আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৭৯
২৪১১. আল্লাহ তাআলার বাণীঃ তোমাদের মধ্য হতে তোমাদের কাছে এক রাসুল এসেছেন। তোমাদের যা বিপন্ন করে, তা তার জন্য অতি কষ্টদায়ক। সে তোমাদের কল্যাণকামী, মুমিনদের প্রতি সে দয়ার্দ্র ও পরম দয়ালু (৯ঃ ১২৮)
৪৩২২। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) ..... যায়দ ইবনে সাবিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, যিনি ওহী লেখকদের মধ্যে একজন ছিলেন, তিনি বলেন, আবু বকর (রাযিঃ) (তার খিলাফতের সময়) এক ব্যক্তিকে আমার কাছে পাঠালেন। এ সময় ইয়ামামার যুদ্ধ চলছিল। (আমি তার কাছে চলে আসলাম) তখন তাঁর কাছে উমর (রাযিঃ) বসা ছিলেন। তিনি [আবু বকর (রাযিঃ) আমাকে] বললেন, উমর (রাযিঃ) আমার কাছে এসে বললেন যে, ইয়ামামার যুদ্ধ তীব্র গতিতে চলছে, আমার ভয় হচ্ছে, কুরআনের অভিজ্ঞগণ (হাফিজগণ) ইয়ামামার যুদ্ধে শহীদ হয়ে যান নাকি! যদি আপনারা তা সংরক্ষণের ব্যবস্থা না করেন তবে কুরআনের অনেক অংশ বিনষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং কুরআনকে একত্রিত করে সংরক্ষণ করা ভাল মনে করি। আবু বকর (রাযিঃ) বলেন, আমি উমর (রাযিঃ) কে বললাম, আমি এ কাজ কিভাবে করতে পারি, যা রাসূল (ﷺ) করে যাননি।
কিন্তু উমর (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! এটা কল্যাণকর হবে। উমর (রাযিঃ) তাঁর এ কথার পুনরুক্তি করতে থাকেন, শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা এ কাজ করার জন্য আমার বক্ষকে উন্মুক্ত করে দেন। (অর্থাৎ এ প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করতে সক্ষম হই) এবং শেষ পর্যন্ত (এ ব্যাপারে) আমার অভিমত উমর (রাযিঃ) এর মতই হয়ে যায়। যায়দ ইবনে সাবিত (রাযিঃ) বলেন, উমর (রাযিঃ) সেখানে নিরবে বসা ছিলেন, কোন কথা বলছিলেন না। এরপর আবু বকর (রাযিঃ) আমাকে বললেন, দেখ, তুমি যুবক এবং জ্ঞানি ব্যক্তি। আমরা তোমার প্রতি কোনরূপ বিরূপ ধারণা পোষণ করি না। কেননা, তুমি রাসূল (ﷺ) এর সময়ে ওহী লিপিবদ্ধ করতে। সুতরাং তুমি কুরআনের আয়াতগুলো সংগ্রহ করে একত্রিত কর। যায়দ বলেন, কসম! তিনি কুরআন একত্রিত করার যে নির্দেশ আমাকে দিলেন সেটি আমার কাছে এত ভারী মনে হল যে, তিনি যদি কোন একটি পাহাড় স্থানান্তরিত করতে নির্দেশ দিতেন তাও আমার কাছে এরূপ ভারী মনে হতো না।
আমি বললাম, আপনারা একাজ কিভাবে করবেন, যে কাজ নবী (ﷺ) করেননি। এরপর আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! এ কাজ করাটাই কল্যাণকর হবে। এরপর আমিও আমার কথায় অটল থেকে বারবার জোর দিতে লাগলাম। পরিশেষে আল্লাহ যেটা উপলব্ধি করার জন্য আবু বকর ও উমর (রাযিঃ) এর বক্ষকে উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন, আমার বক্ষকেও তা উপলব্ধি করার জন্য উন্মুক্ত করে দিলেন (অর্থাৎ এর প্রয়োজনীয়তা তাদের ন্যায় আমিও অনুভব করলাম)। এরপর আমি কুরআন সংগ্রহে লেগে গেলাম এবং হাড়, চামড়া, খেজুর ডালে ও বাকলে এবং মানুষের বক্ষস্থল (অর্থাৎ মানুষের কাছে যা মুখস্ত ছিল। তা থেকে সংগ্রহ করলাম। পরিশেষে খুযায়মা আনসারীর* কাছে সূরায়ে তওবার দু’টি আয়াত (লিখিত) পেয়ে গেলাম, যা অন্য কারো কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারিনি। (যে আয়াতদ্বয়ের একটি হল) لقد جاءكم থেকে ষেশ পর্যন্ত।
এরপর এ জমাকৃত কুরআন-এর কপিটি আবু বকর (রাযিঃ)-এর ইন্তিকাল পর্যন্ত তাঁর কাছেই জমা ছিল। তারপর উমর (রাযিঃ) এর কাছে এলো। তার ইন্তিকাল পর্যন্ত তার কাছেই এটি জমা ছিল। তারপর এটি হাফসা বিনতে উমর (রাযিঃ) এর কাছে এলো।
উসমান এবং লাঈস (রাহঃ) خُزَيْمَةَ শব্দের বর্ণনায় শুআইব এর অনুসরণ করেছেন। অন্য এক সনদেও ইবনে শিহাব থেকে এ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তাতে খুযায়মার স্থলে আবু খুযায়মা আনসারী বলা হয়েছে। মুসা এর সনদে عَنْ ابْنُ شِهَابٍ এর স্থলে حَدَّثَنَا ابْنُ شِهَابٍ এবং আবু খুযায়মা আনসারী বলা হয়েছে। ইয়াকুব ইবনে ইবরাহীমের অনুসরণ করেছেন।
অন্য এক সনদে সাবিত (রাহঃ) এর عَنْ إِبْرَاهِيمَ এর পরিবর্তে حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ বলেছেন এবং খুযায়মা অথবা আবু খুযয়মা নিয়ে সন্দেহ আছে।
*খুযায়মা আনসারী (রা)-এর একার স্বাক্ষী দু'জনের স্বাক্ষীর সমান। তার এ বিশস্ততা ও মর্যাদা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা) ঘোষণা দিয়েছেন ।
কিন্তু উমর (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! এটা কল্যাণকর হবে। উমর (রাযিঃ) তাঁর এ কথার পুনরুক্তি করতে থাকেন, শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা এ কাজ করার জন্য আমার বক্ষকে উন্মুক্ত করে দেন। (অর্থাৎ এ প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করতে সক্ষম হই) এবং শেষ পর্যন্ত (এ ব্যাপারে) আমার অভিমত উমর (রাযিঃ) এর মতই হয়ে যায়। যায়দ ইবনে সাবিত (রাযিঃ) বলেন, উমর (রাযিঃ) সেখানে নিরবে বসা ছিলেন, কোন কথা বলছিলেন না। এরপর আবু বকর (রাযিঃ) আমাকে বললেন, দেখ, তুমি যুবক এবং জ্ঞানি ব্যক্তি। আমরা তোমার প্রতি কোনরূপ বিরূপ ধারণা পোষণ করি না। কেননা, তুমি রাসূল (ﷺ) এর সময়ে ওহী লিপিবদ্ধ করতে। সুতরাং তুমি কুরআনের আয়াতগুলো সংগ্রহ করে একত্রিত কর। যায়দ বলেন, কসম! তিনি কুরআন একত্রিত করার যে নির্দেশ আমাকে দিলেন সেটি আমার কাছে এত ভারী মনে হল যে, তিনি যদি কোন একটি পাহাড় স্থানান্তরিত করতে নির্দেশ দিতেন তাও আমার কাছে এরূপ ভারী মনে হতো না।
আমি বললাম, আপনারা একাজ কিভাবে করবেন, যে কাজ নবী (ﷺ) করেননি। এরপর আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! এ কাজ করাটাই কল্যাণকর হবে। এরপর আমিও আমার কথায় অটল থেকে বারবার জোর দিতে লাগলাম। পরিশেষে আল্লাহ যেটা উপলব্ধি করার জন্য আবু বকর ও উমর (রাযিঃ) এর বক্ষকে উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন, আমার বক্ষকেও তা উপলব্ধি করার জন্য উন্মুক্ত করে দিলেন (অর্থাৎ এর প্রয়োজনীয়তা তাদের ন্যায় আমিও অনুভব করলাম)। এরপর আমি কুরআন সংগ্রহে লেগে গেলাম এবং হাড়, চামড়া, খেজুর ডালে ও বাকলে এবং মানুষের বক্ষস্থল (অর্থাৎ মানুষের কাছে যা মুখস্ত ছিল। তা থেকে সংগ্রহ করলাম। পরিশেষে খুযায়মা আনসারীর* কাছে সূরায়ে তওবার দু’টি আয়াত (লিখিত) পেয়ে গেলাম, যা অন্য কারো কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারিনি। (যে আয়াতদ্বয়ের একটি হল) لقد جاءكم থেকে ষেশ পর্যন্ত।
এরপর এ জমাকৃত কুরআন-এর কপিটি আবু বকর (রাযিঃ)-এর ইন্তিকাল পর্যন্ত তাঁর কাছেই জমা ছিল। তারপর উমর (রাযিঃ) এর কাছে এলো। তার ইন্তিকাল পর্যন্ত তার কাছেই এটি জমা ছিল। তারপর এটি হাফসা বিনতে উমর (রাযিঃ) এর কাছে এলো।
উসমান এবং লাঈস (রাহঃ) خُزَيْمَةَ শব্দের বর্ণনায় শুআইব এর অনুসরণ করেছেন। অন্য এক সনদেও ইবনে শিহাব থেকে এ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তাতে খুযায়মার স্থলে আবু খুযায়মা আনসারী বলা হয়েছে। মুসা এর সনদে عَنْ ابْنُ شِهَابٍ এর স্থলে حَدَّثَنَا ابْنُ شِهَابٍ এবং আবু খুযায়মা আনসারী বলা হয়েছে। ইয়াকুব ইবনে ইবরাহীমের অনুসরণ করেছেন।
অন্য এক সনদে সাবিত (রাহঃ) এর عَنْ إِبْرَاهِيمَ এর পরিবর্তে حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ বলেছেন এবং খুযায়মা অথবা আবু খুযয়মা নিয়ে সন্দেহ আছে।
*খুযায়মা আনসারী (রা)-এর একার স্বাক্ষী দু'জনের স্বাক্ষীর সমান। তার এ বিশস্ততা ও মর্যাদা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা) ঘোষণা দিয়েছেন ।


বর্ণনাকারী: