আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৪৯- নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল

হাদীস নং: ৩৫৮৭
আন্তর্জতিক নং: ৩৮৬৬

পরিচ্ছেদঃ ২১৪৪. উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)- এর ইসলাম গ্রহণ

৩৫৮৭। ইয়াহয়া ইবনে সুলাইমান (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি যখনই উমর (রাযিঃ)- কে কোন ব্যাপারে একথা বলতে শুনেছি যে, আমার ধারণা হয় ব্যাপারটি এমন হবে, তবে তার ধারণা মত ব্যাপারটি সংঘটিত হয়েছে। একবার উমর (রাযিঃ) বসা ছিলেন, এমন সময় একজন সুদর্শন ব্যক্তি তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। উমর (রাযিঃ) বললেন, আমার ধারণা ভুলও হতে পারে তবে আমার মনে হয় লোকটি জাহিলী ধর্মাবলম্বী অথবা ভবিষ্যৎ গণনাকারীও হতে পারে। লোকটিকে আমর কাছে নিয়ে এস। তাকে তাঁর কাছে ডেকে আনা হল। উমর (রাযিঃ) তার ধারণার কথা তাকে শোনালেন। তখন সে বলল, একজন মুসলিমের পক্ষ থেকে বলা হল যা আজকের মত আর কোন দিন দেখিনি। উমর (রাযিঃ) বললেন, আমি তোমাকে কসম দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, তুমি আমাকে তোমার ব্যাপারটা খুলে বল। সে বলল, জাহিলী যুগে আমি তাদের ভবিষ্যৎগণনাকারী ছিলাম। উমর (রাযিঃ) বললেন, জ্বিনেরা তোমাকে যে সব কথাবার্তা বলেছে, তন্মধ্যে কোন কথাটি তোমার নিকট সর্বাধিক বিষ্ময়কর ছিল।
সে বলল, আমি একদিন বাজারে অবস্থান করছিলাম। তখন একটি মহিলা জ্বিন আমার নিকট আসল। আমি তাকে ভীত-সন্ত্রস্ত দেখতে পেলাম। তখন সে বলল, তুমি কি জ্বিন জাতির অবস্থা দেখছ না, তারা কেমন দুর্বল হয়ে পড়ছে? তাদের মধ্যে হতাশা ও বিমূঢ় হওয়ার চিহ্ন পরিলক্ষিত হচ্ছে। তারা ক্রমশঃ উটওয়ালাদের এবং চাদর জুব্বা পরিধানকারীদের (আরববাসী) অনুগত হয়ে পড়ছে। উমর (রাযিঃ) বললেন, সে সত্য কথা বলেছে। আমি একদিন তাদের দেবতাদের কাছে ঘুমন্ত ছিলাম। তখন এক ব্যক্তি একটি গরুর বাছুর নিয়ে হাযির হল এবং সেটা যবাই করে দিল। ঐ সময় এক ব্যক্তি এমন বিকট চিৎকার করে উঠল, যা আমি আর কখনও শুনিনি। সে চিৎকার করে বলছিল, হে জলীহ! একটি স্বাভাবিক কল্যাণময় ব্যাপার অচিরেই প্রকাশ লাভ করবে। তা হল- একজন বিশুদ্ধভাষী লোক বলবেন,لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ (এ ঘোষণা শুনে উপস্থিত) লোকজন ছুটাছুটি করে পলায়ন করল। আমি বললাম, এ ঘোষণার রহস্য উদঘাটন অবশ্যই করব। তারপর আবার ঘোষণা দেওয়া হল। হে জলীহ! একটি স্বাভাবিক ও কল্যাণময় ব্যাপার অতি সত্বর প্রকাশ পাবে। তাহল একজন বাগ্মী ব্যক্তি لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ এর প্রকাশ্যে ঘোষণা দিবে। তারপর আমি উঠে দাঁড়ালাম। এর কিছুদিন পরেই বলা হল যে, তিনিই নবী (ﷺ)।


tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক নিষ্প্রয়োজন

সহীহ বুখারী - হাদীস নং ৩৫৮৭ | মুসলিম বাংলা