মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

১৬. জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়

হাদীস নং: ৩২১
নাক-কান কর্তন করা নিষিদ্ধ
হাদীস নং-৩২১

হযরত আতিয়া কুরযী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কুরায়যার যুদ্ধে আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খেদমতে পেশ করা হয়। তখন তিনি নির্দেশ প্রদান করেন যে,বড়দেরকে হত্যা কর এবং ছোটদেরকে গোলাম (দাস) হিসেবে রাখা হোক। তাই যার নাভীর নীচে লোম গজিয়েছে, তাকে হত্যা করা হয় এবং যার গজায়নি, তাকে জীবিত ছেড়ে দেয়া হয়।
অপর এক রিওয়ায়েতে বর্ণিত আছে, হযরত আতিয়া (রাযিঃ) বলেন, আমাকে নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট পেশ করা হয়। তখন তিনি বলেন : দেখ! যদি তার লোম গজিয়ে থাকে, তা হলে তাকে হত্যা কর। সুতরাং (আমার বয়স কম হওয়ায়) অবশেষে আমাকে ছেড়ে দেয়।
অন্য এক রিওয়ায়েতে বর্ণিত আছে, বনু কুরায়যার যুদ্ধবন্দীদের মধ্যে আমিও একজন ছিলাম। যখন আমাকে নবী করীম (ﷺ)-এর সামনে পেশ করা হয়, তখন লোকজন আমার নাভীর নীচে লোম দেখতে পায়নি। কাজেই বন্দীদের মধ্য থেকে আমাকে মুক্তি দেয়া হয়।
عَنْ إسْمَاعِيلَ بْنِ حَمَّادٍ، وَأَبِيهِ وَالْقَاسِمِ بْنِ مَعْنٍ، وَعَبْدِ الْمَلِكِ عَنْ عَطِيَّةَ الْقُرَظِيِّ، قَالَ: «عُرِضْنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ قُرَيْظَةَ فَأَمَرَ بِقَتْلِ كِبَارِهِمْ وَسَبْيِ صِغَارِهِمْ، فَمَنْ أَنْبَتَ قُتِلَ، وَمَنْ لَمْ يُنْبِتِ اسْتَحَى مِنْهُ» ، وَفِي رِوَايَةٍ، قَالَ: عُرِضْتُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «انْظُرُوا، فَإِنْ كَانَ أَنْبَتَ ضَرَبُوا» ، فَوَجَدُونِي لَمْ أُنْبِتْ، فَخَلَّى سَبِيلِي ".
وَفِي رِوَايَةٍ، قَالَ: كُنْتُ فِي سَبْيِ قُرَيْظَةَ فَعُرِضْتُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، «فَنَظَرُوا فِي عَانَتِي، فَوَجَدُونِي لَمْ أُنْبِتْ، فَأَلْحَقُونِي بِالسَّبْيِ»

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ হাদীসে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্ত বয়সের পরিচয়ের একটি সঠিক পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে। কেননা অপ্রাপ্ত বয়স্ক যুদ্ধের যোগ্যতা রাখে না। কাজেই তাদেরকে হত্যা করা যুলমের নামান্তর। সুতরাং তাদেরকে জীবিত রেখে বন্দী হিসেবে রাখা হয়েছে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান