আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৪৬- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৭৯
১৯৭৭. যারা অঙ্গীকার করে তা ভঙ্গ করে তাদের গুনাহ
২৯৫৫। মুহাম্মাদ ইবনে কাসীর (রাহঃ) .... আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে কুরআন এবং এ কাগজে যা লিখা আছে তা ছাড়া কোন কিছু লিপিবদ্ধ করিনি। (উক্ত লিপিতে রয়েছে) নবী (ﷺ) বলেছেন, আয়ির পর্বত থেকে এ পর্যন্ত মদীনার হারাম এলাকা। যে কেউ দ্বীনের ব্যাপারে বিদআত উদ্ভাবন করে কিংবা কোন বিদআতীকে আশ্রয় দিবে তার উপর আল্লাহ তা‘আলা ফিরিশতা ও সকল মানুষের লা‘নত। তার কোন ফরয কিংবা নফল ইবাদত কবুল হবে না। আর সকল মুসলমানের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা একই পর্যায়ের। সাধারণ মুসলিম নিরাপত্তা দিলে সকলকে তা রক্ষা করতে হবে। যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দেওয়া নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে তার উপর আল্লাহ তাআলার লা‘নত এবং ফিরিশতাগণ ও সকল মানুষের। তার কোন নফল কিংবা ফরয ইবাদত কবুল হবে না। আর যে স্বীয় মনীবের অনুমতি ব্যতীত অন্যদের সাথে বন্ধুত্বের চুক্তি করে, তার উপর আল্লাহ তা‘আলার লা‘নত এবং ফিরিশতাগণ ও সকল মানুষের। তার কোন নফল কিংবা ফরয ইবাদত কবুল হবে না।
আবু মুসা (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, অমুসলিমদের কাছ থেকে (জিযিয়া স্বরূপ) একটি দীনার বা দিরহামও তোমরা পাবে না, তখন তোমাদের কি অবস্থা হবে? তাকে বলা হল, হে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) আপনি কিভাবে মনে করেন যে, এমন অবস্থা দেখা দিবে, তিনি বললেন, হ্যাঁ, কসম সে মহান সত্তার যাঁর হাতে আবু হুরায়রার প্রাণ, যিনি সত্যবাদী ও সত্যবাদী বলে স্বীকৃত (অর্থাৎ মুহাম্মাদ ﷺ)- এর উক্তি থেকে আমি বলছি। লোকেরা বলল, কি কারণে এমন হবে? তিনি বলেন, আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূল (ﷺ)- এর প্রদত্ত নিরাপত্তা ক্ষুণ্ণ করা হবে। ফলে আল্লাহ তাআলা জিম্মীদের অন্তরকে কঠোর করে দিবেন; তারা তাদের হাতে সম্পদ দিবে না।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন