আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৪৯- নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯০৪
২১৫৪. নবী কারীম (ﷺ) এবং সাহাবীদের মদীনা হিজরত।
৩৬২৪। ইসমাঈল ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) .... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মিম্বারে বসলেন এবং বললেন, আল্লাহ তাঁর এক বান্দাকে দুটি বিষয়ের একটির ইখতিয়ার দিয়েছেন। তাঁর একটি হল- দুনিয়ার ভোগ-সম্পদ, আর একটি হল আল্লাহর নিকট যা রক্ষিত রয়েছে। তখন সে বান্দা আল্লাহর কাছে যা রয়েছে তাই পছন্দ করলেন। একথা শুনে, আবু বকর (রাযিঃ) কেঁদে ফেললেন, এবং বললেন, আমাদের পিতা-মাতাকে আপনার জন্য উৎসর্গ করলাম। তাঁর অবস্থা দেখে আমরা বিস্মিত হলাম। লোকেরা বলতে লাগল, এ বৃদ্ধের অবস্থা দেখ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক বান্দার সম্বন্ধে খবর দিলেন যে, তাকে আল্লাহ পার্থিব ভোগ-সম্পদ দেওয়ার এবং তাঁর কাছে যা হয়েছে, এ দু’য়ের মধ্যে ইখতিয়ার দিলেন আর এই বৃদ্ধ বলছে, আপনার জন্য আমাদের মাতাপিতা উৎসর্গ করলাম।
(প্রকৃতপক্ষে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-ই হলেন সেই ইখতিয়ার প্রাপ্ত বান্দা। আর আবু বকর (রাযিঃ)-ই হলেন আমাদের মধ্যে সবচাইতে বিজ্ঞ ব্যক্তি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি তার সহচর্য ও মাল দিয়ে আমার প্রতি সর্বাধিক ইহসান করেছেন তিনি হলেন আবু বকর (রাযিঃ)। যদি আমি আমার উম্মতের কোন ব্যক্তিকে অন্তরং্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করতাম তাহলে আবু বকরকেই করতাম। তবে তার সঙ্গে আমার ইসলামী ভ্রাতৃত্বের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। মসজিদের দিকে আবু বকর (রাযিঃ)- এর দরজা ছাড়া অন্য কারো দরজা খোলা থাকবে না।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন