আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৪৯- নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭১১
২০৯১. রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট আত্মীয়দের মর্যাদা এবং ফাতিমা (রাযিঃ) বিনতে নবী (ﷺ)- এর মর্যাদা। নবী (ﷺ) বলেছেন, ফাতিমা (রাযিঃ) জান্নাতবাসী মহিলাগণের সরদার
৩৪৪৬। আবু ইয়ামান (রাহঃ) .... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু বকর (রাযিঃ)- এর নিকট ফাতিমা (রাযিঃ) নবী কারীম (ﷺ) থেকে তাঁর উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অংশ দাবী করলেন যা আল্লাহ তাআলা তাকে বিনাযুদ্ধে দান করেছিলেন, যা তিনি সাদ্‌কা স্বরূপ মদীনা, ফাদাকে রেখে গিয়েছিলেন এবং খায়বারের এক-পঞ্চমাংশ হতে যে অবশিষ্ট ছিল তাও। আবু বকর (রাযিঃ) (তার উত্তরে) বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমাদের (নবীগণের) মালের ওয়ারিস কেউ হয় না। আমরা যা কিছু রেখে যাই তা সবই সাদ্‌কা। মুহাম্মাদ (ﷺ)- এর পরিবারবর্গ এ মাল থেকে অর্থাৎ আল্লাহর মাল থেকে খেতে পারবে। তবে (আহারের জন্য) প্রয়োজনের অধিক নিতে পারবে না।
আল্লাহর কসম, আমি নবী কারীম (ﷺ)- এর পরিত্যক্ত মালে তাঁর যুগে যেমন নিয়ম ছিল তার পরিবর্তন করব না। আমি অবশ্যই তা করব যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) করে গেছেন। এরপর আলী (রাযিঃ) শাহাদত (হামদ-সানা) পাঠ করে বললেন, হে আবু বকর! আমরা আপনার মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে অবহিত এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাথে তাঁদের যে আত্মীয়তা ও ঘনিষ্ঠতা রয়েছে তা এবং তাঁদের অধিকারের কথাও উল্লেখ করলেন। আবু বকর (রাযিঃ)ও এ বিষয়ে উল্লেখ করে বললেন, আল্লাহর কসম! যাঁর হাতে আমার প্রাণ, আমার আত্মীয়দের সাথে সদাচরণ করার চেয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর আত্মীয়দের সাথে সদাচরণ করা আমি অধিক পছন্দ করি।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন