আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
৪২৫২। ইসমাঈল (রাহঃ) ......... নবী-পত্নী আয়েশা (রাযিঃ) বলেছেন যে, আমরা সবাই রাসূল (ﷺ) এর সাথে এক সফরে বের হলাম, বায়দা কিংবা যাতুল জায়শ নামক স্থানে পৌছার পর আমার গলার হার হারিয়ে গেল। তা খোজার জন্য রাসূল (ﷺ) তথায় অবস্থান করলেন এবং অন্যান্যলোকও তাঁর সাথে অবস্থান করল। সেখানেও কোন পানি ছিল না এবং তাদের সাথেও পানি ছিল না। এরপর লোকেরা আবু বকর (রাযিঃ) এর কাছে আসল এবং বলল, আয়েশা (রাযিঃ) যা করেছেন আপনি তা দেখেছেন কি? রাসূল (ﷺ) এবং সকল লোককে আটকিয়ে রেখেছেন, অথচ তাদের কাছেও পানি নেই আবার সেখানেও পানি নেই। রাসূল (ﷺ) আমার উরুতে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছিলেন। এমতাবস্থায় আবু বকর (রাযিঃ) এলেন এবং বললেন, তুমি রাসূল (ﷺ) এবং সকল লোককে আটকে রেখেচ অথচ সেখানেও পানি নেই আবার তাদের সাথেও পানি নেই।
আয়েশা (রাযিঃ) বললেন যে, আবু বকর (রাযিঃ) আমাকে দোষারোপ করলেন এবং আল্লাহ যা চেয়েছেন তা বলেছেন এবং তাঁর অঙ্গুলি দিয়ে আমার কোমরে ঠুসি দিতে লাগলেন, আমার কোলে রাসূল (ﷺ) এর অবস্থানই আমাকে পালিয়ে যেতে বাধা দিয়েছে। পানিবিহীন অবস্থায় রাসূল (ﷺ) ঘুম থেকে উঠলেন। এরপর فَتَيَمَّمُوا বলে আল্লাহ তাআলা তায়াম্মুমোর আয়াত নাযিল করলেন, তখন উসায়দ ইবনে হুযায়র বলেছেন, হে আবু বকর এর বংশধর! এটা আপনাদের প্রথম মাত্র বরকত নয়।
আয়েশা (রাযিঃ) বললেন, যে উটের উপর আমি ছিলাম, তাকে আমরা উঠালাম তখন দেখি হারটি তার নীচে।

তাহকীক:
তাহকীক নিষ্প্রয়োজন