আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫২১
২২৮৮. আল্লাহর বাণীঃ এরপর অন্যান্য লোক যেখান থেকে প্রত্যাবর্তন করে তোমরাও সে স্থান থেকে প্রত্যাবর্তন করবে (২ঃ ১৯৯)
৪১৬৭। মুহাম্মাদ ইবনে আবু বকর (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তামাত্তু আদায়কারী ব্যক্তি উমরা আদায়ের পরে যতদিন হালাল অবস্থায় থাকবে, ততদিন বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করবে। তারপর হজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধবে। এরপর যখন আরাফাতে যাবে তখন উট, গরু, ছাগল প্রভৃতি যা মুহারিমের জন্য সহজলভ্য হয় তা মিনাতে কুরবানী করবে। আর যে কুরবানীর সঙ্গতি রাখে না সে হজ্জের দিনসমূহের মধ্যে তিনটি রোযা পালন করবে। আর তা আরাফার দিবসের পূর্বে হতে হবে। আর তিন দিনের শেষ দিন যদি আরাফার দিন হয়, তবে তাতে কোন দোষ নেই। তারপর আরাফার ময়দানে যাবে এবং সেখানে নামাযে আসর হতে সূর্যাস্তের অন্ধকার পর্যন্ত উকুফ (অবস্থান) করবে।

এরপর আরাফা হতে প্রত্যাবর্তন করে মুযদালিফায় পৌঁছে সেখানে নেকী হাসিলের কাজ করতে থাকবে এবং অধিক পরিমাণে আল্লাহর যিক্‌র করবে। সেখানে ফজর হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তাকবীর ও তাহলীল পাঠ করবে। এরপর (মিনার দিকে) প্রত্যাবর্তন করবে যেভাবে অন্যান্য লোক প্রর্ত্যাবর্তন করে। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন, ″এরপর প্রত্যাবর্তন কর সেখান হতে, যেখান হতে লোকজন প্রত্যাবর্তন করে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা ক্ষমাশীল, দয়াময়।″ তারপর জমরাতুল আকাবাতে প্রস্তর নিক্ষেপ করবে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন