আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫৪- তালাক - ডিভোর্স অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৫৩৩৪
২৮১৪. বিধবা নারী চার মাস দশ দিন শোক পালন করবে। যুহরী (রাহঃ) বলেন, বিধবা কিশোরীর জন্য খুশবু ব্যবহার করা উচিত হবে না। কেননা, তাকেও ‘ইদ্দত পালন করতে হবে।
৪৯৪৮। ‘আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ......... যায়নাব বিনতে আবু সালামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) -এর সহধর্মিণী উম্মে হাবীবার পিতা আবু সুফিয়ান ইবনে হারব (রাযিঃ) মূত্যুবরণ করলে আমি তাঁর কাছে উপস্থিত হই। উম্মে হাবীবা (রাযিঃ) যাফরান ইত্যাদি মিশ্রিত হলদে রং এর খুশবু নিয়ে আসতে বললেন। তিনি এক বালিকাকে এ থেকে কিছু মাখালেন! এরপর তার নিজের চেহারার উভয় পাশে কিছু মাখলেন। এরপর বললেনঃ আল্লাহর কসম! খুশবু ব্যবহার করার কোন প্রয়োজন আমার নেই। তবে আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী কোন মহিলার জন্য কারো মৃত্যুতে তিন দিনের বেশী শোক পালন করা বৈধ হবে না। কিন্তু স্বামীর মৃত্যুতে চার মাস দশ দিন শোক পালন করতে পারবে।
যায়নাব (রা) বলেন : যয়নব বিনতে জাহশের ভাই মৃত্যুবরণ করলে আমি তার (যয়নাবের) নিকট গেলাম। তিনিও খুশবু আনিয়ে কিছু ব্যবহার করলেন। এরপর বললেন : আল্লাহর কসম! খুশবু ব্যবহার করার কোন প্রয়োজন আমার নেই। তবে আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে মিম্বরের উপর বলতে শুনেছি : আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী কোন মহিলার জন্য কারো মৃত্যুতে তিনদিনের বেশি শোক পালন করা বৈধ হবে না, তবে তার স্বামীর মৃত্যুতে চার মাস দশদিন শোক পালন করতে পারবে।
যায়নাব (রা) বলেন : আমি উম্মে সালামাকে বলতে শুনেছি : এক মহিলা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে এসে বলল : ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার মেয়ের স্বামী মারা গেছে। তার চোখে অসুখ। তার চোখে কি সুরমা লাগাতে পারবে ? তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দু-তিনবার বললেন, না। তিনি আরও বললেন : এতো মাত্র চার মাস দশ দিনের ব্যাপার। অথচ বর্বরতার যুগে এক এক মহিলা এক বছরের মাথায় বিষ্ঠা নিক্ষেপ করত।
হুমায়দ বলেন, আমি যায়নাবকে জিজ্ঞেসা করলাম, এক বছরের মাথায় বিষ্ঠা নিক্ষেপ করার অর্থ কি ? তিনি বলেন, সে যুগে কোন মহিলার স্বামী মারা গেলে সে অতিক্ষুদ্র একটি কোঠায় প্রবেশ করতো এবং নিকৃষ্ট কাপড় পরিধান করত, কোন খুশবু ব্যবহার করতে পারত না। এভাবে একবছর অতিক্রান্ত হলে তার কাছে চতুষ্পদ জন্তু যথা গাধা, বকরি অথবা গাভী আনা হতো। আর সে তার গায়ে হাত বুলাতো ৷ হাত বুলাতে বুলাতে অনেক সময় সেটা মারাও যেত। এরপর সে (মহিলা) বেরিয়ে আসতো। তাকে বিষ্ঠা দেয়া হতো এবং তা তাকে নিক্ষেপ করতে হতো। এরপর ইচ্ছা করলে সে খুশবু ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারতো।
মালিক (র)-কে تَفْتَض শব্দের অর্থ জিজ্ঞেসা করা হলে তিনি বলেন : “মহিলারা ঐ প্রাণীর চামড়ায় হাত বুলাতো।”
যায়নাব (রা) বলেন : যয়নব বিনতে জাহশের ভাই মৃত্যুবরণ করলে আমি তার (যয়নাবের) নিকট গেলাম। তিনিও খুশবু আনিয়ে কিছু ব্যবহার করলেন। এরপর বললেন : আল্লাহর কসম! খুশবু ব্যবহার করার কোন প্রয়োজন আমার নেই। তবে আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে মিম্বরের উপর বলতে শুনেছি : আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী কোন মহিলার জন্য কারো মৃত্যুতে তিনদিনের বেশি শোক পালন করা বৈধ হবে না, তবে তার স্বামীর মৃত্যুতে চার মাস দশদিন শোক পালন করতে পারবে।
যায়নাব (রা) বলেন : আমি উম্মে সালামাকে বলতে শুনেছি : এক মহিলা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে এসে বলল : ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার মেয়ের স্বামী মারা গেছে। তার চোখে অসুখ। তার চোখে কি সুরমা লাগাতে পারবে ? তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দু-তিনবার বললেন, না। তিনি আরও বললেন : এতো মাত্র চার মাস দশ দিনের ব্যাপার। অথচ বর্বরতার যুগে এক এক মহিলা এক বছরের মাথায় বিষ্ঠা নিক্ষেপ করত।
হুমায়দ বলেন, আমি যায়নাবকে জিজ্ঞেসা করলাম, এক বছরের মাথায় বিষ্ঠা নিক্ষেপ করার অর্থ কি ? তিনি বলেন, সে যুগে কোন মহিলার স্বামী মারা গেলে সে অতিক্ষুদ্র একটি কোঠায় প্রবেশ করতো এবং নিকৃষ্ট কাপড় পরিধান করত, কোন খুশবু ব্যবহার করতে পারত না। এভাবে একবছর অতিক্রান্ত হলে তার কাছে চতুষ্পদ জন্তু যথা গাধা, বকরি অথবা গাভী আনা হতো। আর সে তার গায়ে হাত বুলাতো ৷ হাত বুলাতে বুলাতে অনেক সময় সেটা মারাও যেত। এরপর সে (মহিলা) বেরিয়ে আসতো। তাকে বিষ্ঠা দেয়া হতো এবং তা তাকে নিক্ষেপ করতে হতো। এরপর ইচ্ছা করলে সে খুশবু ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারতো।
মালিক (র)-কে تَفْتَض শব্দের অর্থ জিজ্ঞেসা করা হলে তিনি বলেন : “মহিলারা ঐ প্রাণীর চামড়ায় হাত বুলাতো।”
