আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫২৪
২২৯১. আল্লাহর বাণীঃ তোমরা কি মনে কর যে, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে, যদিও এখনও তোমাদের কাছে তোমাদের পূর্ববর্তীদের অবস্থা আসেনি? অর্থ-সংকট ও দুঃখ-ক্লেশ তাদের স্পর্শ করেছিল এবং তারা ভীত ও কম্পিত হয়েছিল। এমনকি রসূল এবং তাঁর সাথে যারা ঈমান আনয়নকারীগন বলে উঠেছিল, আল্লাহর সাহায্য কখন আসবে ? জেনে রেখো, আল্লাহর সাহায্য নিকটেই। (২ঃ ২১৪)
৪১৭০। ইবরাহীম ইবনে মুসা (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, (যখন) ‘আল্লাহর বাণীঃ ‘‘অবশেষে যখন রাসূলগণ নিরাশ (হওয়ার উপক্রম) হলেন এবং লোকেরা ভাবলো যে, রাসূলগণকে মিথ্যা আশ্বাস দেওয়া হয়েছে (১২: ১১০), (নাযিল হয়) তখন ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এই আয়াতসহ সূরা বাকারার আয়াতের শরনাপন্ন হন ও তিলাওয়াত করেন, যেমনঃ حَتَّى يَقُولَ الرَّسُولُ وَالَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ مَتَى نَصْرُ اللَّهِ أَلاَ إِنَّ نَصْرَ اللَّهِ قَرِيب এমন কি রাসূল (ﷺ) এবং তাঁর সাথে ঈমান আনয়নকারীগণ বলে উঠেছিল-আল্লাহর সাহায্য কখন আসবে? জেনে রেখো, আল্লাহর সাহায্য নিকটেই (২: ২১৪)
রাবী বলেন, এরপর আমি উরওয়া ইবনে যুবাইরের সাথে সাক্ষাত করে তাঁকে এ সম্পর্কে অবহিত করি, তখন তিনি বলেন যে, আয়েশা (রাযিঃ) বলেছেন, আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি, আল্লাহর কসম, আল্লাহ তাআলা তাঁর রাসূলের নিকট যেসব অঙ্গীকার করেছেন, তিনি জানতেন যে তা তাঁর মৃত্যুর পূর্বেই বাস্তবে পরিণত হবে। কিন্তু রাসূলগণের প্রতি সমূহ বিপদ-আপদ নিপতিত হতে থাকবে। এমন কি তারা আশঙ্কা করবে যে, সঙ্গী-সাথীরা তাদেরকে মিথ্যুক প্রতিপন্ন করবে। এ প্রসঙ্গে আয়েশা (রাযিঃ) এ আয়াত পাঠ করতেন أَنَّهُمْ قَدْ كُذِّبُوا তারা ভাবল যে, তারা তাদেরকে মিথ্যুক সাব্যস্ত করবে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন