আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

২০. হজ্ব - উমরার অধ্যায়

হাদীস নং: ৭৮০
২৪. কোন ধরনের শিকারকৃত বস্তু মুহরিম খাইতে পারে
রেওয়ায়ত ৬৫. কা’ব আহবার (রাহঃ) যখন সিরিয়া হইতে আসেন কতিপয় ইহরাম বাঁধা আরোহীও তখন তাহার সঙ্গী হয় পথে তাহারা কিছু শিকারের গোশত পাইলেন। কা’ব (রাহঃ) তাহাদিগকে উহা খাইতে অনুমতি দিলেন। ঐ আরোহী দল মদীনায় আসিয়া উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-কে উক্ত ঘটনা জানাইলেন। তিনি বললেন, তোমাদিগকে উক্ত গোশত খাইতে কে ফতওয়া দিয়াছিলেন? তাহারা বললেনঃ কাব (রাহঃ)। তিনি বলিলেনঃ ফিরিয়া না আসা পর্যন্ত কা’বকে আমি তোমাদের আমীর বানাইয়া দিলাম। পরে মক্কার পথে তাহারা অনেক পঙ্গপাল দেখিতে পাইলেন। কা’ব তাহাদিগকে উহা খাইতে বলিয়া দিলেন। তাহারা ফিরিয়া উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-কে উহা জানাইলেন। তিনি কা’বকে বলিলেনঃ কি বিষয়ের উপর ভিত্তি করিয়া তুমি এই ধরনের ফতওয়া দিলে? কা’ব বলিলেনঃ এই জাতীয় পঙ্গপাল (টিড্ডী) সামুদ্রিক প্রাণীর অন্তর্ভুক্ত (আর মুহরিমের জন্য সামুদ্রিক প্রাণী খাওয়া জায়েয) । উমর (রাযিঃ) বলিলেনঃ ইহা কেমন করিয়া? কা’ব বলিলেন, আমীরুল মু’মিনীন! সেই সত্তার কসম যাহার হাতে আমার প্রাণ, এই জাতীয় পঙ্গপাল এক প্রকার সামুদ্রিক মাছের হাঁচি হইতে জন্ম হইয়া থাকে। উহা বৎসরে মাত্র দুইবারই হাঁচি দিয়া থাকে।

ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেনঃ মালিক (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইল, পথে শিকারের গোশত পাওয়া গেলে মুহরিম ব্যক্তি উহা ক্রয় করিতে পারে কি? তিনি বলিলেনঃ হজ্জযাত্রীদের নিয়তে শিকার করিয়া থাকিলে উহা আমার কাছে মাকরূহ বলিয়া মনে হয়, তবে সাধারণভাবে বিশেষ কোন নিয়ত ব্যতিরেকে শিকার করা হইয়া থাকিলে উহা ক্রয় করায় দোষের কিছুই নাই। মালিক (রাহঃ) বলেন, ইহরাম বাঁধার সময় কোন ব্যক্তির নিকট তৎকর্তৃক শিকারকৃত কোন পশু ছিল অথবা শিকারকৃত কোন পশু ক্রয় করিল। তবে উহা ছাড়িয়া দেওয়া তাহার জন্য জরুরী নহে, বরং বাড়িতে তাহা রাখিয়া যাইবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ সমুদ্র, নদী-নালা এবং পুকুর ইত্যাদির মাছ মুহরিমগণ শিকার করিতে পরিবে।
بَاب مَا يَجُوزُ لِلْمُحْرِمِ أَكْلُهُ مِنْ الصَّيْدِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ أَنَّ كَعْبَ الْأَحْبَارِ أَقْبَلَ مِنْ الشَّامِ فِي رَكْبٍ حَتَّى إِذَا كَانُوا بِبَعْضِ الطَّرِيقِ وَجَدُوا لَحْمَ صَيْدٍ فَأَفْتَاهُمْ كَعْبٌ بِأَكْلِهِ قَالَ فَلَمَّا قَدِمُوا عَلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ بِالْمَدِينَةِ ذَكَرُوا ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ مَنْ أَفْتَاكُمْ بِهَذَا قَالُوا كَعْبٌ قَالَ فَإِنِّي قَدْ أَمَّرْتُهُ عَلَيْكُمْ حَتَّى تَرْجِعُوا ثُمَّ لَمَّا كَانُوا بِبَعْضِ طَرِيقِ مَكَّةَ مَرَّتْ بِهِمْ رِجْلٌ مِنْ جَرَادٍ فَأَفْتَاهُمْ كَعْبٌ أَنْ يَأْخُذُوهُ فَيَأْكُلُوهُ فَلَمَّا قَدِمُوا عَلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ ذَكَرُوا لَهُ ذَلِكَ فَقَالَ مَا حَمَلَكَ عَلَى أَنْ تُفْتِيَهُمْ بِهَذَا قَالَ هُوَ مِنْ صَيْدِ الْبَحْرِ قَالَ وَمَا يُدْرِيكَ قَالَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنْ هِيَ إِلَّا نَثْرَةُ حُوتٍ يَنْثُرُهُ فِي كُلِّ عَامٍ مَرَّتَيْنِ
وَسُئِلَ مَالِك عَمَّا يُوجَدُ مِنْ لُحُومِ الصَّيْدِ عَلَى الطَّرِيقِ هَلْ يَبْتَاعُهُ الْمُحْرِمُ فَقَالَ أَمَّا مَا كَانَ مِنْ ذَلِكَ يُعْتَرَضُ بِهِ الْحَاجُّ وَمِنْ أَجْلِهِمْ صِيدَ فَإِنِّي أَكْرَهُهُ وَأَنْهَى عَنْهُ فَأَمَّا أَنْ يَكُونَ عِنْدَ رَجُلٍ لَمْ يُرِدْ بِهِ الْمُحْرِمِينَ فَوَجَدَهُ مُحْرِمٌ فَابْتَاعَهُ فَلَا بَأْسَ بِهِ قَالَ مَالِك فِيمَنْ أَحْرَمَ وَعِنْدَهُ صَيْدٌ قَدْ صَادَهُ أَوْ ابْتَاعَهُ فَلَيْسَ عَلَيْهِ أَنْ يُرْسِلَهُ وَلَا بَأْسَ أَنْ يَجْعَلَهُ عِنْدَ أَهْلِهِ قَالَ مَالِك فِي صَيْدِ الْحِيتَانِ فِي الْبَحْرِ وَالْأَنْهَارِ وَالْبِرَكِ وَمَا أَشْبَهَ ذَلِكَ إِنَّهُ حَلَالٌ لِلْمُحْرِمِ أَنْ يَصْطَادَهُ
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
rabi
বর্ণনাকারী:
মুওয়াত্তা মালিক - হাদীস নং ৭৮০ | মুসলিম বাংলা