আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৪৯- নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯২৬
২১৫৫. নবী কারীম (ﷺ) এবং তাঁর সাহাবীদের মদীনায় শুভাগমন
৩৬৪২। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন মদীনায় আগমন করলেন, তখন আবু বকর ও বিলাল (রাযিঃ) ভীষণ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়লেন। আমি তাদেরকে দেখতে গেলাম এবং বললাম, আব্বাজান কেমন আছেন? হে বিলাল, আপনি কেমন আছেন? আবু বকর (রাযিঃ) জ্বরাক্রান্ত হলেই এ পংক্তিগুলু আবৃত্তি করতেন। “প্রতিটি ব্যক্তিকে নিজ পরিবারে সুপ্রভাত বলা হয় অথচ মৃত্যু তার জুতার ফিতার চাইতেও অধিক নিকটবর্তী।”
আর বিলাল (রাযিঃ)- এর অবস্থা ছিল এই যখন তাঁর জ্বর ছেড়ে যেত তখন কণ্ঠস্বর উঁচু করে এ কবিতাটি আবৃত্তি করতেনঃ “হায়, আমি যদি জানতাম আমি ঐ মক্কা উপত্যকায় পুনরায় রাত্রি যাপন করতে পারব কিনা যেখানে ইযখির ও জলীল ঘাস আমার চারপাশে বিরাজমান থাকত। হায়, আর কি আমার ভাগ্যে জুটবে যে, আমি মজান্না নামক কূপের পানি পান করতে পারব! এবং শামা ও তাফিল পাহাড় কি আর আমার দৃষ্টিগোচর হবে!”
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট গিয়ে এ সংবাদ জানালাম। তখন তিনি এ দুআ করলেন, হে আল্লাহ! মদীনাকে আমাদের প্রিয় করে দাও যেমন প্রিয় ছিল আমাদের মক্কা বরং তার চেয়েও অধিক প্রিয় করে দাও। আমাদের জন্য মদীনাকে স্বাস্থ্যকর বানিয়ে দাও। মদীনার সা’ ও মুদ এর মধ্যে বরকত দান কর। আর এখানকার জ্বর রোগকে স্থানান্তর করে জুহফায় নিয়ে যাও।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন