আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৬- তায়াম্মুমের অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৭
২৪০। তায়াম্মুমের জন্য মাটিতে একবার হাত মারা
৩৪০। মুহাম্মাদ ইবনে সালাম (রাহঃ) .... শাকীক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি আব্দুল্লাহ (ইবনে মাসউদ) ও আবু মুসা আশআরী (রাযিঃ)-এর সঙ্গে বসা ছিলাম। আবু মুসা (রাযিঃ) আব্দুল্লাহ (রাযিঃ)-কে বললেনঃ কোন ব্যক্তির জুনুবী হলে সে যদি এক মাস পর্যন্ত পানি না পায়, তাহলে কি সে তায়াম্মুম করে নামায আদায় করবে না? শাকীক (রাহঃ) বলেন, আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেছেনঃ একমাস পানি না পেলেও সে তায়াম্মুম করবে না। তখন তাঁকে আবু মুসা (রাযিঃ) বললেনঃ তাহলে সূরা মায়িদার এ আয়াত সম্পর্কে কি করবেন যে ″পানি না পেলে পাক মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করবে″ (৫ : ৬)। আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) জওয়াব দিলেনঃ মানুষকে সেই অনুমতি দিলে অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছার সম্ভবনা রয়েছে যে, সামান্য ঠাণ্ডা লাগলেই লোকেরা মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করবে। আমি বললামঃ আপনারা এ জন্যই কি তা অপছন্দ করেন? তিনি জওয়াব দিলেন, হ্যাঁ।
আবু মুসা (রাযিঃ) বললেনঃ আপনি কি উমর ইবনে খাত্তব (রাযিঃ)-এর সম্মুখে আম্মার (রাযিঃ)-এর এ কথা শোনেন নি যে, আমাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটা প্রয়োজনে বাইরে পাঠিয়েছিলেন। সফরে আমি জুনুবী হয়ে পড়লাম এবং পানি পেলাম না। এজন্য আমি জন্তুর মত মাটিতে গড়াগড়ি দিলাম। পরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে ঘটনাটি বিবৃত করলাম। তখন তিনি বললেনঃ তোমার জন্য তো এতুকুই যথেষ্ট ছিল—এই বলে তিনি দু’হাত মাটিতে মারলেন। তারপর তা ঝেড়ে নিলেন এবং তা দিয়ে তিনি বাম হাতে ডান হাতের পিঠ মাসাহ করলেন কিংবা রাবী বলেছেন, বাম হাতের পিঠ ডান হাতে মাসাহ করলেন। তারপর হাত দুটো দিয়ে তাঁর মুখমণ্ডল মাসাহ করলেন। আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বললেনঃ আপনি দেখেন নি যে, উমর (রাযিঃ) আম্মার (রাযিঃ)-এর কথায় সন্তুষ্ট হন নি?
ইয়া’লা (রাহঃ) আ’মাশ (রাহঃ) থেকে এবং তিনি শাকীক (রাহঃ) থেকে আরো বলেছেন যে , তিনি বললেনঃ আমি আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) ও আবু মুসা (রাযিঃ)-এর কাছে হাযির ছিলাম; আবু মুসা (রাযিঃ) বলেছিলেনঃ আপনি উমর (রাযিঃ) থেকে আম্মারের এ কথা শোনেন নি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে ও আপনাকে বাইরে পাঠিয়েছিলেন। তখন আমি জুনুবী হয়ে গিয়ে মাটিতে গড়াগড়ি দিয়েছিলাম। তারপর আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এসে এ বিষয় তাঁকে জানালাম। তখন তিনি বললেনঃ তোমার জন্য এই যথেষ্ট ছিল—এ বলে তিনি তাঁর মুখমণ্ডল এবং দু’হাত একবার মাসাহ করলেন
আবু মুসা (রাযিঃ) বললেনঃ আপনি কি উমর ইবনে খাত্তব (রাযিঃ)-এর সম্মুখে আম্মার (রাযিঃ)-এর এ কথা শোনেন নি যে, আমাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটা প্রয়োজনে বাইরে পাঠিয়েছিলেন। সফরে আমি জুনুবী হয়ে পড়লাম এবং পানি পেলাম না। এজন্য আমি জন্তুর মত মাটিতে গড়াগড়ি দিলাম। পরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে ঘটনাটি বিবৃত করলাম। তখন তিনি বললেনঃ তোমার জন্য তো এতুকুই যথেষ্ট ছিল—এই বলে তিনি দু’হাত মাটিতে মারলেন। তারপর তা ঝেড়ে নিলেন এবং তা দিয়ে তিনি বাম হাতে ডান হাতের পিঠ মাসাহ করলেন কিংবা রাবী বলেছেন, বাম হাতের পিঠ ডান হাতে মাসাহ করলেন। তারপর হাত দুটো দিয়ে তাঁর মুখমণ্ডল মাসাহ করলেন। আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বললেনঃ আপনি দেখেন নি যে, উমর (রাযিঃ) আম্মার (রাযিঃ)-এর কথায় সন্তুষ্ট হন নি?
ইয়া’লা (রাহঃ) আ’মাশ (রাহঃ) থেকে এবং তিনি শাকীক (রাহঃ) থেকে আরো বলেছেন যে , তিনি বললেনঃ আমি আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) ও আবু মুসা (রাযিঃ)-এর কাছে হাযির ছিলাম; আবু মুসা (রাযিঃ) বলেছিলেনঃ আপনি উমর (রাযিঃ) থেকে আম্মারের এ কথা শোনেন নি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে ও আপনাকে বাইরে পাঠিয়েছিলেন। তখন আমি জুনুবী হয়ে গিয়ে মাটিতে গড়াগড়ি দিয়েছিলাম। তারপর আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এসে এ বিষয় তাঁকে জানালাম। তখন তিনি বললেনঃ তোমার জন্য এই যথেষ্ট ছিল—এ বলে তিনি তাঁর মুখমণ্ডল এবং দু’হাত একবার মাসাহ করলেন
