আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

১৪- বৃষ্টি প্রার্থনার অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ১০২০
৬৪৭. দুর্ভিক্ষের সময় মুশরিকরা মুসলিমদের নিকট বৃষ্টির জন্য দুআর আবেদন করলে।
৯৬৫। মুহাম্মাদ ইবনে কাসীর (রাহঃ) ......... ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কুরাইশরা যখন ইসলাম গ্রহণে দেরী করছিল, তখন নবী (ﷺ) তাদের বিরুদ্ধে দুআ করলেন। পরিণামে তাদেরকে এমনভাবে দুর্ভিক্ষ গ্রাস করল যে, তারা বিনাশ হতে লাগল এবং মৃতদেহ ও হাড়গোড় খেতে লাগল। তখন আবু সুফিয়ান (ইসলাম গ্রহণের পূর্বে) নবী (ﷺ) এর কাছে এসে বলল, হে মুহাম্মাদ! তুমি তো আত্মীয়দের সাথে সদ্ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়ে থাক। অথচ তোমার কওম ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তুমি মহান আল্লাহর নিকট দুআ কর। তখন তিনি তিলাওয়াত করলেন, فَارْتَقِبْ يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ ″তুমি অপেক্ষা কর সে দিনের যে দিন আসমানে প্রকাশ্য ধোঁয়া দেখা দিবে।″ তারপর (আল্লাহ যখন তাদের বিপদ মুক্ত করলেন তখন) তারা আবার কুফরীর দিকে ফিরে গেল। এর পরিণতি স্বরূপ আল্লাহর এ বাণীঃ يَوْمَ نَبْطِشُ الْبَطْشَةَ الْكُبْرَى - "যেদিন আমি কঠোর ভাবে পাকড়াও করব"...... অর্থাৎ বদরের দিন।
মানসুর (রাহঃ) থেকে (বর্ণনাকারী) আসবাত (রাহঃ) আরো বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দুআ করেন। ফলে লোকজনের উপর বৃষ্টিপাত হয় এবং অবিরাম সাতদিন পর্যন্ত বর্ষিত হতে থাকে। লোকেরা অতিবৃষ্টির বিষয়টি পেশ করল। তখন নবী (ﷺ) দুআ করে বলেন, হে আল্লাহ! আমাদের আশে পাশে, আমাদের উপরে নয়। তারপর তাঁর মাথার উপর থেকে মেঘ সরে গেল। তাদের পার্শ্ববর্তী লোকদের উপর বর্ষিত হল।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন