৩৬. ইয়াসীন ( আয়াত নং - ১৩ )

bookmark
وَاضۡرِبۡ لَہُمۡ مَّثَلًا اَصۡحٰبَ الۡقَرۡیَۃِ ۘ  اِذۡ جَآءَہَا الۡمُرۡسَلُوۡنَ ۚ
ওয়াদরিব লাহুম মাছালান আসহা-বাল কারইয়াহ । ইযজাআহাল মুরছালূন।

অর্থঃ

মুফতী তাকী উসমানী

এবং (হে রাসূল!) তুমি তাদের সামনে দৃষ্টান্ত পেশ কর এক জনপদবাসীর, যখন তাদের কাছে এসেছিল রাসূলগণ।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানীঃ

৫. কুরআন মাজীদে না এ জনপদটির নাম উল্লেখ করা হয়েছে আর না সেই রাসূলগণের নাম, যারা এ জনপদে প্রেরিত হয়েছিলেন। কোন কোন বর্ণনায় বলা হয়েছে এ জনপদটি হল শামের প্রসিদ্ধ শহর ‘আনতাকিয়া’। কিন্তু সেসব বর্ণনা তেমন শক্তিশালী নয় এবং ঐতিহাসিকভাবেও তা সমর্থিত নয়। অন্যদিকে আরবী ভাষায় রাসূল (প্রেরিত) শব্দটি দ্বারা এমন যে-কোন লোককে বোঝানো হয়, যে কারও বার্তা নিয়ে অন্য কারও কাছে যায়। কিন্তু কুরআন মাজীদে এ শব্দটি সাধারণত আল্লাহ তাআলার প্রেরিত নবী-রাসূলগণের জন্যই ব্যবহৃত হয়েছে। সুতরাং এটাই বেশি প্রকাশ যে, এস্থলে যে তিনজনের কথা বলা হয়েছে তারা নবী ছিলেন। কোন কোন রেওয়ায়াতে তাদের নাম বলা হয়েছে ‘সাদিক’, সাদূক ও শালূম বা শামউন। কিন্তু এসব রেওয়ায়াতও তেমন শক্তিশালী নয়। কোন কোন মুফাসসিরের ধারণা তাঁরা নবী ছিলেন না; বরং তাঁরা ছিলেন হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের শিষ্য। হযরত ঈসা আলাইহিস সালামই তাঁদেরকে ওই জনপদে তাবলীগের জন্য পাঠিয়েছিলেন। তাঁদের মতে اَلْمُرْسَلُوْنَ শব্দটি আভিধানিক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু এখানে তাঁদেরকে প্রেরণের কাজটিকে যেহেতু আল্লাহ তাআলা নিজের সাথে সম্বন্ধযুক্ত করেছেন। তাই এটাই বেশি স্পষ্ট মনে হয় যে, তাঁরা নবীই ছিলেন। প্রথমে দু’জন নবী পাঠানো হয়েছিল, তারপর তৃতীয় আরেকজনকে। যাই হোক, এস্থলে কুরআন মাজীদ যে সবক দিতে চাচ্ছে তা সে জনপদটির নাম জানা এবং প্রেরিত ব্যক্তিবর্গের পরিচয় লাভের উপর নির্ভরশীল নয়। এ কারণেই আল্লাহ তাআলা তাদের নাম জানাননি। আমাদেরও এর অনুসন্ধানের পেছনে পড়ার কোন দরকার নেই।