আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৭৪
২২৫৪. কুরআনের তাফসীর অধ্যায়ঃ ‘রহমান ও রহীম’’ শব্দদ্বয় ‘রহমত’ শব্দ থেকে নির্গত এবং রহীম ও রাহিম দু’টো শব্দ একই অর্থবোধক যেমন আলীম' ও 'আলিম'।
সূরা ফাতিহা (ফাতিহাতুল কিতাব) প্রসঙ্গে। সূরাহ ফাতিহাকে উম্মুল কিতাব (কিতাবের মুল) হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে এজন্য যে, সূরা ফাতিহা লিখন দ্বারাই কুরআন গ্রন্থাকারে লিখা শুরু হয়েছে। আর সূরা ফাতিহা পাঠের মাধ্যমে নামাযও আরম্ভ করা হয়। “দ্বীন” অর্থ — ভাল ও মন্দের প্রতিফল । যেমন বলা হয়ে থাকে كَمَا تَدِيْنُ تُدَانُ অর্থ “যেমন কর্ম তেমন ফল” । আর মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, بِالدِّيْنِ -
এর অর্থ হিসাব —নিকাশ । مَدِيْنِيْنَ অর্থ যার হিসাব নেয়া হবে।
সূরা ফাতিহা (ফাতিহাতুল কিতাব) প্রসঙ্গে। সূরাহ ফাতিহাকে উম্মুল কিতাব (কিতাবের মুল) হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে এজন্য যে, সূরা ফাতিহা লিখন দ্বারাই কুরআন গ্রন্থাকারে লিখা শুরু হয়েছে। আর সূরা ফাতিহা পাঠের মাধ্যমে নামাযও আরম্ভ করা হয়। “দ্বীন” অর্থ — ভাল ও মন্দের প্রতিফল । যেমন বলা হয়ে থাকে كَمَا تَدِيْنُ تُدَانُ অর্থ “যেমন কর্ম তেমন ফল” । আর মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, بِالدِّيْنِ -
এর অর্থ হিসাব —নিকাশ । مَدِيْنِيْنَ অর্থ যার হিসাব নেয়া হবে।
৪১২২। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ ইবনে মুআল্লা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একদা মসজিদে নববীতে নামায আদায় করছিলাম, এমন সময় রাসূলুল্লাহ ((ﷺ) আমাকে ডাকেন। কিন্তু সে ডাকে আমি সাড়া দেইনি। পরে আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সা:)! আমি নামাযে ছিলাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ কি বলেন নি যে, হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহর ডাকে সাড়া দিবে এবং রাসূল (ﷺ) এর ডাকেও যখন তিনি তোমাদেরকে আহবান করেন। (৮ঃ ২৪)। তারপর তিনি আমাকে বললেন, তুমি মসজিদ থেকে বের হওয়ার পূর্বেই তোমাকে আমি কুরআনের এক মহান সূরা শিক্ষা দিব। তারপর তিনি আমার হাত ধরেন। এরপর যখন তিনি মসজিদ থেকে বের হওয়ার ইচ্ছা করেন তখন আমি তাঁকে বললাম, আপনি না আমাকে কুরআনের শ্রেষ্ঠতম সূরা শিক্ষা দিবেন বলে বলছিলেন? তিনি বললেন,الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি বিশ্ব জগতের প্রতিপালক, এটা বারবার পঠিত সাতটি আয়াতবিশিষ্ট সূরা এবং মহান কুরআন যা আমাকেই প্রদান করা হয়েছে।


বর্ণনাকারী: