আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
৪৩৮৪। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সূরা বনী ইসরাইল, কাহফ, মারইয়াম, তাহা এবং আম্বিয়া প্রথমে অবতীর্ণ অতি উত্তম সূরা। এগুলো আমার পুরনো রক্ষিত সম্পদ।
ক্বাতাদাহ (রাহঃ) বলেন, جُذَاذًا টুকরা টুকরা করা। হাসান বলেন, فِيْ فَلَكٍ (কক্ষ পথ) সূতা কাটার চরকির মত। يَسْبَحُوْنَ ঘুরছে। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, نَفَشَتْ মানে চরে খেয়েছিল। يُصْحَبُوْنَ বাধা দেয়া হবে। أُمَّتُكُمْ أُمَّةً وَّاحِدَةً অর্থাৎ তোমাদের দ্বীন একই দ্বীন। ইক্বরামাহ বলেন, حَصَبُ অর্থ, হাবশী ভাষায় জ্বালানি কাঠ। অন্যরা বলেন, أَحَسُّوْا তারা আঁচ করেছিল। আর এ শব্দটি أَحْسَسْتُ থেকে উদ্ভূত। خَامِدِيْنَ নির্বাপিত। حَصِيْدُ কর্তিত শস্য। শব্দটি একবচন, দ্বিচন, বহুবচনেও ব্যবহৃত হয়। لَايَسْتَحْسِرُوْنَ ক্লান্তিবোধ করে না। এর থেকে উদ্ভূত حَسَرْتُ بَعِيْرِي-حَسِيْرٌ আমি আমার উটকে ক্লান্ত করে দিয়েছি। عَمِيْقٌ দূরত্ব। نُكِّسُوْا উল্টিয়ে দেয়া হয়েছে। صَنْعَة لَبُوْسٍ অর্থাৎ বর্মাদি। تَقَطَّعُوْآ أَمْرَهُمْ তারা মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে। الْجَرْسُ، الْحِسُّ، الْحَسِيْسُ، الْهَمْسُ এগুলোর একই অর্থ-মৃদু আওয়াজ। آذَنَّاكَ আমি তোমাকে জানিয়েছি। آذَنْتُكُمْ যখন তুমি তাকে জানিয়ে দিলে তখন তুমি আর সে একই পর্যায়ের। তুমি চুক্তি ভঙ্গ করলে না। মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, لَعَلَّكُمْ تُسْأَلُوْنَ অর্থাৎ তোমাদের বুঝিয়ে দেয়া হবে। ارْتَضٰى সে সম্মত হল। التَّمَاثِيْلُ মূর্তিসমূহ। السِّجِلُّ লিপিবদ্ধ কাগজ।

তাহকীক:
তাহকীক নিষ্প্রয়োজন