আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪০৯৩
২১৯২. রাজী, রিল, যাকওয়ান, বিরে মাউনার যুদ্ধ এবং আযাল, কারাহ, আসিম ইবনে সাবিত, খুবাইব (রাযিঃ) ও তার সঙ্গীদের ঘটনা।
৩৭৯৩। উবাইদ ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) .... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, (মক্কার কাফেরদের) অত্যাচার চরম আকার ধারণ করলে আবু বকর (রাযিঃ) মক্কা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য নবী কারীম (ﷺ)- এর কাছে অনুমতি চাইলে তিনি তাঁকে বললেন, (আরো কিছুদিন) অবস্থান কর। তখন তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কি আশা করেন যে, আপনাকে অনুমতি দেওয়া হোক? তিনি বললেন, আমি তো তাই আশা করি। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, আবু বকর (রাযিঃ)- এর জন্য অপেক্ষা করলেন।
একদিন যোহরের নামাযের সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এসে তাঁকে [আবু বকর (রাযিঃ)-কে] ডেকে বললেন, তোমার কাছে যারা আছে তাদেরকে সরিয়ে দাও। তখন আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, এরা তো আমার দু’মেয়ে (আয়েশা এবং আসমা)। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি কি জানো আমাকে চলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে? আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি কি আপনার সাথে যেতে পারবো? নবী কারীম (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ আমার সাথে যেতে পারবে।
আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার কাছে দু’টি উটনী আছে। এখান থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্যই এ দু’টিকে আমি প্রস্তুত করে রেখেছি। এরপর তিনি নবী কারীম (ﷺ)- কে দুটি উটের একটি উট প্রদান করলেন। এ উটটি ছিল কান-নাক কাটা। তাঁরা উভয়ে সওয়ার হয়ে রওয়ানা হলেন এবং গারে সাওরে পৌঁছে সেখানে আত্মগোপন করলেন। আয়েশা (রাযিঃ)-এর বৈমাত্রেয় ভাই আমির ইবনে ফুহায়রা ছিলেন আব্দুল্লাহ ইবনে তুফায়ল ইবনে সাখবারার গোলাম। আবু বকর (রাযিঃ)-এর একটি দুধের গাভী ছিল। তিনি (আমির ইবনে ফুহায়রা) সেটিকে সন্ধ্যাবেলা চরাতে নিয়ে গিয়ে রাতের অন্ধকারে তাদের (মক্কার কাফেরদের) কাছে নিয়ে যেতেন এবং ভোরবেলা তাঁদের উভয়ের কাছে নিয়ে যেতেন। কোনো রাখালই এ বিষয়টি বুঝতে পারতো না। নবী কারীম (ﷺ) ও আবু বকর (রাযিঃ) গারে সাওর থেকে বের হলে তিনিও তাদের সাথে রওয়ানা হলেন। তাঁরা মদীনা পৌঁছে যান। আমির ইবনে ফুহায়রা পরবর্তীকালে বি’রে মাউনার যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেন।
(অন্য সনদে) আবু উসামা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হিশাম ইবনে উরওয়া (রাহঃ) বলেন, আমার পিতা [উরওয়া (রাযিঃ)] আমাকে বলেছেন, রি’রে মাউনার যুদ্ধে শাহাদাতবরণকারীগণ শহীদ হলে আমর ইবনে উমাইয়া যামরী বন্ধী হলেন। তাঁকে আমির ইবনে তুফায়ল নিহত আমির ইবনে ফুহায়রার লাশ দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করল, এ ব্যক্তি কে? আমর ইবনে উমাইয়া বললেন, ইনি হচ্ছেন আমির ইবনে ফুহায়রা। তখন সে (আমির ইবনে তুফায়ল) বলল, আমি দেখলাম, নিহত হওয়ার পর তার লাশ আকাশে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। এমনকি আমি তার লাশ আসমান যমীনের মাঝে দেখেছি। এরপর তা রেখে দেয়া হল (যমীনের উপর)। এ সংবাদ নবী কারীম (ﷺ)- এর কাছে পৌঁছলে তিনি সাহাবীগণকে তাদের শাহাদাতের সংবাদ জানিয়ে বললেন, তোমাদের সাথীদেরকে হত্যা করা হয়েছে।
মৃত্যুর পূর্বে তারা তাদের প্রতিপালকের কাছে প্রার্থনা করে বলেছিলেন, হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা আপনার প্রতি সন্তুষ্ট এবং আপনিও আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট- এ সংবাদ আমাদের ভাইদের কাছে পৌঁছে দিন। তাই মহান আল্লাহ তাঁদের এ সংবাদ মুসলমানদের কাছে পৌঁছিয়ে দিলেন। ঐ দিনের নিহতদের মধ্যে উরওয়া ইবনে আসমা ইবনে সাল্লাত (রাযিঃ)-ও ছিলেন। তাই এ নামেই উরওয়া (ইবনে যুবায়েরের)- এর নামকরণ করা হয়েছে। আর মুনযির ইবনে আমর (রাযিঃ)-ও এ দিন শাহাদাত বরণ করেছিলেন। তাই এ নামেই মুনযির-এর নামকরণ করা হয়েছে।
একদিন যোহরের নামাযের সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এসে তাঁকে [আবু বকর (রাযিঃ)-কে] ডেকে বললেন, তোমার কাছে যারা আছে তাদেরকে সরিয়ে দাও। তখন আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, এরা তো আমার দু’মেয়ে (আয়েশা এবং আসমা)। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি কি জানো আমাকে চলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে? আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি কি আপনার সাথে যেতে পারবো? নবী কারীম (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ আমার সাথে যেতে পারবে।
আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার কাছে দু’টি উটনী আছে। এখান থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্যই এ দু’টিকে আমি প্রস্তুত করে রেখেছি। এরপর তিনি নবী কারীম (ﷺ)- কে দুটি উটের একটি উট প্রদান করলেন। এ উটটি ছিল কান-নাক কাটা। তাঁরা উভয়ে সওয়ার হয়ে রওয়ানা হলেন এবং গারে সাওরে পৌঁছে সেখানে আত্মগোপন করলেন। আয়েশা (রাযিঃ)-এর বৈমাত্রেয় ভাই আমির ইবনে ফুহায়রা ছিলেন আব্দুল্লাহ ইবনে তুফায়ল ইবনে সাখবারার গোলাম। আবু বকর (রাযিঃ)-এর একটি দুধের গাভী ছিল। তিনি (আমির ইবনে ফুহায়রা) সেটিকে সন্ধ্যাবেলা চরাতে নিয়ে গিয়ে রাতের অন্ধকারে তাদের (মক্কার কাফেরদের) কাছে নিয়ে যেতেন এবং ভোরবেলা তাঁদের উভয়ের কাছে নিয়ে যেতেন। কোনো রাখালই এ বিষয়টি বুঝতে পারতো না। নবী কারীম (ﷺ) ও আবু বকর (রাযিঃ) গারে সাওর থেকে বের হলে তিনিও তাদের সাথে রওয়ানা হলেন। তাঁরা মদীনা পৌঁছে যান। আমির ইবনে ফুহায়রা পরবর্তীকালে বি’রে মাউনার যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেন।
(অন্য সনদে) আবু উসামা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হিশাম ইবনে উরওয়া (রাহঃ) বলেন, আমার পিতা [উরওয়া (রাযিঃ)] আমাকে বলেছেন, রি’রে মাউনার যুদ্ধে শাহাদাতবরণকারীগণ শহীদ হলে আমর ইবনে উমাইয়া যামরী বন্ধী হলেন। তাঁকে আমির ইবনে তুফায়ল নিহত আমির ইবনে ফুহায়রার লাশ দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করল, এ ব্যক্তি কে? আমর ইবনে উমাইয়া বললেন, ইনি হচ্ছেন আমির ইবনে ফুহায়রা। তখন সে (আমির ইবনে তুফায়ল) বলল, আমি দেখলাম, নিহত হওয়ার পর তার লাশ আকাশে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। এমনকি আমি তার লাশ আসমান যমীনের মাঝে দেখেছি। এরপর তা রেখে দেয়া হল (যমীনের উপর)। এ সংবাদ নবী কারীম (ﷺ)- এর কাছে পৌঁছলে তিনি সাহাবীগণকে তাদের শাহাদাতের সংবাদ জানিয়ে বললেন, তোমাদের সাথীদেরকে হত্যা করা হয়েছে।
মৃত্যুর পূর্বে তারা তাদের প্রতিপালকের কাছে প্রার্থনা করে বলেছিলেন, হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা আপনার প্রতি সন্তুষ্ট এবং আপনিও আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট- এ সংবাদ আমাদের ভাইদের কাছে পৌঁছে দিন। তাই মহান আল্লাহ তাঁদের এ সংবাদ মুসলমানদের কাছে পৌঁছিয়ে দিলেন। ঐ দিনের নিহতদের মধ্যে উরওয়া ইবনে আসমা ইবনে সাল্লাত (রাযিঃ)-ও ছিলেন। তাই এ নামেই উরওয়া (ইবনে যুবায়েরের)- এর নামকরণ করা হয়েছে। আর মুনযির ইবনে আমর (রাযিঃ)-ও এ দিন শাহাদাত বরণ করেছিলেন। তাই এ নামেই মুনযির-এর নামকরণ করা হয়েছে।
