আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৭- নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ৩৯০
আন্তর্জতিক নং: ৩৯৯

পরিচ্ছেদঃ ২৭২। যেখানেই হোক (নামাযে) কিবলামুখী হওয়া।
আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ কিবলামুখী হও এবং তাকবীর বল।

৩৯০। আব্দুল্লাহ ইবনে রাজা’ (রাহঃ) .... বারা’ ইবনে আযিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বায়তুল মুকাদ্দাসমুখী হয়ে ষোল বা সতের মাস নামায আদায় করেছেন। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কাবার দিকে কিবলা করা পছন্দ করতেন। মহান আল্লাহ নাযিল করেনঃ “আকাশের দিকে আপনার বারবার তাকানোকে আমি অবশ্য লক্ষ্য করছি। (২ : ১৪৪) তারপর তিনি কাবার দিকে মুখ করেন। আর নির্বোধ লোকেরা—তারা ইয়াহুদী, বলতো, ″তারা এ যাবত যে কিবলা অনুসরণ করে আসছিলো, তা থেকে কিসে তাঁদের কে ফিরিয়ে দিল″? বলুনঃ (হে রাসূল) পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই। তিনি যাকে ইচ্ছা সঠিক পথে পরিচালিত করেন। (২ : ১৪২)
তখন নবী (ﷺ) এর সঙ্গে এক ব্যক্তি নামায আদায় করলেন এবং বেরিয়ে গেলেন। তিনি আসরের নামাযের সময় আনসারগণের এক গোত্রের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁরা বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে নামায আদায় করেছিলেন। তখন তিনি বললেনঃ (তিনি নিজেই) সাক্ষী যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে তিনি নামায আদায় করেছেন, আর তিনি (রাসূলুল্লাহ (ﷺ)) কাবার দিকে মুখ করেছেন। তখন সে গোত্রের লোকজন ঘুরে কাবার দিকে মুখ করলেন।


tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক নিষ্প্রয়োজন