আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
১২. দুগ্ধপান ইত্যাদি সংক্রান্ত অধ্যায়
হাদীস নং: ১১৫১
আন্তর্জাতিক নং: ১১৫১
দুগ্ধপানের ক্ষেত্রে এক মহিলার সাক্ষ্য।
১১৫২. আলী ইবনে হুজর (রাহঃ) ...... উকবা ইবনুল হারিস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জনৈকা মহিলাকে বিয়ে করি তখন এক কালো মহিলা এসে বলল, আমি তোমাদের উভয়কেই দুগ্ধপান করিয়েছি। অনন্তর আমি নবী (ﷺ)-এর কাছে এসে বললাম, আমি অমুকের মেয়ে অমুককে বিয়ে করেছি। এখন এক কাল মহিলা এসে বলছে, আমি তোমাদের উভয়কে দুগ্ধ পান করেয়েছি। অথচ সে মিথ্যাবাদী। উকবা বলেন, নবী (ﷺ) আমার দিক থেকে চেহারা ফিরিয়ে নিলেন। তখন আমি আবার তাঁর চেহারার সামনা-সামনি হয়ে বললাম, নিশ্চয় এই মহিলাটি মিথ্যাবাদী। তিনি বললেন, কেমন করে তুমি এই মেয়ে নিয়ে ঘর করবে অথচ এই মহিলাটি বলছে যে, সে তোমাদের উভয়কে দুগ্ধ পান করিয়েছে। তোমার বন্ধন থেকে এই মেয়েটিকে ছেড়ে দাও। - বুখারি
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, উকবা ইবনে হারিস (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। একাধিক রাবী এটিকে ইবনে আবী মুলায়কা-উকবা ইবনুল হারিছ (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। এতে তারা রাবী উবাইদা ইবনে আবী মারয়াম-এর কথা এবং একে তোমার বন্ধন থেকে দাও’- কথাটির উল্লেখ করেন নি। নবী (ﷺ)-এর আলিম সাহাবীদের এই হাদীস অনুসারে আমল রয়েছে। তাঁরা রাযআত বা দুগ্ধপানের ব্যাপারে একজন মহিলার সাক্ষ্য গ্রহণ অনুমোদন দিয়েছেন। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, দুধ পান প্রমাণের জন্য একজন মহিলার সাক্ষ্যই গ্রহণ করা যায় এবং এর সঙ্গে তার কসমও নেয়া হবে। এ হলো ইমাম আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ)-এর অভিমত। কোন কোন আলিম বলেন, একাধিক সাক্ষ্য না পাওয়া পর্যন্ত দুধ পান প্রমাণের জন্য একজন মহিলার সাক্ষ্য যথেষ্ট নয়। এ হলো শাফিঈ এর অভিমত। জারূদ বলেন, আমি ওয়াকি (রাহঃ) কে বলতে শুনেছি, বিধানমতে একজন মহিলার সাক্ষ্যে দুগ্ধ পান প্রমাণিত হয় না বটে কিন্তু তাকওয়া এর খাতিরে (এই অবস্থাও) স্বামী-স্ত্রী উভয়কে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, উকবা ইবনে হারিস (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। একাধিক রাবী এটিকে ইবনে আবী মুলায়কা-উকবা ইবনুল হারিছ (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। এতে তারা রাবী উবাইদা ইবনে আবী মারয়াম-এর কথা এবং একে তোমার বন্ধন থেকে দাও’- কথাটির উল্লেখ করেন নি। নবী (ﷺ)-এর আলিম সাহাবীদের এই হাদীস অনুসারে আমল রয়েছে। তাঁরা রাযআত বা দুগ্ধপানের ব্যাপারে একজন মহিলার সাক্ষ্য গ্রহণ অনুমোদন দিয়েছেন। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, দুধ পান প্রমাণের জন্য একজন মহিলার সাক্ষ্যই গ্রহণ করা যায় এবং এর সঙ্গে তার কসমও নেয়া হবে। এ হলো ইমাম আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ)-এর অভিমত। কোন কোন আলিম বলেন, একাধিক সাক্ষ্য না পাওয়া পর্যন্ত দুধ পান প্রমাণের জন্য একজন মহিলার সাক্ষ্য যথেষ্ট নয়। এ হলো শাফিঈ এর অভিমত। জারূদ বলেন, আমি ওয়াকি (রাহঃ) কে বলতে শুনেছি, বিধানমতে একজন মহিলার সাক্ষ্যে দুগ্ধ পান প্রমাণিত হয় না বটে কিন্তু তাকওয়া এর খাতিরে (এই অবস্থাও) স্বামী-স্ত্রী উভয়কে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে।
باب مَا جَاءَ فِي شَهَادَةِ الْمَرْأَةِ الْوَاحِدَةِ فِي الرَّضَاعِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي عُبَيْدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ الْحَارِثِ، قَالَ وَسَمِعْتُهُ مِنْ، عُقْبَةَ وَلَكِنِّي لِحَدِيثِ عُبَيْدٍ أَحْفَظُ قَالَ تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً فَجَاءَتْنَا امْرَأَةٌ سَوْدَاءُ فَقَالَتْ إِنِّي قَدْ أَرْضَعْتُكُمَا . فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ تَزَوَّجْتُ فُلاَنَةَ بِنْتَ فُلاَنٍ فَجَاءَتْنَا امْرَأَةٌ سَوْدَاءُ فَقَالَتْ إِنِّي قَدْ أَرْضَعْتُكُمَا وَهِيَ كَاذِبَةٌ . قَالَ فَأَعْرَضَ عَنِّي . قَالَ فَأَتَيْتُهُ مِنْ قِبَلِ وَجْهِهِ فَأَعْرَضَ عَنِّي بِوَجْهِهِ فَقُلْتُ إِنَّهَا كَاذِبَةٌ . قَالَ " وَكَيْفَ بِهَا وَقَدْ زَعَمَتْ أَنَّهَا قَدْ أَرْضَعَتْكُمَا دَعْهَا عَنْكَ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عُقْبَةَ بْنِ الْحَارِثِ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ الْحَارِثِ وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ عَنْ عُبَيْدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ " دَعْهَا عَنْكَ " . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ أَجَازُوا شَهَادَةَ الْمَرْأَةِ الْوَاحِدَةِ فِي الرَّضَاعِ . وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ تَجُوزُ شَهَادَةُ امْرَأَةٍ وَاحِدَةٍ فِي الرَّضَاعِ وَيُؤْخَذُ يَمِينُهَا . وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . وَقَدْ قَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ لاَ تَجُوزُ شَهَادَةُ الْمَرْأَةِ الْوَاحِدَةِ حَتَّى يَكُونَ أَكْثَرَ . وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ . سَمِعْتُ الْجَارُودَ يَقُولُ سَمِعْتُ وَكِيعًا يَقُولُ لاَ تَجُوزُ شَهَادَةُ امْرَأَةٍ وَاحِدَةٍ فِي الْحُكْمِ وَيُفَارِقُهَا فِي الْوَرَعِ .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছটি তাকওয়া-পরহেযগারী সম্পর্কিত। কোনও কাজ সুস্পষ্ট হারাম না হলেও যদি হারাম হওয়ার আভাসমাত্রও থাকে, তবে মুত্তাকী-পরহেযগার ব্যক্তির উচিত তা থেকে বিরত থাকা। হযরত উকবা ইবনুল হারিছ রাযি. যে মহিলাকে বিবাহ করেছিলেন, তিনি যে তাঁর দুধবোন তা প্রমাণিত হয়নি। একজন স্ত্রীলোকের কথায় তা প্রমাণিত হয়ও না। এর জন্য দু'জন সাক্ষী দরকার। কিন্তু এ ঘটনায় দেখা যাচ্ছে একজন মহিলা এসে দাবি করেছেন যে, আমি উকবাকে এবং সে যাকে বিবাহ করেছে তাকে দুধপান করিয়েছি। তিনি বলতে চাচ্ছিলেন যে, তারা দু'জন দুধভাইবোন। এ কারণে তাদের মধ্যে বিবাহ হতে পারে না। কিন্তু সে স্ত্রীলোকটি তার দাবির পক্ষে কোনও সাক্ষী পেশ করতে পারেনি। তাই তাদের দু'জনের দুধভাইবোন হওয়া প্রমাণিত হয়নি। কিন্তু যেহেতু স্ত্রীলোকটি এরকম এক দাবি করে বসেছেন, তাই হযরত উকবা রাযি.-এর অন্তরে খটকা দেখা দিয়েছে যে, তিনি যাকে বিবাহ করেছেন তাকে স্ত্রীরূপে রাখবেন না ছেড়ে দেবেন। যেহেতু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখনও পর্যন্ত বেঁচে আছেন, তাই এ বিষয়ে নিজে নিজে ফয়সালা না নিয়ে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরামর্শ নেওয়া জরুরি মনে করলেন। সুতরাং অবিলম্বে মক্কা মুকাররামা থেকে মদীনা মুনাউওয়ারার সফর করলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে স্ত্রীলোকটির দাবির কথা তাঁকে শোনালেন এবং এ অবস্থায় তাঁর কী করণীয় তা জিজ্ঞেস করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন-
كَيْفَ؟ وَقَدْ قِيلَ ‘কীভাবে (তুমি তাকে রাখবে), অথচ বলা হয়েছে (সে তোমার দুধবোন)'? অর্থাৎ এ অবস্থায় স্ত্রীরূপে তাকে রেখে দিলে তোমার দাম্পত্য জীবন সুখকর হবে না। তোমাদের অন্তরে সবসময় একটা দ্বিধাদ্বন্দ্ব লেগে থাকবে যে, বাস্তবিকই তোমরা দুধভাইবোন কি না। ফলে স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে তোমরা পরস্পর ঘনিষ্ঠ হতে পারবে না। তাছাড়া লোকেও এ নিয়ে কানাঘুষা করবে। নানাজনে নানা কথা বলবে। তাতে সামাজিকভাবে তুমি হেয় হয়ে যাবে। তোমার মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হবে। যে কাজে মর্যাদাহানী হয়, তা থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। কাজেই তোমার বিবাহিতাকে স্ত্রীরূপে রেখে দেওয়াটা হারাম না হলেও তাকওয়া-পরহেযগারী ও মার্জিত রুচির পরিপন্থী অবশ্যই। সুতরাং তুমি তাকে তালাক দিয়ে দাও। তাতে তোমারও মান-সম্মান রক্ষা পাবে এবং তোমার স্ত্রীরও। তারপর তোমরা প্রত্যেকে নতুন বৈবাহিক জীবনে আবদ্ধ হলে সুখের ও স্বস্তিকর জীবন উপভোগ করতে পারবে।
হযরত উকবা রাযি. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ পরামর্শ গ্রহণ করলেন। তিনি তাঁর এ স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দিলেন। তারপর তিনি নিজেও নতুন বিবাহ করলেন এবং তার এ স্ত্রীও নতুন স্বামী গ্রহণ করলেন।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. যে কাজ করার দ্বারা মানুষের পক্ষ থেকে অবৈধতায় লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ উঠতে পারে, তা থেকে বিরত থাকা বাঞ্ছনীয়।
খ. যে বিষয় জানা জরুরি, তা জানার জন্য যদি সফর করার দরকার হয় এবং তা করা সম্ভবও হয়, তবে অবশ্যই তা করতে হবে। ইমাম শা‘বী রহ. বলেন, কোনও ব্যক্তি যদি এমন একটি কথাও জানার জন্য শামের এক প্রান্ত থেকে ইয়ামানের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত সফর করে, যে কথাটি তার পরবর্তী জীবনে উপকারে আসবে, তবে আমি মনে করি না তার সে সফর ব্যর্থ গেছে।
গ. দাম্পত্য জীবন যাতে সুখকর হয়, সে লক্ষ্যে বিবাহের আগেই বৈধ-অবৈধের বিষয়টি ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে নেওয়া উচিত।
ঘ. বিবাহের পর যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দুধভাইবোনের সম্পর্ক থাকার কোনও সন্দেহ দেখা দেয়, তবে নিশ্চিতভাবে তা প্রমাণিত না হলেও স্বস্তিকর জীবন উপভোগের উদ্দেশ্যে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটানোই শ্রেয়। এটা স্বামী-স্ত্রী উভয়ের পক্ষেই কল্যাণকর।
كَيْفَ؟ وَقَدْ قِيلَ ‘কীভাবে (তুমি তাকে রাখবে), অথচ বলা হয়েছে (সে তোমার দুধবোন)'? অর্থাৎ এ অবস্থায় স্ত্রীরূপে তাকে রেখে দিলে তোমার দাম্পত্য জীবন সুখকর হবে না। তোমাদের অন্তরে সবসময় একটা দ্বিধাদ্বন্দ্ব লেগে থাকবে যে, বাস্তবিকই তোমরা দুধভাইবোন কি না। ফলে স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে তোমরা পরস্পর ঘনিষ্ঠ হতে পারবে না। তাছাড়া লোকেও এ নিয়ে কানাঘুষা করবে। নানাজনে নানা কথা বলবে। তাতে সামাজিকভাবে তুমি হেয় হয়ে যাবে। তোমার মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হবে। যে কাজে মর্যাদাহানী হয়, তা থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। কাজেই তোমার বিবাহিতাকে স্ত্রীরূপে রেখে দেওয়াটা হারাম না হলেও তাকওয়া-পরহেযগারী ও মার্জিত রুচির পরিপন্থী অবশ্যই। সুতরাং তুমি তাকে তালাক দিয়ে দাও। তাতে তোমারও মান-সম্মান রক্ষা পাবে এবং তোমার স্ত্রীরও। তারপর তোমরা প্রত্যেকে নতুন বৈবাহিক জীবনে আবদ্ধ হলে সুখের ও স্বস্তিকর জীবন উপভোগ করতে পারবে।
হযরত উকবা রাযি. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ পরামর্শ গ্রহণ করলেন। তিনি তাঁর এ স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দিলেন। তারপর তিনি নিজেও নতুন বিবাহ করলেন এবং তার এ স্ত্রীও নতুন স্বামী গ্রহণ করলেন।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. যে কাজ করার দ্বারা মানুষের পক্ষ থেকে অবৈধতায় লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ উঠতে পারে, তা থেকে বিরত থাকা বাঞ্ছনীয়।
খ. যে বিষয় জানা জরুরি, তা জানার জন্য যদি সফর করার দরকার হয় এবং তা করা সম্ভবও হয়, তবে অবশ্যই তা করতে হবে। ইমাম শা‘বী রহ. বলেন, কোনও ব্যক্তি যদি এমন একটি কথাও জানার জন্য শামের এক প্রান্ত থেকে ইয়ামানের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত সফর করে, যে কথাটি তার পরবর্তী জীবনে উপকারে আসবে, তবে আমি মনে করি না তার সে সফর ব্যর্থ গেছে।
গ. দাম্পত্য জীবন যাতে সুখকর হয়, সে লক্ষ্যে বিবাহের আগেই বৈধ-অবৈধের বিষয়টি ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে নেওয়া উচিত।
ঘ. বিবাহের পর যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দুধভাইবোনের সম্পর্ক থাকার কোনও সন্দেহ দেখা দেয়, তবে নিশ্চিতভাবে তা প্রমাণিত না হলেও স্বস্তিকর জীবন উপভোগের উদ্দেশ্যে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটানোই শ্রেয়। এটা স্বামী-স্ত্রী উভয়ের পক্ষেই কল্যাণকর।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
