেনে, তেমনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও মানুষের জন্য হেদায়াতের আলো। মানুষ তাঁর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার পথ চিনতে সক্ষম হবে। তাছাড়া নক্ষত্ররাজির চলার জন্য আল্লাহ তাআলা যে পথ নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন, তারা সে পথ থেকে বিন্দু পরিমাণ এদিক-ওদিক যায় না এবং বিপথগামিতার শিকারও হয় না। তেমনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে দ্বিতীয় আয়াতে বলা হয়েছে, তিনি পথ ভুলে যাননি এবং বিপথগামীও হননি। আবার নক্ষত্র যখন অস্ত যাওয়ার উপক্রম করে তখন তার দ্বারা পথ চেনা বেশি সহজ হয়, তাই অস্তগামী নক্ষত্রের কসম করা হয়েছে। তাছাড়া নক্ষত্রের অস্তগমন পথিকের জন্য একটি বার্তাও বটে। সে যেন ডেকে বলে, আমি বিদায় নিলাম। কাজেই আমার দ্বারা শীঘ্র পথ জেনে নাও। তেমনি মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও ছিলেন এক অস্তগামী নক্ষত্রের মত। দুনিয়ায় তাঁর অবস্থান কাল দীর্ঘ ছিল না। যেন বলা হচ্ছে, তাঁর মাধ্যমে যারা হেদায়াত লাভ করতে চাও, শীঘ্র তা করে নাও। কালক্ষেপণের কিন্তু সময় নেই।