ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার

২. পাক-পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়

হাদীস নং: ২৬৭
মল-মূত্র ত্যাগের সময় কিবলার দিকে মুখ করা বা কিবলাকে পেছনে রাখার বিধান ও যে সকল দ্রব্য দিয়ে ইসতিনজা করা বৈধ নয়
(২৬৭) আবু আইউব আনসারি রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা মলমূত্র ত্যাগকালে কিবলাকে সামনে রাখবে না বা পেছনে রাখবে না। বরং পূর্ব বা পশ্চিম দিকে মুখ করবে। আবু আইউব রা. বলেন,এরপর আমরা যখন সিরিয়ায় গমন করলাম তখন দেখলাম সেখানকার শৌচাগারগুলো কিবলার দিকে মুখ করে তৈরী করা তখন আমরা সেগুলোর মধ্যে ঘুরে বসতাম এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতাম।
عن أبي أيوب الأنصاري رضي الله عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم قال: إذا أتيتم الغائط فلا تستقبلوا القبلة ولا تستدبروها ولكن شرقوا أو غربوا. قال أبو أيوب: فقدمنا الشام فوجدنا مراحيض بنيت قبل القبلة فننحرف ونستغفر الله تعالى

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হযরত আবু আইয়ূব আনসারী রা. হাদীসের শেষাংশে উল্লেখ করেছেন যে, সিরিয়ার ইসিত্মঞ্জাখানাগুলো কিবলার দিকে ফিরিয়ে নির্মিত ছিল। তাঁরা তা ব্যবহারের সময় শরীর ঘুরিয়ে বসতেন, তার পরও আল্লাহ তাআলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করতেন। এ থেকে বুঝা গেলো যে, খোলা ময়দানের মত ইসিত্মঞ্জাখানার ভেতরেও কিবলার প্রতি সম্মান দেখানো জরম্নরী এবং ওযর ব্যতীত কিবলার দিকে মুখ বা পিঠ দিয়ে ইসিত্মঞ্জা করা মাকরূহ। আর এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (আলমগিরী: ১/৫০)
এর বিপরীতে হযরত ইবনে উমার রা. থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি হযরত হাফসার ঘরের ছাদে উঠে রসূল স.কে ইসিত্মঞ্জাখানার মধ্যে কিবলার দিকে পিঠ দিয়ে ইসিত্মঞ্জা করতে দেখেছেন। (বুখারী-১৪৭) এ হাদীসের তুলনায় আমরা পূর্ববর্ণিত হযরত আবু আইয়ূব আনসারী রা.-এর হাদীসকে এ কারণে প্রাধান্য দিয়ে থাকি যে, কা’বার দিকে মুখ বা পিঠ দিয়ে ইসিত্মঞ্জা করার নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সকলের জন্য ব্যাপক। আর হযরত ইবনে উমার রা. কর্তৃক বর্ণিত রসূল স.-এর উক্ত কাজটি তাঁর ব্যক্তিগত। সুতরাং হতে পারে এটা রসূল স.-এর বৈশিষ্ট্য যা অন্যদের জন্য বৈধ নয়। অথবা এটা তিনি কোন ওযরের কারণে করেছেন। উপরন্তু হযরত আবু আইয়ূব আনসারী রা.-এর হাদীস অনুসরণ করলে কা’বার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের ব্যাপকতা বৃদ্ধি পায়।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন
ফিকহুস সুনান - হাদীস নং ২৬৭ | মুসলিম বাংলা