কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ
১৮. কুড়িয়ে পাওয়া বস্তুর বিধান ও গোলাম আযাদ সম্পর্কিত
হাদীস নং: ২৫২৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৫২৩
আযাদ করা
২৫২৩। আহমাদ ইবন সিনান (রাহঃ).... আবু যার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ) ! কোন্ গোলাম আযাদ করা উত্তম? তিনি বললেনঃ যে গোলাম তার মালিকের বেশী পছন্দনীয় এবং যা বেশী মূল্যবান।
بَاب الْعِتْقِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي مُرَاوِحٍ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ أَيُّ الرِّقَابِ أَفْضَلُ قَالَ ’أَنْفَسُهَا عِنْدَ أَهْلِهَا وَأَغْلَاهَا ثَمَنًا
হাদীসের ব্যাখ্যা:
দাসমুক্তির ফযীলত
হযরত আবূ যার রাযি.-এর প্রশ্ন ছিল দাসমুক্তি সম্পর্কে যে, কী রকম গোলাম আযাদ করা উত্তম? গোলাম বা দাস-দাসী রাখার প্রথাটি অনেক পুরোনো। জাহিলী যুগে দাস-দাসীর প্রতি অত্যন্ত নিষ্ঠুর আচরণ করা হত। নিকট অতীতেও দুনিয়ার শক্তিশালী জাতিসমূহ তাদের প্রতি মানবেতর প্রাণীর মতই আচরণ করত। কিন্তু মুসলিম জাতি শুরু থেকেই তাদের প্রতি মানবিক আচরণ করে আসছে। কেননা ইসলামে দাস-দাসীর প্রতি সদাচরণের জোর তাগিদ রয়েছে। সদাচরণের সর্বোচ্চ ধাপ হচ্ছে আযাদ করে দেওয়া। বিভিন্ন হাদীছে গোলাম আযাদের প্রচুর ফযীলত বর্ণিত হয়েছে, যে কারণে সাহাবায়ে কিরাম বিপুল উৎসাহে দাস-দাসীকে মুক্তি দান করতেন। তাঁদের অন্তরে আল্লাহর কাছে পুরস্কার লাভের আকাঙ্ক্ষা ছিল প্রবল। যে কাজে যত বেশি পুরস্কার পাওয়া যায় সেটাই তাঁরা বেশি বেশি করতে চাইতেন, তাতে পার্থিব যতই ক্ষতি হোক না কেন। দাসমুক্তি আল্লাহর পথে এক প্রকার খরচ। আর আল্লাহর পথে খরচ করার ক্ষেত্রে প্রিয়বস্তু দানের নির্দেশনা রয়েছে। সে নির্দেশনা দাস-দাসীকে মুক্তিদানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। সুতরাং হযরত আবূ যার রাযি. যখন জানতে চাইলেন কোন্ দাসমুক্তি সর্বোত্তম, তখন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, যে দাস-দাসী তার মালিকের কাছে বেশি প্রিয় এবং যার দাম তুলনামূলক বেশি, তাকে আযাদ করাই উত্তম।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
বর্তমানে দাসমুক্তির সুযোগ না থাকলেও তার বিকল্পস্বরূপ আল্লাহর পথে অর্থব্যয়ের সুযোগ রয়েছে। কাজেই সুযোগ অনুযায়ী আল্লাহর পথে যথাসম্ভব অর্থ ব্যয় করা উচিত।
হযরত আবূ যার রাযি.-এর প্রশ্ন ছিল দাসমুক্তি সম্পর্কে যে, কী রকম গোলাম আযাদ করা উত্তম? গোলাম বা দাস-দাসী রাখার প্রথাটি অনেক পুরোনো। জাহিলী যুগে দাস-দাসীর প্রতি অত্যন্ত নিষ্ঠুর আচরণ করা হত। নিকট অতীতেও দুনিয়ার শক্তিশালী জাতিসমূহ তাদের প্রতি মানবেতর প্রাণীর মতই আচরণ করত। কিন্তু মুসলিম জাতি শুরু থেকেই তাদের প্রতি মানবিক আচরণ করে আসছে। কেননা ইসলামে দাস-দাসীর প্রতি সদাচরণের জোর তাগিদ রয়েছে। সদাচরণের সর্বোচ্চ ধাপ হচ্ছে আযাদ করে দেওয়া। বিভিন্ন হাদীছে গোলাম আযাদের প্রচুর ফযীলত বর্ণিত হয়েছে, যে কারণে সাহাবায়ে কিরাম বিপুল উৎসাহে দাস-দাসীকে মুক্তি দান করতেন। তাঁদের অন্তরে আল্লাহর কাছে পুরস্কার লাভের আকাঙ্ক্ষা ছিল প্রবল। যে কাজে যত বেশি পুরস্কার পাওয়া যায় সেটাই তাঁরা বেশি বেশি করতে চাইতেন, তাতে পার্থিব যতই ক্ষতি হোক না কেন। দাসমুক্তি আল্লাহর পথে এক প্রকার খরচ। আর আল্লাহর পথে খরচ করার ক্ষেত্রে প্রিয়বস্তু দানের নির্দেশনা রয়েছে। সে নির্দেশনা দাস-দাসীকে মুক্তিদানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। সুতরাং হযরত আবূ যার রাযি. যখন জানতে চাইলেন কোন্ দাসমুক্তি সর্বোত্তম, তখন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, যে দাস-দাসী তার মালিকের কাছে বেশি প্রিয় এবং যার দাম তুলনামূলক বেশি, তাকে আযাদ করাই উত্তম।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
বর্তমানে দাসমুক্তির সুযোগ না থাকলেও তার বিকল্পস্বরূপ আল্লাহর পথে অর্থব্যয়ের সুযোগ রয়েছে। কাজেই সুযোগ অনুযায়ী আল্লাহর পথে যথাসম্ভব অর্থ ব্যয় করা উচিত।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)


বর্ণনাকারী: