আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়

হাদীস নং: ৪৩৪৪
আন্তর্জতিক নং: ৪৭০১

পরিচ্ছেদঃ সূরা হিজর মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, صِرَاطٌ عَلَيَّ مُسْتَقِيْمٌ সঠিক পথ যা আল্লাহ্ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে এবং তাঁর দিকে রয়েছে এ রাস্তা। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, لَعَمْرُكَ অর্থ তোমার জীবনের কসম। قَوْمٌ مُنْكَرُوْنَ এমন অপরিচিত সম্প্রদায়, যাদের লূত (আলাইহিস সালাম) চিনেননি। অন্যেরা বলেন, كِتَابٌ مَعْلُوْمٌ অর্থ নির্দিষ্ট সময়। لَوْ مَا تَأْتِيْنَا কেন আমার কাছে আসে না। شِيَعٌ বহু সম্প্রদায়। বন্ধুবর্গকেও شِيَعٌ বলা হয়। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, يُهْرَعُوْنَ অর্থ তারা দ্রুতগতিতে ছুটে চলছে। لِلْمُتَوَسِّمِيْنَ প্রত্যক্ষকারীদের জন্য سُكِّرَتْ ঢেকে দেয়া হয়েছে।
بُرُوجًا -চন্দ্র-সূর্যের মনযিল। لَوَاقِحَ অর্থাৎ مَلَاقِحَ (ভার-গর্ভ মেঘমালা), এটার একবচন حَمَإٍ حَمْأَةٍ مُلْقَحَةً এর বহুবচন পচা কাদামাটি। وَالْمَسْنُوْنُ ঢেলে দেয়া হয়েছে। تَوْجَلْ ভীত হও। دَابِرَ অর্থ-শেষাংশ। الْإِمَامُ যার তুমি অনুসরণ করেছ, এবং যার দ্বারা সঠিক পথের সন্ধান পেয়েছ। الصَّيْحَةُ ধ্বংস।

৪৩৪৪। আলি ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, যখন আল্লাহ তাআলা আকাশের কোন বিষয়ের সিদ্ধান্ত নেন, তখন ফিরিশতারা তার কথা শোনার জন্য অতি বিনয়ের সাথে নিজ নিজ পালক ঝাড়তে থাকে মসৃণ পাথরের উপর জিঞ্জিরের শব্দের মত। আলি (রাযিঃ) বলেন, صَفْوَانٍ এর মধ্যে فا সাকিন যুক্ত এবং অন্যরা বলেন, فا ফাতাহ যুক্ত। এভাবে আল্লাহ তাআলা তার বাণী ফিরিশতাদের পৌঁছান। যখন ফিরিশতাদের অন্তর থেকে ভয় দূরীভূত হয়, তখন তারা পরস্পরে জিজ্ঞাসা করে, তোমাদের প্রভু কি বলেছেন? তখন তারা বলে, যা সত্য তিনি তাই বলেছেন এবং তিনি সর্বোচ্চ মহান। চুরি করে কান লাগিয়ে (শয়তানরা) তা শুনে নেয়। শোনার জন্য শয়তানগুলো একের ওপর এক এভাবে থাকে।
সুফিয়ান ডান হাতের আঙ্গুল এর উপর অন্য আঙ্গুল রেখে হাতের ইশারায় ব্যপারটি প্রকাশ করলেন। তারপর কখনো আগুনের ফুলকি শ্রবণকারীকে তার সাথীর কাছে এ কথাটি পৌঁছানোর আগেই আঘাত করে এবং তাকে জ্বালিয়ে দেয়। আবার কখনও সে ফুলকি প্রথম শ্রবণকারী শয়তান পর্যন্ত পোঁছার পূর্বেই সে তার নীচের সাথীকে খবরটি জানিয়ে দেয়। এমনি করে এ কথা* পৃথিবী পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। কখনও সুফিয়ান বলেছেন, এমনি করে পৃথিবী পর্যন্ত পোঁছে যায়। তারপর তা জাদুকরের মুখে ঢেলে দেওয়া হয় এবং সে তার সাথে শত মিথ্যা মিলিয়ে প্রচার করে। তাই তার কথা সত্য হয়ে যায়। তখন লোকেরা বলতে থাকে যে, দেখ এ জাদুকর আমাদের কাছে অমুক অমুক দিন অমুক অমুক কথা বলেছিল, আমরা তা সঠিক পেয়েছি। বস্তুত আসমান থেকে শোনা কথার কারণেই তা সত্যে পরিণত হয়েছে।

*ফিরিশতাদের পারস্পরিক আলাপ-আলোচনা থেকে শয়তান চুরি করে যা শুনে।


tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক নিষ্প্রয়োজন