আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৩৩. ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের বিবরণ
হাদীস নং: ২১৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ২১৬৯
সৎকাজের আদেশ এবং অসৎকাজের নিষেধ।
২১৭২. কুতায়বা (রাহঃ) ...... হুযাইফা ইবনে ইয়ামান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ যাঁর হাতে আমার প্রাণ সে সত্তার কসম, তোমরা অবশ্যই সৎকাজের আদেশ এবং অসৎকাজের নিষেধ করতে থাক। নতুবা অচিরেই আল্লাহ তাআলা তোমাদের উপর তাঁর আযাব নিপতিত করবেন। তখন তোমরা তাঁর নিকট দুআ করবে কিন্তু তিনি তোমাদের দুআ কবুল করবেন না।
باب ما جاء في الأمر بالمعروف والنهي عن المنكر
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَتَأْمُرُنَّ بِالْمَعْرُوفِ وَلَتَنْهَوُنَّ عَنِ الْمُنْكَرِ أَوْ لَيُوشِكَنَّ اللَّهُ أَنْ يَبْعَثَ عَلَيْكُمْ عِقَابًا مِنْهُ ثُمَّ تَدْعُونَهُ فَلاَ يُسْتَجَابُ لَكُمْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের গুরুত্ব তুলে ধরার সাথে সাথে এ দায়িত্ব পালন না করার পরিণাম সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। তিনি প্রথমে আল্লাহর নামে কসম করে বিষয়টা যে কত গুরুত্বপূর্ণ সেদিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
সাহাবায়ে কিরাম তো এ দায়িত্ব পালন করতেনই। তাঁরা নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামের যে-কোনও আদেশ-নিষেধ পালনকে জীবনের সর্বাপেক্ষা বড় কর্তব্য মনে করতেন এবং এর জন্য যে-কোনও মূল্য দিতে, তা প্রাণ দিয়ে দেওয়াই হোক না কেন, প্রস্তুত থাকতেন। তথাপি তাদেরকে এতটা তাগিদ করা এবং শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করার প্রয়োজন কেন হল?
সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ না করার ইলমী ও আমলী ক্ষতি প্রকৃতপক্ষে বক্তব্যটি তাদেরকে লক্ষ্য করে দেওয়া হলেও উদ্দেশ্য পরবর্তী যমানার লোক। তিনি আখেরী নবী। তাঁর দীন কিয়ামত পর্যন্ত সকল মানুষের জন্য। তাই কিয়ামত পর্যন্ত এ দীনের হেফাজত জরুরি। সে হেফাজতের জন্য সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ করা অপরিহার্য। এ দায়িত্ব ছেড়ে দিলে 'ইলমী ও আমলী উভয় রকমের ক্ষতি। ‘ইলমী ক্ষতি তো এই যে, এর পরিণামে কুরআন ও হাদীছে বিকৃতি ঘটনার আশঙ্কা থাকে। আল্লাহ তা'আলা যেহেতু ইলমে ওহীর হেফাজত করার দায়িত্ব নিজ যিম্মায় রেখেছেন, তাই এ কাজ আঞ্জাম দেওয়ার লোকও তিনি সবযুগে পয়দা করে থাকেন। এ উম্মতের উলামা-মাশায়েখ যুগপরম্পরায় এ দায়িত্ব পালন করে আসছেন, যে কারণে কুরআন-হাদীছে কোনও বিকৃতি ঘটতে পারেনি। কিয়ামত পর্যন্ত আল্লাহ তা'আলা এভাবে কুরআন ও হাদীছের সংরক্ষণ করবেন।
আর আমলী ক্ষতি হচ্ছে সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ না করলে দীন ও শরী'আত কেবল তাত্ত্বিক বিষয় হয়ে থাকে, যা কিতাবের পৃষ্ঠায় পাওয়া যায়, বাস্তবে পাওয়া যায় না। বলাবাহুল্য প্রত্যেক যুগেই মানুষের মধ্যে আমলী অবনতি ঘটে আসছে। সমস্ত মানুষ আমলশূন্য হয়ে গেছে এমন নয়, তবে আমলের ক্রমাবনতি অবশ্যই ঘটছে। তার কারণ এ ছাড়া কিছুই নয় যে, সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ করার দায়িত্ব পর্যাপ্ত পরিমাণে আঞ্জাম দেওয়া হচ্ছে না। বর্তমানকালে এ ক্ষেত্রে অবহেলা অতি প্রকট। ফলে আমল-আখলাকের অবক্ষয়ও অনেক বেশি। সে অবক্ষয়েরই পরিণাম যে, এ হাদীছে যে শাস্তির সতর্কবাণী করা হয়েছে তা অনেকটা চাক্ষুষ করা যাচ্ছে। এ হাদীছে তো দু'আ কবুল না হওয়ার শাস্তির কথা বলা হয়েছে। অপর এক হাদীছে মন্দ লোকদের শাসন ও আধিপত্য বিস্তার করে দেওয়ার সতর্কবাণী শোনানো হয়েছে। হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
لَتَأْمُرُنَّ بِالْمَعْرُوفِ وَلَتَنْهَوُنَّ عَنِ الْمُنْكَرِ أَوْ لَيْسَلْطَنَّ عَلَيْكُمْ شِرَارُكُمْ، ثُمَّ يَدْعُو خِيَارُكُمْ فَلَا يُسْتَجَابُ لَكُمْ
তোমরা সৎকাজের আদেশ করবে ও অসৎকাজে নিষেধ করবে। অন্যথায় তোমাদের ওপর মন্দ লোকদের আধিপত্য বিস্তার করে দেওয়া হবে। অতঃপর তোমাদের ভালো লোকেরা দু'আ করবে, কিন্তু তা কবুল করা হবে না। তাবারানী, আল-মু'জামুল আওসাত, হাদীছ নং ১৩৭৯; মুসনাদুল বাযযার, হাদীছ নং ৮৫১০
আমরা তো এরকম সময়ই পার করছি। কত যুগের পর যুগ আমাদের যারা শাসন করছে তাদের কাজকর্মে না আছে আল্লাহভীতির পরিচয় আর না আছে জনগণের প্রতি মায়া-মমতার আভাস। যুগের পর যুগ এ উম্মতের আমজনতা নির্ণয়-নিষ্ঠুর শাসকশ্রেণীর কবলে পড়ে আছে। এদের জুলুম-নিপীড়নের জাঁতাকল থেকে মুক্তির জন্য দু'আ করা হচ্ছে, কিন্তু মুক্তিলাভ তো হচ্ছেই না; বরং কালক্রমে আরও বেশি বেদীন কিসিমের শাসক চেপে বসছে।
আমরা শাস্তিভোগ কি কেবল নির্দয় শাসকশ্রেণীর পক্ষ থেকেই করছি? এর বাইরেও প্রকাশ্য ও গুপ্ত নানা দুর্যোগ-দুর্বিপাক আমাদেরকে ঘিরে রেখেছে। উম্মতের মধ্যে হাজারও দল-উপদল, তাদের পারস্পরিক কলহ-বিবাদ, বিধর্মী ও ধর্মবিরোধী শক্তিসমূহের স্পর্ধিত আস্ফালন, নিজেদের চিন্তা-চেতনার অবক্ষয় ও বিকৃতি এবং সে অবক্ষয়-বিকৃতি সম্পর্কে বোধ-অনুভবের বিলুপ্তি, পাপ-পুণ্যবোধের অন্তর্ধান ইত্যাদি বিষয়গুলোও কম শাস্তি?
আমাদের এতসব শাস্তিভোগের মূল কারণ এছাড়া আর কিছুই নয় যে, আমরা শরীআতপ্রদত্ত এ গুরুদায়িত্ব আঞ্জাম দিতে অবহেলা করছি। দরকার ছিল আপন আপন সামর্থ্য অনুযায়ী সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ করার কাজ অব্যাহত রাখা। কিন্তু আমরা তা ব্যাপকভাবে ছেড়ে দিয়েছি। যতটুকু করা হচ্ছে তা নিতান্তই অপর্যাপ্ত। তারই খেসারত আমরা দিনের পর দিন দিয়ে যাচ্ছি। এর থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদেরকে সর্বাত্মকভাবে এ দায়িত্ব পালনে যত্নবান হতে হবে। আল্লাহ তা'আলা তাওফীক দান করুন।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. সৎকাজের আদেশ করা ও অসৎকাজে নিষেধ করা অবশ্যপালনীয় কর্তব্য।
খ. এ কর্তব্য পালনে অবহেলা বিভিন্ন রকম আযাব ও গযবে নিপতিত হওয়ার কারণ।
গ. শরী'আতপ্রদত্ত এ দায়িত্ব পালন না করা দু'আ কবুলের পক্ষেও বাধা।
সাহাবায়ে কিরাম তো এ দায়িত্ব পালন করতেনই। তাঁরা নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামের যে-কোনও আদেশ-নিষেধ পালনকে জীবনের সর্বাপেক্ষা বড় কর্তব্য মনে করতেন এবং এর জন্য যে-কোনও মূল্য দিতে, তা প্রাণ দিয়ে দেওয়াই হোক না কেন, প্রস্তুত থাকতেন। তথাপি তাদেরকে এতটা তাগিদ করা এবং শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করার প্রয়োজন কেন হল?
সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ না করার ইলমী ও আমলী ক্ষতি প্রকৃতপক্ষে বক্তব্যটি তাদেরকে লক্ষ্য করে দেওয়া হলেও উদ্দেশ্য পরবর্তী যমানার লোক। তিনি আখেরী নবী। তাঁর দীন কিয়ামত পর্যন্ত সকল মানুষের জন্য। তাই কিয়ামত পর্যন্ত এ দীনের হেফাজত জরুরি। সে হেফাজতের জন্য সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ করা অপরিহার্য। এ দায়িত্ব ছেড়ে দিলে 'ইলমী ও আমলী উভয় রকমের ক্ষতি। ‘ইলমী ক্ষতি তো এই যে, এর পরিণামে কুরআন ও হাদীছে বিকৃতি ঘটনার আশঙ্কা থাকে। আল্লাহ তা'আলা যেহেতু ইলমে ওহীর হেফাজত করার দায়িত্ব নিজ যিম্মায় রেখেছেন, তাই এ কাজ আঞ্জাম দেওয়ার লোকও তিনি সবযুগে পয়দা করে থাকেন। এ উম্মতের উলামা-মাশায়েখ যুগপরম্পরায় এ দায়িত্ব পালন করে আসছেন, যে কারণে কুরআন-হাদীছে কোনও বিকৃতি ঘটতে পারেনি। কিয়ামত পর্যন্ত আল্লাহ তা'আলা এভাবে কুরআন ও হাদীছের সংরক্ষণ করবেন।
আর আমলী ক্ষতি হচ্ছে সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ না করলে দীন ও শরী'আত কেবল তাত্ত্বিক বিষয় হয়ে থাকে, যা কিতাবের পৃষ্ঠায় পাওয়া যায়, বাস্তবে পাওয়া যায় না। বলাবাহুল্য প্রত্যেক যুগেই মানুষের মধ্যে আমলী অবনতি ঘটে আসছে। সমস্ত মানুষ আমলশূন্য হয়ে গেছে এমন নয়, তবে আমলের ক্রমাবনতি অবশ্যই ঘটছে। তার কারণ এ ছাড়া কিছুই নয় যে, সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ করার দায়িত্ব পর্যাপ্ত পরিমাণে আঞ্জাম দেওয়া হচ্ছে না। বর্তমানকালে এ ক্ষেত্রে অবহেলা অতি প্রকট। ফলে আমল-আখলাকের অবক্ষয়ও অনেক বেশি। সে অবক্ষয়েরই পরিণাম যে, এ হাদীছে যে শাস্তির সতর্কবাণী করা হয়েছে তা অনেকটা চাক্ষুষ করা যাচ্ছে। এ হাদীছে তো দু'আ কবুল না হওয়ার শাস্তির কথা বলা হয়েছে। অপর এক হাদীছে মন্দ লোকদের শাসন ও আধিপত্য বিস্তার করে দেওয়ার সতর্কবাণী শোনানো হয়েছে। হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
لَتَأْمُرُنَّ بِالْمَعْرُوفِ وَلَتَنْهَوُنَّ عَنِ الْمُنْكَرِ أَوْ لَيْسَلْطَنَّ عَلَيْكُمْ شِرَارُكُمْ، ثُمَّ يَدْعُو خِيَارُكُمْ فَلَا يُسْتَجَابُ لَكُمْ
তোমরা সৎকাজের আদেশ করবে ও অসৎকাজে নিষেধ করবে। অন্যথায় তোমাদের ওপর মন্দ লোকদের আধিপত্য বিস্তার করে দেওয়া হবে। অতঃপর তোমাদের ভালো লোকেরা দু'আ করবে, কিন্তু তা কবুল করা হবে না। তাবারানী, আল-মু'জামুল আওসাত, হাদীছ নং ১৩৭৯; মুসনাদুল বাযযার, হাদীছ নং ৮৫১০
আমরা তো এরকম সময়ই পার করছি। কত যুগের পর যুগ আমাদের যারা শাসন করছে তাদের কাজকর্মে না আছে আল্লাহভীতির পরিচয় আর না আছে জনগণের প্রতি মায়া-মমতার আভাস। যুগের পর যুগ এ উম্মতের আমজনতা নির্ণয়-নিষ্ঠুর শাসকশ্রেণীর কবলে পড়ে আছে। এদের জুলুম-নিপীড়নের জাঁতাকল থেকে মুক্তির জন্য দু'আ করা হচ্ছে, কিন্তু মুক্তিলাভ তো হচ্ছেই না; বরং কালক্রমে আরও বেশি বেদীন কিসিমের শাসক চেপে বসছে।
আমরা শাস্তিভোগ কি কেবল নির্দয় শাসকশ্রেণীর পক্ষ থেকেই করছি? এর বাইরেও প্রকাশ্য ও গুপ্ত নানা দুর্যোগ-দুর্বিপাক আমাদেরকে ঘিরে রেখেছে। উম্মতের মধ্যে হাজারও দল-উপদল, তাদের পারস্পরিক কলহ-বিবাদ, বিধর্মী ও ধর্মবিরোধী শক্তিসমূহের স্পর্ধিত আস্ফালন, নিজেদের চিন্তা-চেতনার অবক্ষয় ও বিকৃতি এবং সে অবক্ষয়-বিকৃতি সম্পর্কে বোধ-অনুভবের বিলুপ্তি, পাপ-পুণ্যবোধের অন্তর্ধান ইত্যাদি বিষয়গুলোও কম শাস্তি?
আমাদের এতসব শাস্তিভোগের মূল কারণ এছাড়া আর কিছুই নয় যে, আমরা শরীআতপ্রদত্ত এ গুরুদায়িত্ব আঞ্জাম দিতে অবহেলা করছি। দরকার ছিল আপন আপন সামর্থ্য অনুযায়ী সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ করার কাজ অব্যাহত রাখা। কিন্তু আমরা তা ব্যাপকভাবে ছেড়ে দিয়েছি। যতটুকু করা হচ্ছে তা নিতান্তই অপর্যাপ্ত। তারই খেসারত আমরা দিনের পর দিন দিয়ে যাচ্ছি। এর থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদেরকে সর্বাত্মকভাবে এ দায়িত্ব পালনে যত্নবান হতে হবে। আল্লাহ তা'আলা তাওফীক দান করুন।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. সৎকাজের আদেশ করা ও অসৎকাজে নিষেধ করা অবশ্যপালনীয় কর্তব্য।
খ. এ কর্তব্য পালনে অবহেলা বিভিন্ন রকম আযাব ও গযবে নিপতিত হওয়ার কারণ।
গ. শরী'আতপ্রদত্ত এ দায়িত্ব পালন না করা দু'আ কবুলের পক্ষেও বাধা।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)


বর্ণনাকারী: