আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫৪- তালাক - ডিভোর্স অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৫২৮৮
২৭৮৮. যিম্মী বা হারবীর অধীনে থাকা কোন মুশরিক বা খ্রিস্টান স্ত্রী যদি ইসলাম গ্রহণ করে।
‘আব্দুল ওয়ারিস (রাহঃ).... ইবনে ‘আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, যদি কোন খ্রিস্টান নারী তার স্বামীর পূর্বে ইসলাম গ্রহণ করে, তবে উক্ত মহিলা তার জন্য হারাম হয়ে যায়।
দাউদ (রাহঃ), ইবরাহীম সায়েগ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, ‘আতা (রাহঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হল, চুক্তিবদ্ধ কোন হরবীর স্ত্রী যদি ইসলাম গ্রহণ করে এবং ইদ্দতের মধ্যেই তার স্বামী ইসলাম গ্রহণ করে, তবে কি মহিলা তার স্ত্রী থাকবে ? তিনি উত্তর দিলেন, না। তবে সে মহিলা যদি নতুন ভাবে বিবাহ ও মোহরে সম্মত হয়। মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, মহিলার ইদ্দতের মধ্যে স্বামী মুসলমান হলে সে তাকে বিবাহ করে নিবে। আল্লাহ্ তাআলা বলেছেনঃ না তারা কাফিরদের জন্য হালাল, আর না কাফিরেরা তাদের জন্য হালাল। অগ্নি উপাসক স্বামী-স্ত্রী মুসলমান হলে হাসান ও কাতাদা হাসান তাদের সম্বন্ধে বলেন, তাদের পূর্ব বিবাহ বলবৎ থাকবে। আর যদি তাদের কেউ আগে ইসলাম কবুল করে, আর অন্যজন অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে, তবে মহিলা তার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। স্বামীর জন্য তাকে গ্রহণ করার কোন পথই থাকবে না।
ইবনে জুরায়জ (রাহঃ) বলেন, আমি ‘আতা (রাহঃ) কে জিজ্ঞসা করলামঃ মুশরিকদের কোন মহিলা যদি ইসলাম গ্রহণ করে মুসলমানদের নিকট চলে আসে, তাহলে তার স্বামী কি তার নিকট থেকে বিনিময় গ্রহণ করতে পারবে ? আল্লাহ্ তা‘আলা তো বলেছেনঃ “তারা যা ব্যয় করেছে তোমরা তাদেরকে তা দিয়ে দাও।’’ তিনি উত্তর দিলেনঃ না। এ আদেশ কেবল নবী (ﷺ) ও জিম্মীদের মধ্যে ছিল। (মুশরিকদের বেলায় এটা প্রযোজ্য নয়)।
মুজাহিদ (রাহঃ) বলেনঃ এ সব ছিল সে সন্ধির ক্ষেত্রে যা নবী (ﷺ) ও কুরাইশদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
৪৯০৮। ইয়াহয়া ইবনে বুকায়র (রাহঃ) ......... ‘উরওয়া ইবনে যুবাইর (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) -এর সহধর্মিণী ‘আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, ঈমানদার মহিলারা যখন হিজরত করে নবী (ﷺ) -এর কাছে আসত, তখন তিনি আল্লাহর নির্দেশ “হে ঈমানদারগণ! কোন ঈমানদার মহিলা হিজরত করে তোমাদের কাছে আসলে তোমরা তাদেরকে যাচাই কর”....... অনুসারে তাদেরকে যাচাই করতেন। ‘আয়েশা (রাযিঃ) বলেনঃ ঈমানদার মহিলাদের মধ্যে যারা (আয়াতে উল্লেখিত) শর্তাবলী মেনে নিত, তারা পরীক্ষায় কৃতকার্য হত। তাই যখনই তারা এ ব্যাপারে মৌখিক স্বীকারোক্তি প্রকাশ করত তখনই রাসূল (ﷺ) তাদেরকে বলতেন যাও, আমি তোমাদের বায়‘আত &rsquo গ্রহণ করেছি। আল্লাহর কসম! কথার মাধ্যমে বায়’আত গ্রহণ ছাড়া রাসূল (ﷺ) -এর হাত কখনো কোন নারীর হাত স্পর্শ করেনি। আল্লাহর শপথ। তিনি শুধুমাত্র সেইসব বিষয়েই বায়’আত গ্রহণ করতেন, যে সব বিষয়ে বায়’আত গ্রহণ করার জন্য আল্লাহ্ তাঁকে নির্দেশ দিয়েছেন। বায়’আত গ্রহণ শেষে তিনি বলতেনঃ আমি কথায় তোমাদের বায়’আত গ্রহণ করলাম।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন