আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫৬- পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৫৪৪২
২৮৭৫. তাজা ও শুকনা খেজুর প্রসঙ্গে।
আর মহান আল্লাহর বাণীঃ “তুমি তোমার দিকে খেজুন বৃক্ষের কাণ্ডে নাড়া দাও, তা তোমার জন্য সুপক্ক তাজা খেজুর ঝরাবে।”
মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ)..... ‘আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইন্তিকাল করেন, তখন আমরা দুই কালো বস্তু দ্বারা পরিতৃপ্ত হতাম, খেজুর এবং পানি দ্বারা।
৫০৪৯। সা‘ঈদ ইবনে আবু মারইয়াম (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে ‘আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মদীনায় এক ইয়াহুদী ছিল। সে আমাকে কর্জ দিত, আমার খেজুর পাড়ার মেয়াদ পর্যন্ত। রুমা নামক স্থানের পথের ধারে জাবির (রাযিঃ) -এর এক খণ্ড জমি ছিল। আমি কর্জ পরিশোধে এক বছর বিলম্ব করলাম। এরপর খেজুর পাড়ার মৌসুমে ইয়াহুদী আমার কাছে আসলো, আমি তখনো খেজুর পাড়তে পারিনি। আমি তার কাছে আগামী বছর পর্যন্ত অবকাশ চাইলাম। সে অস্বীকার করলো। এ খবর নবী করীম (ﷺ) -কে জানান হলো। তিনি সাহাবীদের বললেনঃ চলো জাবিরের জন্য ইয়াহুদী থেকে অবকাশ নেই। তারপর তারা আমার বাগানে আসলেন। নবী করীম (ﷺ) ইয়াহুদীর সাথে এ নিয়ে কথাবার্তা বললেন। সে বললোঃ হে আবুল কাসিম। আমি তাকে আর অবকাশ দেব না। নবী করীম (ﷺ) তার এ কথা শুনে উঠলেন এবং বাগানটি প্রদক্ষিন করে তার কাছে এসে আবার আলাপ করলেন। সে এবারও অস্বীকার করল।

এরপর আমি উঠে গিয়ে সামান্য কিছু তাজা খেজুর নিয়ে নবী করীম (ﷺ) -এর সামনে রাখলাম। তিনি কিছু খেলেন। তারপর বললেনঃ হে জাবির! তোমার ছাপড়াটা কোথায়? আমি তাকে জানিয়ে দিলাম। তিনি বললেনঃ সেখানে আমার জন্য বিছানা দাও। আমি বিছানা বিছিয়ে দিলে তিনি এতে ঢুকে ঘুমিয়ে পড়লেন। ঘুম থেকে জাগ্রত হলে আমি তার কাছে আরেক মুষ্টি খেজুর নিয়ে আসলাম। তিনি তা থেকে খেলেন। তারপর উঠে আবার ইয়াহুদীর সাথে কথা বললেন। সে অস্বীকার করলো। তখন তিনি দ্বিতীয়বার খেজুর বাগানে গেলেন এবং বললেনঃ হে জাবির তুমি খেজুর কাটতে থাক এবং কর্জ পরিশোধ কর। এই বলে, তিনি খেজুর পাড়ার স্থানে বললেনঃ আমি খেজুর পেড়ে ইয়াহুদীর পাওনা শোধ করলাম। এরপর আরও সে পরিমাণ খেজুর উদ্ধৃত্ত রইল। আমি বেরিয়ে এসে নবী করীম (ﷺ) -কে এ সুসংবাদ দিলাম। তিনি বললেনঃ তুমি সাক্ষ্য থাক যে, আমি আল্লাহর রাসুল।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন