আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
১১- যুদ্ধাবস্থায় নামাযের বর্ণনা
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৯৪২
৫৯৬. খাওফের নামায (শত্রুভীতি অবস্থায় নামায)।
মহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ আর যখন তোমরা যমীনে ভ্রমণ কর তখন নামায ‘কসর’ করলে তোমাদের কোন গুনাহ হবে না, যদি তোমাদের আশঙ্কা হয় যে, কাফিরগণ তোমাদের জন্য ফিতনা সৃষ্টি করবে । নিশ্চয়ই কাফিররা তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।
আর তুমি যখন তাদের মধ্যে অবস্থান করবে ও তাদের সঙ্গে নামায কায়েম করবে তখন তাদের একদল তোমার সঙ্গে যেন দাঁড়ায় এবং তারা যেন সশস্ত্র থাকে। তারপর তারা সিজদা করলে তখন তারা যেন তোমাদের পিছনে অবস্থান করে । অপর একদল যারা নামাযে শরীক হয় নাই, তারা তোমার সঙ্গে যেন নামাযে শরীক হয় এবং তারা যেন সতর্ক ও সশস্ত্র থাকে। কাফিররা কামনা করে যেন তোমরা তোমাদের অস্ত্রশস্ত্র ও আসবাবপত্র সম্বন্ধে অসতর্ক হও, যাতে তারা তোমাদের উপর একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। যদি তোমরা বৃষ্টির জন্য কষ্ট পাও বা পীড়িত থাক তবে তোমরা অস্ত্র রেখে দিলে তোমাদের কোন দোষ নাই; কিন্তু তোমরা সতর্কতা অবলম্বন করবে। আল্লাহ কাফিরদের জন্য লাঞ্ছনা দায়ক শাস্তি প্রস্তুত রেখেছেন । (সূরা নিসাঃ ১০১-১০২)।
মহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ আর যখন তোমরা যমীনে ভ্রমণ কর তখন নামায ‘কসর’ করলে তোমাদের কোন গুনাহ হবে না, যদি তোমাদের আশঙ্কা হয় যে, কাফিরগণ তোমাদের জন্য ফিতনা সৃষ্টি করবে । নিশ্চয়ই কাফিররা তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।
আর তুমি যখন তাদের মধ্যে অবস্থান করবে ও তাদের সঙ্গে নামায কায়েম করবে তখন তাদের একদল তোমার সঙ্গে যেন দাঁড়ায় এবং তারা যেন সশস্ত্র থাকে। তারপর তারা সিজদা করলে তখন তারা যেন তোমাদের পিছনে অবস্থান করে । অপর একদল যারা নামাযে শরীক হয় নাই, তারা তোমার সঙ্গে যেন নামাযে শরীক হয় এবং তারা যেন সতর্ক ও সশস্ত্র থাকে। কাফিররা কামনা করে যেন তোমরা তোমাদের অস্ত্রশস্ত্র ও আসবাবপত্র সম্বন্ধে অসতর্ক হও, যাতে তারা তোমাদের উপর একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। যদি তোমরা বৃষ্টির জন্য কষ্ট পাও বা পীড়িত থাক তবে তোমরা অস্ত্র রেখে দিলে তোমাদের কোন দোষ নাই; কিন্তু তোমরা সতর্কতা অবলম্বন করবে। আল্লাহ কাফিরদের জন্য লাঞ্ছনা দায়ক শাস্তি প্রস্তুত রেখেছেন । (সূরা নিসাঃ ১০১-১০২)।
৮৯৫। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) ......... শু’আইব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি যুহরী (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, নবী (ﷺ) কি নামায আদায় করতেন অর্থাৎ খাওফের নামায? তিনি বললেন, আমাকে সালিম (রাহঃ) জানিয়েছেন যে, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে নাজদ এলাকায় যুদ্ধ করেছিলাম। সেখানে আমরা শত্রুর মুখোমুখী কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়ালাম। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের নিয়ে নামায আদায় করলেন। একদল তাঁর সঙ্গে নামাযে দাঁড়ালেন এবং অন্য একটি দল শত্রুর প্রতি মুখোমুখী অবস্থান করলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সঙ্গে যারা ছিলেন তাঁদের নিয়ে রুকু ও দু’টি সিজদা করলেন। এরপর এ দলটি যারা নামায আদায় করেনি, তাঁদের স্থানে চলে গেলেন এবং তাঁরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পিছনে এগিয়ে এলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁদের সঙ্গে এক রুকু ও দু’টি সিজদা করলেন এবং পরে সালাম ফিরালেন। এরপর তাঁদের প্রত্যেকে উঠে দাঁড়ালেন এবং নিজে নিজে একটি রুকু ও দু’টি সিজদা (সহ নামায) শেষ করলেন।
