আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৪৬- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়

হাদীস নং: ২৯৩৫
আন্তর্জতিক নং: ৩১৫৬

পরিচ্ছেদঃ ১৯৬১. যিম্মীদের থেকে জিযিয়া গ্রহণ এবং হারবীদের সাথে যুদ্ধ বিরতি চুক্তি। আর আল্লাহ তাআলার বাণীঃ যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে না, এবং শেষ দিনের উপর বিশ্বাস করে না, আর আল্লাহ তাআলা ও তার রাসুল (ﷺ) যা হারাম করেছেন তা হারাম বলে মানে না, তোমরা তাদের সাথে যুদ্ধ কর .... আয়াতের শেষ পর্যন্ত। (৯ঃ ২৯) আয়াতে উল্লেখিত مسكين শব্দের মুল হচ্ছে مسكنة অর্থ হল অভাবগ্রস্ত اسكن من فلان এর অর্থ সে অমুক থেকে অধিক অভাবগ্রস্থ। এ শব্দটি سكون ধাতু থেকে নিশপন্ন নয়। صاغرون এর অর্থ লাঞ্চিত। ইয়াহুদি, খ্রিস্টান, অগ্নিপুজক ও আজমীদের থেকে জিযিয়া গ্রহণ। ইবনে উয়াইনা (রাহঃ) (আব্দুল্লাহ) ইবনে আবু নাজীহ (রাহঃ) থেকে বলেন, আমি মুজাহিদ (রাহঃ)- এর নিকট জিজ্ঞাসা করলাম, এর কারণ কি যে, সিরিয়া বাসীদের উপর চার দীনার এবং ইয়ামান বাসীদের উপর এক দীনার করে জিযিয়া গ্রহণ করা হয়। তিনি বললেন, তা স্বচ্ছলতার প্রেক্ষিতে ধার্য করা হয়েছে।

২৯৩৫। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) .... (আমর) ইবনে দীনার (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জাবির ইবনে যায়দ ও আমর ইবনে আউস (রাহঃ) সহ যমযমের সিড়ির নিকট বসাছিলাম, হিজরী সত্তর সনে যে বছর মুসআব ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) বসরাবাসীদের নিয়ে হজ্জ আদায় করেছিলেন। তখন বাজালাহ তাদের উভয়কে এ হাদীস বর্ণনা করেন, আমি আহনাফের চাচা জাযই ইবনে মুআবিয়া (রাযিঃ)- এর লেখক ছিলাম। আমাদের নিকট উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)- এর পক্ষ থেকে তাঁর মৃত্যুর এক বছর আগে একখানি পত্র আসে যে, যে সব মাজুসী১ মাহরামদের২ সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ তাদের বিচ্ছিন্ন করে দাও। আর উমর (রাযিঃ) মাজুসীদের কাছ থেকে জিযিয়া গ্রহণ করতেন না, যে পর্যন্ত না আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রাযিঃ) এ মর্মে সাক্ষী দিলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হাজার এলাকার মাজুসীদের কাছ থেকে তা গ্রহণ করেছেন।
১ পারসিক- অগ্নিপূজক সম্প্রদায়।
২ মাহরাম-যাদের বিবাহ করা শরীয়াতে স্থায়ীভাবে হারাম।


tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক নিষ্প্রয়োজন