আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৬৫- অনুমতি গ্রহণ - প্রদান সংক্রান্ত
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৬২৩৮
৩৩০০. পর্দার আয়াত।
৫৮০৪। ইয়াহয়া ইবনে সুলাইমান (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন মদীনায় আগমন করেন, তখন তার বয়স ছিল দশ বছর। তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জীবনের দশ বছর আমি তার খিদমত করি। আর পর্দার বিধান সম্পর্কে আমি সবচেয়ে বেশী অবগত ছিলাম, যখন তা নাযিল হয়। উবাই ইবনে কা’ব (রাযিঃ) প্রায়ই আমাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতেন। যায়নাব বিনতে জাহশ (রাযিঃ) এর সঙ্গে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বাসরের দিন প্রথম পর্দার আয়াত নাযিল হয়। নবী (ﷺ) নতুন দুলহা হিসেবে সেদিন লোকদের দাওয়াত করেন এবং এরপর অনেকেই দাওয়াত খেয়ে বেরিয়ে যান। কিন্তু কয়েকজন তার কাছে রয়ে যান এবং তাদের অবস্থান দীর্ঘায়িত করেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উঠে দাঁড়িয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যান এবং আমিও তার সঙ্গে যাই, যাতে তারা বের হয়ে যায়। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) চলেন এবং আমিও তার সঙ্গে চলি। এমনকি তিনি আয়েশা (রাযিঃ) এর হুজরার দরজায় এসে পৌছেন। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ধারণা করেন যে, নিশ্চয়ই তারা বেরিয়ে গেছে। তখন তিনি ও তার সঙ্গে আমি ফিরে আসি। তিনি যায়নাব (রাযিঃ) এর গৃহে প্রবেশ করে দেখেন যে, তারা তখনও বসেই আছে, চলে যায়নি। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফিরে গেলেন এবং আমিও তার সঙ্গে ফিরে গেলাম। এমনকি তিনি আয়েশা (রাযিঃ) এর দরজার চৌকাঠ পর্যন্ত এসে পৌছেন। এরপর তিনি ধারণা করেন যে, এখন তারা অবশ্যই বেরিয়ে গেছে। তাই তিনি ফিরে এসে দেখেন যে, তারা বেরিয়ে গেছে। এই সময় পর্দার আয়াত নাযিল হয় এবং তিনি তার ও আমার মধ্যে পর্দা টেনে দেন।
