আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৮- নামাযের ওয়াক্তের বিবরণ
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৬০২
৩৯২। পরিবার-পরিজন ও মেহমানের সাথে রাতে কথাবার্তা বলা।
৫৭৫। মাহমুদ (রাহঃ) .... আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, আসহাবে সুফফা ছিলেন খুবই দরিদ্র। (একদা) নবী (ﷺ) বললেনঃ যার কাছে দু’জনের আহার আছে সে যেন (তাঁদের থেকে) তৃতীয় জনকে সঙ্গে করে নিয়ে যায়। আর যার কাছে চারজনের আহারের সংস্থান আছে, সে যেন পঞ্চম বা ষষ্ঠজন সঙ্গে নিয়ে যায়। আবু বকর (রাযিঃ) তিনজন সাথে নিয়ে আসেন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দশজন নিয়ে আসেন। আব্দুর রহমান (রাযিঃ) বলেন, আমাদের ঘরে এবং আবু বকরের ঘরে আমি, আমার পিতা ও মাতা (এই তিন জন সদস্য) ছিলাম। রাবী বলেন, আমি জানিনা, তিনি আমার স্ত্রী এবং খাদিম একথা বলেছিলেন কি না?
আবু বকর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ঘরেই রাতের আহার করেন এবং ইশার নামায পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন। ইশার নামাযের পর তিনি আবার (রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ঘরে) ফিরে আসেন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর রাতের আহার শেষ করা পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করেন। আল্লাহর ইচ্ছায় কিছু সময় অতিবাহিত হওয়ার পর বাড়ী ফিরলে তাঁর স্ত্রী তাঁকে বললেন, মেহমানদের কাছে আসতে কিসে আপনাকে ব্যস্ত রেখেছিল? কিংবা তিনি বলেছিলেন, (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) মেহমান থেকে। আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, এখনও তাদের খাবার দাওনি? তিনি বললেন, আপনি না আসা পর্যন্ত তারা খেতে অস্বীকার করেন। তাদের সামনে হাযির করা হয়েছিল, তবে তারা খেতে সম্মত হননি।
আব্দুর রহমান (রাযিঃ) বলেন, (পিতার তিরষ্কারের ভয়ে) আমি সরে গিয়ে আত্মগোপন করলাম। তিনি (রাগান্বিত হয়ে) বললেন, ওরে বোকা এবং ভর্ৎসনা করলেন। আর (মেহমানদের) বললেন, খেয়ে নিন। আপনারা অস্বস্তিতে ছিলেন। এরপর তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! আমি এটা কখনই খাব না। আব্দুর রহমান (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর কসম! আমরা লুকমা উঠিয়ে নিতেই নীচ থেকে তা অধিক পরিমাণে বেড়ে যাচ্ছিল। তিনি বলেন, সকলেই পেট ভরে খেলেন। অথচ আগের চাইতে অধিক খাবার রয়ে গেল।
আবু বকর (রাযিঃ) খাবারের দিকে তাকিয়ে দেখেতে পেলেন তা আগের সমপরিমাণ কিংবা তার চাইতেও বেশী। তিনি তাঁর স্ত্রীকে বললেন, হে বনু ফিরাসের বোন। এ কি? তিনি বললেন, আমার চোখের প্রশান্তির কসম! এতো এখন আগের চাইতে তিনগুণ বেশী! আবু বকর (রাযিঃ)-ও তা থেকে আহার করলেন এবং বললেন, আমার সে শপথ শয়তানের পক্ষ থেকেই হয়েছিল। এরপর তিনি আরও লুকমা মুখে দিলেন এবং অবশিষ্ট খাবার নবী (ﷺ) এর দরবারে নিয়ে গেলেন।
ভোর পর্যন্ত সে খাদ্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সেখানেই ছিল। এদিকে আমাদের ও অন্য একটি গোত্রের মাঝে যে সন্ধি ছিল তার সময়সীমা পূর্ণ হয়ে যায়। (এবং তারা মদীনায় আসে) আমরা তাদের বারজনের নেতৃত্বে ভাগ করে দেই। তাদের প্রত্যেকের সঙ্গেই কিছু কিছু লোক ছিল। তবে প্রত্যেকের সঙ্গে কতজন ছিল তা আল্লাহই জানেন। তারা সকলেই সেই খাদ্য থেকে আহার করেন। (রাবী বলেন) কিংবা আব্দুর রহমান (রাযিঃ) যেভাবে বর্ণনা করেছেন।
আবু বকর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ঘরেই রাতের আহার করেন এবং ইশার নামায পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন। ইশার নামাযের পর তিনি আবার (রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ঘরে) ফিরে আসেন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর রাতের আহার শেষ করা পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করেন। আল্লাহর ইচ্ছায় কিছু সময় অতিবাহিত হওয়ার পর বাড়ী ফিরলে তাঁর স্ত্রী তাঁকে বললেন, মেহমানদের কাছে আসতে কিসে আপনাকে ব্যস্ত রেখেছিল? কিংবা তিনি বলেছিলেন, (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) মেহমান থেকে। আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, এখনও তাদের খাবার দাওনি? তিনি বললেন, আপনি না আসা পর্যন্ত তারা খেতে অস্বীকার করেন। তাদের সামনে হাযির করা হয়েছিল, তবে তারা খেতে সম্মত হননি।
আব্দুর রহমান (রাযিঃ) বলেন, (পিতার তিরষ্কারের ভয়ে) আমি সরে গিয়ে আত্মগোপন করলাম। তিনি (রাগান্বিত হয়ে) বললেন, ওরে বোকা এবং ভর্ৎসনা করলেন। আর (মেহমানদের) বললেন, খেয়ে নিন। আপনারা অস্বস্তিতে ছিলেন। এরপর তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! আমি এটা কখনই খাব না। আব্দুর রহমান (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর কসম! আমরা লুকমা উঠিয়ে নিতেই নীচ থেকে তা অধিক পরিমাণে বেড়ে যাচ্ছিল। তিনি বলেন, সকলেই পেট ভরে খেলেন। অথচ আগের চাইতে অধিক খাবার রয়ে গেল।
আবু বকর (রাযিঃ) খাবারের দিকে তাকিয়ে দেখেতে পেলেন তা আগের সমপরিমাণ কিংবা তার চাইতেও বেশী। তিনি তাঁর স্ত্রীকে বললেন, হে বনু ফিরাসের বোন। এ কি? তিনি বললেন, আমার চোখের প্রশান্তির কসম! এতো এখন আগের চাইতে তিনগুণ বেশী! আবু বকর (রাযিঃ)-ও তা থেকে আহার করলেন এবং বললেন, আমার সে শপথ শয়তানের পক্ষ থেকেই হয়েছিল। এরপর তিনি আরও লুকমা মুখে দিলেন এবং অবশিষ্ট খাবার নবী (ﷺ) এর দরবারে নিয়ে গেলেন।
ভোর পর্যন্ত সে খাদ্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সেখানেই ছিল। এদিকে আমাদের ও অন্য একটি গোত্রের মাঝে যে সন্ধি ছিল তার সময়সীমা পূর্ণ হয়ে যায়। (এবং তারা মদীনায় আসে) আমরা তাদের বারজনের নেতৃত্বে ভাগ করে দেই। তাদের প্রত্যেকের সঙ্গেই কিছু কিছু লোক ছিল। তবে প্রত্যেকের সঙ্গে কতজন ছিল তা আল্লাহই জানেন। তারা সকলেই সেই খাদ্য থেকে আহার করেন। (রাবী বলেন) কিংবা আব্দুর রহমান (রাযিঃ) যেভাবে বর্ণনা করেছেন।


বর্ণনাকারী: